23 Feb 2025, 11:03 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি’র জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালতের চিফ প্রসিকিউটর করিম খান।

গতকাল (শুক্রবার) আদালতের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নেতানিয়াহু ও ইয়োগ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করার জন্য ইসরাইলের পক্ষ থেকে যে আবেদন জানানো হয়েছে তাকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। হেগভিত্তিক আদালতের আপিল চেম্বারের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। করিম খান বলেন, আইসিসির আইনের আওতায় এই আবেদন আইনগত শর্ত পূরণ করে না।

তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরাইল যে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছে তাতে এই পদ্ধতিগত তদন্তের বিষয়ে অভিযোগ ছাড়া আপিলের জন্য কোনো ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নেই। করিম খান বলেন, রোম সংবিধির ৫৮ অনুচ্ছেদের আওতায় সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ইসরাইল আদালতের এখতিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। তিনি বলেন, আইসিসি যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তা শুধু কোনো সিদ্ধান্ত নয় এবং এর বিরুদ্ধে রোম সংবিধির ৮২’র ১ অনেুচ্ছেদ অনুসারে সরাসরি আপিল গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো কারণেই প্রি-টায়াল চেম্বার থেকে ঘোষণা করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করার সুযোগ নেই।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরাইল আপিল চেম্বারে একটি আপিল দায়ের করে অভিযোগ করেছে, আইসিসির তদন্ত এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রক্রিয়াগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ ছিল। একইসাথে আপিল নিষ্পত্তির সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করারও দাবি করেছে তেল আবিব।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত সপ্তাহে আইসিসি নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আইসিসির আইন অনুযায়ী, হেগ-ভিত্তিক আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালনা করে না এবং মামলা শুরু করার জন্য আসামীদের অবশ্যই শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। সে কারণে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্টকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলে ইসরাইলের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে হবে ; হেগের আদালতকে করিম খানের বার্তা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননের হিজবুল্লাহ বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সংগঠনটি  প্রথম বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে “বিজয়” অর্জন করেছে এবং তার যোদ্ধারা প্রস্তুত রয়েছে। বৈরুত থেকে এএফপি এখবর জানায়।

ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যায়নিষ্ঠতার কারণে সর্বশক্তিমান আল্লাহ’র কাছ থেকে আমাদের বিজয় এসেছে।

সরাসরি যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর উল্লেখ না করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলি শত্রুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং তার আক্রমণের মোকাবেলা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে।

ইসরাইল ২৩ সেপ্টেম্বর লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় এবং পরে গাজা যুদ্ধের জন্য ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর দ্বারা আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময়ের এক বছরেরও বেশি সময় পরে স্থল সেনা পাঠানো হয়।

দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যাসহ সংঘর্ষের সময় ইসরাইল হিজবুল্লাহকে প্রচণ্ড আঘাত করে।

হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ইসরাইলি বাহিনী তাদের “কোনও শহর দখল ও স্থাপন করার প্রচেষ্টা”, হিজবুল্লাহর আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ ঠেকাতে বা “শত্রুদের আশা অনুযায়ী একটি সামরিক ও নিরাপত্তা বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করতে” ব্যর্থ হয়েছে।

এতে বলা হয়, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা “আগ্রাসনের শেষ দিন পর্যন্ত” ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হিজবুল্লাহকে ইসরাইল সংলগ্ন সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে লিটানি নদীর উত্তরে ফিরে যেতে এবং দক্ষিণ লেবাননে এর সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে।

 

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জয়’ ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সাথে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে তার মধ্যদিয়ে প্রকৃতপক্ষে দখলদার ইসরাইলের কৌশলগত ও লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছে। হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেমকে পাঠানো এক বার্তায় আজ (বৃহস্পতিবার) এসব কথা বলেছেন জেনারেল সালামি।

ইহুদিবাদী ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধ্য করানোর জন্য তিনি হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনকে অভিনন্দন জানান। এর একদিন আগে অর্থাৎ গতকাল থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। গত ১৪ মাস ধরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলে আসছিল।

হিজবুল্লাহকে পাঠানো বার্তায় জেনারেল সালামি বলেন, “লেবানন ফ্রন্টে যুদ্ধবিরতি হলো ইহুদিবাদীদের জন্য একটি কৌশলগত এবং অপমানজনক পরাজয়। যুদ্ধের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তারা কোনো অশুভ লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনের কাছাকাছিও আসতে পারেনি।”

জেনারেল সালামি বলেন, এই যুদ্ধবিরতি এমনকি গাজার যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি সূচনাও হতে পারে।” সালামি আরো বলেন, ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার কারণ হলো- হিজবুল্লাহর বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদারদের ঘাঁটি ও কৌশলগত স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে তাক করা রয়েছে।

আইআরজিসি প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইল দিন দিন ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হচ্ছে এবং তারা গাজা ও লেবাননে যে অপরাধ করছে তা প্রতিরোধ আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।

 

লেবানন চুক্তি ইসরাইলের জন্য কৌশলগতভাবে লজ্জাজনক পরাজয় : আইআরজিসি প্রধান 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননের গেরিলা গোষ্টি হিজবুুল্লাহ ও ইসরাইলের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাধারণ জনগণের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। একইসঙ্গে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ও আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, উভয় পক্ষকেই শান্তির লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মনে চলতে হবে। কোনোভাবেই যাতে চুক্তি লঙ্ঘন না হয় সেদিকে উভয়কে দৃষ্টি রাখতে হবে।

ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুৃক্তি চড়ান্ত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রেঁাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে আমরাও আবার আঘাত হানতে বাধ্য হবো।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান উরসুলা ভনদার লিয়েন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘খুবই উৎসাহব্যঞ্জক খবর।’ তিনি বলেছেন, চুক্তির ফলে লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘খুবই সুখবর। শুধু তাই নয় এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’

এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুন:প্রতিষ্ঠার একটি মৌলিক পদক্ষেপ।

 

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতের পরপরই লেবাননের সাথে সীমান্ত ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এ হামলা চালানো হয়েছে।মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরায়েলি শত্রুরা লেবাননের দিক থেকে সিরিয়া ও লেবাননের মধ্যকার সীমান্ত ক্রসিং লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।’

দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এ আগ্রাসনে দুই সৈন্যসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। হামলায় নিহত বাকিরা বেসামরিক নাগরিক। এ হামলায় শিশু, নারী ও সিরিয়ার আরব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছে।’

লেবাননের সীমান্ত ক্রসিংয়ে ইসরায়েলি হামলায় ৬ নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননে যুদ্ধবিরতি আসন্ন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে যে খবর প্রচার করছে এবং হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কীভাবে রাজনৈতিক ও সামরিক ভারসাম্য ওলট-পালট করে দিয়েছে তার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন একজন আরব রাজনৈতিক ভাষ্যকার।

পার্সটুডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আব্দুলহামিদ আতওয়ান নামক প্রখ্যাত এই কলাম লেখক আরবি দৈনিক রাই আল-ইয়াওম পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন: মার্কিন ও ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো পড়লে আপনার কাছে মনে হবে, লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছেন। এখন এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করতে যেকোনো সময় লেবাননে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি আমোস হকস্টাইন বৈরুতের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করতে পারেন।

এই আরব রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো বলেন: হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব, হাইফা ও সাফেদ শহরের সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে অন্তত ২৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোন নিক্ষেপ করে।  ভয়াবহ ওই হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ৪০ লাখ ইহুদিবাদী ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটে যায়। তেল আবিবের বেন গুরিয়েন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয় এবং ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যায়।

আতওয়ান আরো বলেন, হিজবুল্লাহর হামলায় যখন ইসরাইলি নাগরিকরা দিশেহারা এবং তাদেরকে প্রবোধ দেয়ার মতো কোনো বাণী-বক্তব্য নেতানিয়াহুর ঝুলিতে নেই তখন এসব মানুষকে শান্ত রাখার কৌশল হিসেবে ব্যাপকভাবে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির খবর প্রচার করা হচ্ছে।

এই আরব বিশ্লেষক আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে এ ধরনের ইতিবাচক খবর প্রচারের আরেকটি কারণ উত্তর ইসরাইলে বসবাসরত ইহুদিবাদীদের এই বলে আশ্বস্ত করা যে, তাদেরকে এখন যেমন প্রতিদিন বারবার হিজবুল্লাহর হামলার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেতে হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হয়ে গেলে সে পরিস্থিতি আর থাকবে না বরং তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। তার মতে, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একইসঙ্গে গাজায়ও যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে; তা না হলে ইসরাইলের অর্থনীতি অপমৃত্যু ঘটবে।

রোববারের হামলায় ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৌবন্দর অ্যাশদোদে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এছাড়া, ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হিজবুল্লাহর হামলায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইহুদিবাদীরা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য আরো যেসব কারণে তাড়াহুড়ো করছে তা হলো, হিজবুল্লাহ যে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত অ্যাশদোদ শহরে হামলা চালিয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনা দিমুনায় হামলা চালানো সম্ভব।

এই আরব বিশ্লেষক বলেন: লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ এমন সময় ইসরাইল জুড়ে এমন ভয়াবহ হামলা চালায় যখন নেতানিয়াহু মিথ্যা দাবি করে বলেছিল, ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর ৮০% সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এই সংগঠন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়েছে।

আতওয়ানের মতে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহুর সম্মতি এবং এ সংক্রান্ত খবর ফলাও করে প্রচারের ফলে বোঝা যায়, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে তেল আবিব। বিশেষ করে, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালিয়ে ইসরাইল তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।  হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা, অথবা অন্তত দক্ষিণ লেবানন থেকে এই সংগঠনকে উত্তর দিকে হটিয়ে দেয়া ছিল ইসরাইলের স্থল অভিযানের ঘোষিত লক্ষ্য। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই অর্জিত হয়নি।

লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইসরাইলের ২৪ নম্বর টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক জাভি ইয়াজাকেলি বলেছেন: যুদ্ধবিরতি মানে আমরা নতি স্বীকার করেছি।

ইসরাইলের কান নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন তা বুধবার সকাল থেকে কার্যকর হবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে যা এখনও চলছে। এর জবাবে ইসরাইলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে সমান তালে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।

 

যুদ্ধ-বিরতির অর্থ হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয়ের স্বীকারোক্তি