23 Feb 2025, 06:38 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরে মরা গরু কেটে বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন ব্যবসায়ী। এ অপরাধে ব্যবসায়ীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে তাকে এই কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী হাসমত (৪৪) উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের হামিদ মন্ডলের ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন জানান, মরা গরুর বিক্রি করার খবর পেয়ে ভেটেরিনারি সার্জনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে ওই মাংস ব্যবসায়ী মরা গরু বিক্রির কথা স্বীকার করায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, মাংস ব্যবসায়ী হাসমত দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও মরা গরু সংগ্রহ করে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করতো।শনিবার রাতে অলোয়ার মিঞা বাড়ি মোড় এলাকায় বাজার দরের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে আটক করলে ব্যবসায়ী হাসমত মরা গরুর বিক্রির কথা স্বীকার করেন।

টাঙ্গাইলে মরা গরুর মাংস বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা ; ব্যবসায়ীর এক মাসের কারাদণ্ড

অনলাইন সমিান্তবাণী ডেস্ক :  বরগুনার তালতলীতে একটি মুদি দোকানে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি করায় বিক্রেতাকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত বিক্রেতার নাম অনিল চন্দ্র শীল।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালতলী বাজারের অনিল চন্দ্র শীলের মুদি দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই দোকান থেকে ৭২ লিটার সয়াবিন তেল, ৮০ কেজি মসুরের ডাল ও ৪১ কেজি চিনি উদ্ধার করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, দোকানে টিসিবি পণ্য মজুদ রাখা ও বিক্রির অভিযোগে দোকান মালিককে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৪ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ওই দোকান মালিক টিসিবির পণ্য কোথা থেকে পেয়েছেন তার নাম প্রকাশ করেননি।

 

বরগুনার মুদি দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি ; ব্যবসায়ী কারাগারে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাজী পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের ভুয়া কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে আসছিলেন মো. মামুনুর রশিদ। প্রতারণামূলক এসব বিয়ে সম্পন্ন করে বর-কনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা।

বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের পৌর বিপণী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে পড়ানোর সময় তাকে র‌্যাব হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন।

সাজাপ্রাপ্ত মো. মামুনুর রশিদ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বারাহিরচর গ্রামের মো. আবেদ আলীর ছেলে।

লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি মামুনুর রশিদ কাজী না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের ভুয়া কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে আসছিলেন। তার বিনিময়ে তিনি মোটা অংকের টাকাও নিতেন। কাজি বাল্যবিয়ে পড়াচ্ছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল পৌর বিপণী মার্কেটের তৃতীয় তলায় অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেনের চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজোয়ানা কবির ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামুনুর রশিদকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

 

 

মানিকগঞ্জে ভুয়া কাবিনে বিয়ে পড়ানোয় কাজীর ৬ মাসের কারাদন্ড