23 Feb 2025, 10:15 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সারাদেশের সব আদালত ও আইনজীবী সমিতিতে থাকা ঐতিহাসিক দলিলপত্র ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘরে এসব তথ্য সংরক্ষণের জন্য জেলা জজদের এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে বা ই-মেইলে এসব তথ্য দিতে বলা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় তালপাতায় লেখা রায় স্থান পায় জাদুঘরে। এটি ৩০৪ বছর আগে ১৭১০ সালের একটি মামলার রায়। ওই রায় লেখা হয়েছে তালপাতায়। সংস্কৃত ভাষায় লেখা ওই রায়ের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত থেকে। রাজশাহী অঞ্চলের পাবনা মহকুমায় ১৮৬৭, ১৮৭০ এবং ১৯০৮ সালের বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় ৩টি রায় এবং ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কার্যবিবরণীর (সাত খন্ড) দলিল রয়েছে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান (প্রভিশনাল সংবিধান) আদেশ, ১৯৪৭ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাইকোর্টে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী ও নথি।
ঢাকা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ব্যবহৃত পদমর্যাদাসূচক টুপি, পুরাতন টাইপ রাইটার, দেয়াল ঘড়ি, পিতলের ট্রফি, চেয়ার, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারা, কলম ও নিব এবং রেপ্লিকাও রয়েছে।
সম্প্রতি সব জেলা জজের কাছে পাঠানো সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘর কমিটির ৬ ফেব্রুয়ারির সভায় সারাদেশের অধস্তন আদালত ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত আদালত সম্পর্কিত মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে তথ্য পাঠাতে দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ বরাবরে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
চিঠিতে দেশের সব জেলার অধস্তন আদালতে ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত বা গোচরীভূত আদালতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন পুরাতন মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে উল্লেখিত বিষয়ক তথ্যাবলী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবিসহ) আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সব জেলা জজকে অনুরোধ করা হয়।

 

 

 

দেশের সব আদালত থেকে ঐতিহাসিক দলিলপত্রের তথ্য চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও চারজন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজন নতুন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন ঢাকার মধ্যে এবং দুইজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট ২৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১১ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৭৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৬১ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৩৯৭ জন রয়েছেন।

একই সময়ে সারাদেশে সর্বমোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগী ৭২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী ৩৪৪ জন এবং,ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৩৭৯ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি এবং এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি