26 Feb 2025, 03:21 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইয়াজান ওমর জামিল খাসিব (২৩)। ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিমতীরের রামাল্লার কাছে উত্তরাঞ্চলীয় এল-বিরেহ শহরে শুক্রবার (১৭ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণা থেকে বিষয়টি জানা গেছে। শনিবার (১৮ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছিলেন ওমর। তবে ইসরায়েলি সেনাদের কেউ তেমন আহত হয়নি। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মতে, ওমরের ওপর সন্দেহ হলে তার পরিচয় জানতে চায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপরে তিনি ছুরি দিয়ে তাদের ওপরে হামলা করলে তারা গুলি করে। এতে যুবকের মৃত্যু হয়।

এ বছরের শুরু থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৮৪ ফিলিস্তিনি এবং ১৪ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক কিশোরসহ অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এক সপ্তাহ আগেও জেনিন শহরে অভিযান চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যার ৪৮ ঘন্টারও কম ব্যবধানে একই শহরে আরও ৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলী সেনাদের গুলিতে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নড়বড়ে শেয়ার ইস্যু যে কোনো ব্যাংককে ডুবিয়ে দিতে পারে। মূলধন বাড়াতে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) উদ্যোগ বিপর্যয় ঘটিয়েছে তা এরই মধ্যে প্রমাণিত। এবার বেসামাল হয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ডের অন্যতম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। গত ১৫ মার্চ ব্যাংকটি লক্ষ্য করে যে নড়বড়ে শেয়ারহোল্ডাররা অনেক ক্ষতি করতে পারে।

সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক, এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক নতুন ফান্ড দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর গত বুধবার একদিনেই শেয়ারের ৩০ শতাংশ দর পতন ঘটে প্রতিষ্ঠানটির।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট সুইসে আরও কোনো বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সৌদি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া খুব একটা সুখকর ছিল না।

বিনিয়োগকারীরা টাকা তোলার জন্য দৌড়াচ্ছেন। ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দাম তার সর্বনিম্ন স্তরে এবং এক চতুর্থাংশ কমেছে। অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর দরজায়ও কড়া নাড়ছে এ পরিস্থিতি। তবে সবশেষে সুইস নিয়ন্ত্রকরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যেখানে বলা হয় ক্রেডিট সুইস বড় ব্যাংকগুলোর জন্য প্রযোজ্য মূলধন এবং তারল্যের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে। তবে প্রয়োজনে তারা ব্যাংকটিকে সহায়তা প্রদান করবে।

১৬ মার্চের প্রথম দিকে, ক্রেডিট সুইস জানায়, এটি তারল্য বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নেবে। ফলে এটি তার শেয়ারের দামে কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কিছু নেই। তবুও তাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

আর্চেগোস ক্যাপিটালের সঙ্গে ক্রেডিট সুইসের লেনদেন থেকে বহু লোকসান গুনতে হয়েছে। এটি একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান যা ২০২১ সালে ভেঙে পড়ে এবং গ্রিনসিল ক্যাপিটাল, একটি সাপ্লাই-চেইন-ফাইনান্স ফার্ম যেটি সেই বছরেই ধসে পড়ে। গতবছর আমানতকারীরা ব্যাংকের প্রতিটি শাখা থেকে নগদ অর্থ তোলা শুরু করে। দীর্ঘমেয়াদি শেয়ারহোল্ডার হ্যারিস অ্যাসোসিয়েটস, একটি বিনিয়োগ সংস্থা, তার শেয়ারও বিক্রি করে ফেলেছিল। সেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নতুন মালিকদের।

৯ মার্চ ক্রেডিট সুইস আমেরিকার প্রধান আর্থিক নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের শেষ মুহূর্তের ফোনকলের পর তার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব ঘোষণা করে। ফলে ফার্মের আর্থিক-রিপোর্টিং সিস্টেমে ‘বস্তুগত দুর্বলতার’ কারণে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

শেয়ারহোল্ডাররা অবশেষে ১৪ মার্চ তাদের রিপোর্ট হাতে পায়। ২০২২ এর শেষে ক্রেডিট সুইস তার টানা পঞ্চম প্রান্তিকে লোকসানের কথা জানিয়েছে।

ক্রেডিট সুইসের প্রধান নির্বাহী উলরিচ কর্নার আশাবাদী যে ঘুরে দাঁড়াবে ব্যাংকটি। সিএস ফার্স্ট বোস্টন নামে পুনঃনির্মাণ করা বিনিয়োগ ব্যাংকের মাইকেল ক্লেইন এগিয়ে আসতে পারেন৷ তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ক্রেডিট সুইসের পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে সুইস ক্রেডিট ব্যাংক তার বুটিক ব্যবসা ১৭৫ মিলিয়নে কিনেছিল। একটি বড় বুটিক বিনিয়োগ ব্যাংক গড়ার অভিপ্রায়কে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কারণ রয়েছে। ক্রেডিট সুইস দীর্ঘকাল ধরে কর্পোরেট বাই-আউটের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছে।

ক্রেডিট সুইসের একটি বিকল্প হলো ইউবিএসের সঙ্গে টাই-আপ করা। জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ইউবিএস এজির সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে।

ক্রেডিট সুইস হলো ১৬৭ বছরের পুরোনো একটি ব্যাংক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের মতো একের পর এক পর ব্যাংক আর্থিক গোলযোগের মধ্যে পড়ে। এর পরপরই ইউরোপের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের এমন ভারসাম্যহীনতার খবর মিলছে যেটির প্রভাব আরও গুরুতর হতে পারে। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট, রয়টার্স

আমেরিকার পর এবার ইউরোপের ব্যাংকে বড় ধাক্কা ; দেউলিয়ার পথে ক্রেডিট সুইস ব্যাংক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ন্যায্য বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসন স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এক প্রতিবেদনে শনিবার (১৮ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে সমর্থন করে জো বাইডেন বলেন, ‘পুতিনের কর্মকাণ্ড অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ এবং তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরয়ানাকে ন্যায্য মনে করি।’

তবে আইসিসির এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে অর্থহীন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিন বলছে তারা আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে রাশিয়াকে বিচারের এখতিয়ার আদালতটির নেই।

রাশিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রও আইসিসি’কে স্বীকৃতি দেয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে আইসিসির প্রতি আমাদের স্বীকৃতি না থাকলেও আমি মনে করি এটি বেশ জোরালো একটি অভিযোগ উত্থাপন করেছে।’

ইউক্রেনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ শিশুকে বেআইনিভাবে রাশিয়ায় স্থানান্তর করেছে পুতিন প্রশাসন। এর মধ্যে শুধু মারিউপোল থেকেই হাজারেরও অধিক শিশুকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে বেআইনিভাবে শিশু ও বাসিন্দাদের রাশিয়ায় স্থানান্তরের অভিযোগ তুলে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার অধিদফতরের কমিশনার মারিয়া লভোভা বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সংস্থাটি।

 

পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা ন্যায্য বললেন বাইডেন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এশিয়ার এ দেশটিতে কাজ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ যান।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার শনিবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ধাপে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৬ জন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়োগকর্তারা যেন এখন সুষ্ঠুভাবে এসব শ্রমিকদের নিয়ে আসতে পারেন সে ব্যবস্থা করতেই সাময়িক সময়ের জন্য শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নতুন শ্রমিক আসার অনুমোদনের নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। এরমধ্যে যেসব নিয়োগদাতা অবৈধ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সেটিও থাকবে। মানে অবৈধদের বৈধভাবে কাজ করার অনুমোদনও স্থগিত হয়ে গেছে।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী শিবকুমার আরও জানিয়েছেন, প্রধম ধাপে অনুমোদন পাওয়া শ্রমিকরা যখন মালয়েশিয়ায় আসবেন এবং কাজে যোগ দেবেন, এরপর আবার এ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রী শিবকুমার বলেছেন, ‘আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত সব সেক্টর— নির্মাণ, মেরামত, উৎপাদন, কৃষি, খনি এবং খনন ও বৃক্ষরোপণের জন্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জনকে কাজের অনুমোদন দিয়েছি।’

তার মতে, এখন পর্যন্ত যতজন শ্রমিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।

এছাড়া অনুমোদনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত নিয়ে আসারও অনুরোধ জানিয়েছেন শিবকুমার। তিনি বলেছেন, বর্তমানে অনুমোদনপ্রাপ্তের তুলনায় কম শ্রমিক আসছেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার পর ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে আবারও দেশটিতে যাওয়া শুরু করেন দেশী প্রবাসীরা।

গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন পান। এরমধ্যে ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশটিতে গিয়ে পৌঁছেছেন ১ লাখ ২১ জন কর্মী। সূত্র: ফ্রিমালয়েশিয়াডটকম

মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নেদারল্যান্ডের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

তবে আইসিসির এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে মূল্যহীন হিসেবে অভিহিত করেছে রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা ঠাটঠমক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম কিভাবে চলে? : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এটি ১৯৯৮ সালে রোম সংবিধি নামক একটি চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। এ আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য। আর সদস্য দেশগুলোর যে কোনো ব্যক্তির বিচার করার এখতিয়ার আছে এটির। তবে এ আদালতে বিচার করা হয় ব্যক্তির, কোনো দেশের নয়। এছাড়া যেসব ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত তাদের ওপরই বেশি নজর রাখা হয়।

তবে বড় বিষয় হলো— রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে অতীতে এ আদালতের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারও অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়— তাহলে তাকে রাশিয়াকেই আদালতে সোপর্দ করতে হবে অথবা অন্য কোনো দেশে পুতিনকে আটক করে আদালতের কাছে তুলে দিতে হবে।

আইসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পুতিন ভয় পাবেন? : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে এখন পুতিন ভয় পাবেন কিনা? এমন প্রশ্ন করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভের কাছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আইসিসির সদস্য নয়। রাশিয়ার কাছে এটি ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলার নেই আমার।’ সূত্র: সিএনএন

পুতিনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘মূল্যহীন’ : রাশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হন লাখ লাখ মানুষ, মৃত্যু হয় হাজার হাজার জনের। প্রাণঘাতী এই রোগটি ঠেকাতে একটি কার্যকর টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানসেন।

সম্প্রতি ইঁদুর ও বানরের ওপর সেই টিকার ট্রায়াল করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছেন জ্যানেসেনের ইমার্জিং প্যাথোজেন বিভাগের প্রধান নির্বাহী মার্নিক্স ভ্যান লুক।

ভাইরাসজনিত এই রোগটির প্রধান উপসর্গগুলো হলো তীব্র জ্বর, মাথাব্যাথা, পেশি ও হাড়ের গ্রন্থীতে ব্যথা ও গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে অনুচক্রিকা বা প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং অনেক সময় শরীর থেকে রক্তক্ষরণও ঘটে। ভয়াবহ যন্ত্রণাকর সব উপসর্গের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগটি ‘হাড়ভাঙা জ্বর’ নামেও পরিচিত।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরই প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোনো স্বীকৃত টিকা নেই। দু’টি টিকা অবশ্য আছে, কিন্তু সেগুলো বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নয়।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, দু’বছর গবেষণার পর জেএনজি-১৮০২ নামের একটি টিকা প্রস্তুত করেছে জ্যানসেন। নতুন এই টিকাটির মূল কাজ হলো, মানুষ বা প্রাণীদেহে প্রবেশ করা ডেঙ্গুভাইরাসের বংশবিস্তার থামিয়ে দেওয়া।

ইঁদুর ও রেসাস জাতের বানরের ওপর সেই টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে সাফল্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছেন মার্নিক্স ভ্যান লুক।

‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটি বানর এবং ইদুঁরের দেহে প্রথমে ভাইরাসটি এবং পরে আমাদের টিকা প্রয়োগ করেছি। আমাদের সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।’

ডেঙ্গুর সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপারটি হলো— এই রোগের চারটি ভাইরাসের কোনো একটিতে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে সেই অবস্থাতেই অন্য কোনো একটি ধরনে তিনি ফের আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

এ পর্যন্ত দুটি টিকা আবিষ্কার হয়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য। তার একটি হলো ডেংভাক্সিয়া। অল্প কয়েকটি দেশে এই টিকা পাওয়া যায় এবং ডেঙ্গুর মাত্র একটি ধরনের ওপর কার্যকর এই টিকাটি।

দ্বিতীয়টির নাম কোডেঙ্গা। গত বছর ডিসেম্বরে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অনুমোদন পেয়েছে এই টিকাটি। শিগগিরই ব্রিটেন ও ইন্দোনেশিয়াও এই টিকার অনুমোদন দেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, বানর এবং ইঁদুরের দেহে প্রয়োগের পর এবার মানবদেহে এই টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনা করতে চান তারা। তবে সেজন্য আগে এই টিকার প্রয়োগের পর মানবদেহে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা— খতিয়ে দেখছে জ্যানসেন।

ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কার করছে জনসন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লাহোরের বাসভবনে হানা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) তোষাখানা মামলায় হাজিরা দিতে ইসলামাবাদের একটি দায়রা আদালতের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি জামান পার্ক থেকে বের হন ইমরান। এরপরই তার বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে পুলিশ।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই) পুলিশের হানা দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, তার বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা নেতা-কর্মীদের পেটাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করেছেন ইমরান খান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জামান পার্কের বাড়িতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে, যখন বাড়িতে শুধুমাত্র বুশরা বিবি একা ছিলেন। কোন আইনের ভিত্তিতে তারা এটি করছে? এটি লন্ডন পরিকল্পনার অংশ। যার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তোষাখানা মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় এর আগে দুইবার ইমরান খানকে আটক করতে তার বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পিটিআই কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে ইমরান খানের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ছেন পুলিশ সদস্যরা।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাওয়া উপহারগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোষাখানা থেকে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করেছেন তিনি। তবে ইমরান এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দেশটির নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে তোষাখানা মামলা করে।

আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইসলামাবাদের দায়রা আদালত। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ১৮ মার্চ পর্যন্ত পরোয়ানা স্থগিত করেন।

ইমরানের দাবি বর্তমান সরকার তাকে গ্রেপ্তার করতে চায়, যেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারেন।

শনিবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদের আদালতে যাওয়ার আগে ইমরান খান জানান, তিনি ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছেন। যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে এ কমিটি সব সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে ৯৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা

https://twitter.com/i/status/1637007871580811269

 

 

আদালতে ইমরান খান ; দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকল পুলিশ (ভিডিও লিঙ্ক নিচে)

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত দেড় বছর ধরে আফগানিস্তান বন্ধ আছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকেই বিতাড়িত করা হচ্ছে নারীদের।

নারীশিক্ষা ফের চালু করতে তাই দেশটিতে আলেমদের বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএনআই।

উত্তর আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ায় গত ১৬ ও ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ওআইসির ৪৯তম সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথমদিন এই জোটের মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা এক ঘোষণায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারটিতে ওআইসি খুবই উদ্বিগ্ন।’

‘ইসলামের সঙ্গে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের কোনো বিরোধ নেই। ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল দেশটিতে যাবে এবং আফগানিস্তানে নারীশিক্ষা ফের চালু করতে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে।’

তিনি আরও জানান, এই আলোচনা ও বৈঠকের ব্যাপারটি এখানেই শেষ হবে না; ওআইসির প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলও ওআইসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসবেন।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে, ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির জাতীয় ক্ষমতা দখল করে তালেবান।

কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশজুড়ে সহশিক্ষা (কো-এডুকেশন) স্কুলগুলো নিষিদ্ধ করে; পাশপাশি বন্ধ করে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল।

তালেবান নেতারা অবশ্য বলেছিলেন, কিছু সমস্যার কারণে মেয়ে স্কুলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে— পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সেগুলো চালু করা হবে। এমনকি তারা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন— ২০২২ সালের ২৩ মার্চ খুলে দেওয়া হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব মেয়ে স্কুল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তোলো নিউজকে বলেন, ‘নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আমাদের সামনে আছে— সেগুলো সমাধানের চেষ্টা আমরা করছি….কিছুটা সময় লাগছে, কিন্তু আশা করছি শিগগিরই সেসব সমাধান হবে।’

 

আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা পুনরায় চালু করতে দূত পাঠাচ্ছে ওআইসি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্পর্কের সমাপ্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়। সম্পর্ক যত গভীর হয়, ততই বাড়ে আবেগের যোগ। তাই সম্পর্ক ভেঙে গেলে, সেই আবেগের ঘরে জোর ধাক্কা লাগে। বেড়ে যায় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। তাতে মনের ব্যথা দ্বিগুণ হতে পারে। কিন্তু তাই বলে হৃদয় ভাঙার জন্য বিমা! শুনতে অবাক লাগলেও সামাজিক মাধ্যমের মারফতে জানা গেছে এ খবর।

হৃদয় ভাঙার ‘বিমা’র কারণেই প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপের ফলে ২৫,০০০ টাকা পেয়েছেন প্রতীক আরিয়ান নামে এক ব্যক্তি। প্রশ্ন হল, এমনটা কেমন করে সম্ভব?

গোটা বিষয়টি টুইটারে খোলাসা করেছেন প্রতীক নামের ওই যুবক নিজেই।

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, প্রতীক ও তার প্রেমিকা একটি ব্যাংকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন। ঠিক করেন, দু’জনেই প্রতি মাসে ওই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে জমা রাখবেন। অর্থাৎ মাস প্রতি অর্থের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। এইসঙ্গে উভয়ের সম্মতিতেই ঠিক হয়, প্রেমিকা ভালবাসায় ধোকা দিলে প্রেমিক ওই টাকা পাবেন, একইভাবে প্রেমিক ধোকা দিলে যাবতীয় অর্থ পাবেন প্রেমিকা। ওই তহবিলের নামকরণ করা হয় ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড’।

টুইটার পোস্ট প্রতীক জানিয়েছেন, আমি সম্প্রতি ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি। কারণ প্রেমিকা আমাকে ঠকিয়েছে। আমরা ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ডে’ ৫০০ টাকা করে জমিয়েছিলাম। চুক্তি মতো সেই টাকাই পেয়েছি।

প্রেমিকা ছেড়ে যাওয়ায় পেমিক পেলেন হৃদয় ভাঙা বীমার ২৫ হাজার টাকা!

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তাদের বিয়ে হয়েছে ৬ বছর। এর মধ্যে কোল আলো করে এসেছে দুই সন্তান। কিন্তু, এরপরই তাদের জীবনে উঠেছে ঝড়। কারণ, সম্প্রতি এক ডাক্তারি পরীক্ষায় এই ব্রিটিশ দম্পতি জানতে পেরেছেন তারা আসলে ভাই-বোন!

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দম্পতি নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই বিস্ময়কর কাহিনি জানিয়েছেন।

যদিও প্রতিবেদনে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। জানা গেছে, একেবারে ছোটবেলায় তারা পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামীর দাবি, তাকে খুব ছোটবেলা দত্তক নেওয়া হয়েছিল এবং তার জৈবিক বাবা-মা কারা, তা তার জানা নেই। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই ভাই-বোনের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু, দুই সন্তান হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী জানতে পারছেন তারা আসলে ভাই-বোন, এমন ঘটনা সম্ভবত কখনও ঘটেনি। আসুন, পুরো ঘটনাটা জেনে নেওয়া যাক।

দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের পরই ওই ব্যক্তি কোনও কারণে তার বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। একই শহরের অন্য এক দম্পতি তাকে দত্তক নিয়েছিলেন। বড় হওয়ার পর তিনি ওই শহরেরই এক যুবতীয়ের প্রেমে পড়েন। তারপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর, এমনকি প্রথম সন্তান হওয়ার পরও তারা জানতেন না যে তারা ভাই-বোন। জানতে পেরেছেন দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর। স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। তার আত্মীয়দের মধ্যে কারোরই কিডনি দান করার মতো মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময় স্বামীও পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফল আসতেই চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে যান। কারণ, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চিকিৎসকরা ভাই-বোনের মতো মিল পেয়েছিল।

স্বামী বলেছেন, আমি কিডনি দান করতে পারি কি-না দেখার জন্য পরীক্ষা করিয়েছিলাম। আমি জানতাম এটা অসম্ভব। কারণ আমরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, চিকিৎসকরা আমায় ফোন করে জানান, মিল পাওয়া গেছে। এরপর, ডাক্তাররা তার টিস্যু এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষাও করেন। সেই পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছিল, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মিল অত্যন্ত উচ্চ শতাংশের। যা একেবারেই অস্বাভাবিক, এরকমটা সাধারণত ভাই-বোনদের মধ্যে দেখা যায়। ভাই-বোনের মধ্যে ডিএনএ-এর মিল থাকে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। আর বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ মিল থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী আসলে ভাই-বোন বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।

স্বামী আরও জানিয়েছেন, তাদের সন্তানদের মধ্যে কোনও জেনেটিক ব্যাধি ধরা পড়েনি। তবে, তারা ভাই-বোন জানার পর, তারা কী করবেন এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এই ব্রিটিশ দম্পতি। নেটিজেনদের পরামর্শ চেয়েছিলেন তারা।

অধিকাংশের মত, তারা বিবাহিত এবং ইতোমধ্যে তাদের বাচ্চাও হয়ে গেছে। কাজেই আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তাছাড়া, সন্তানদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতাও দেখা যায়নি। তারা দুজনেই সুস্থ। কাজেই তাদের উচিত বাচ্চাদের ভালো বাবা-মা হয়েই থাকা। আর ভাই বা স্বামী তার কিডনি দিয়ে সুস্থ করে তুলুন তার বোন বা স্ত্রীকে। কিছু, বদলানোর দরকার নেই। এতদিন ধরে সব কিছু ভালোই তো ছিল।

 

দুই সন্তানের বাবা-মা বিয়ের ৬ বছর পর জানলেন তারা আপন ভাই-বোন