22 Jan 2025, 07:04 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিগত বছরগুলোতে বছরের প্রথম মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার যে প্রচলন ছিল তাতে এবার ছেদ পড়তে পারে। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন, কাগজ সংকট, পাণ্ডুলিপি দেরিতে পাওয়াসহ নানা কারণে এমনটা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।

গত কয়েক বছর পাঠ্যবইয়ের একাংশ ভারতেও ছাপা হত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরের বাস্তবতায় এবার শুধু দেশি ছাপাখানাগুলো বই ছাপার কাজ করছে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়া যাবে না বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

ছাপাখানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিকের বইয়ের কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে তদারকি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেতেই দেরি হয়েছে। এরপর কাগজ সংকট, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ব্যাংক ঋণ না পাওয়াসহ কয়েকটি কারণে ছাপার কাজে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।

সাধারণত জুনে নতুন বছরের বইগুলোর পাণ্ডুলিপি ছাপাখানায় পাঠানো হয়। কিন্তু ৫ অগাস্টের পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন শুরু হওয়া ‘অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষাক্রম’ বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে ঘোষণা দেয়। ফলে এক যুগ আগে ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের বই ‘ঘষে-মেজে’ নভেম্বরে প্রেসে পাঠানো শুরু হয়।

এমতাবস্থায় পাঠ্যবই মুদ্রণ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেয়ার ‘আশার বাণী’ শোনালেও সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

সংস্থাটি এখন বলছে, ৪০ কোটি ১৬ লাখ বইয়ের সবগুলো জানুয়ারির শেষ দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এতে করে বছরের প্রথম মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার যে প্রচলন ছিল বিগত বছরগুলোতে তাতে এবার ছেদ পড়তে যাচ্ছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, বই পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হলেও তা ফেব্রুয়ারিতে যাবে না। আশা করছি, ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফেরার ঘোষণা আসে গত সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন। এনসিটিবি বলেছিল, ২০১২ শিক্ষাক্রমের বইগুলো পরিমার্জন শেষে ছাপানো হবে এবং রীতি অনুযায়ী জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।

ফেব্রুয়ারির আগে বই পাবে না মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিল্লির বেশ কয়েকটি স্কুলে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) আবারও বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ এনিয়ে চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে দুইবার এমন ঘটনা ঘটলো। তবে পুলিশ স্কুলগুলোতে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পায়নি বলে দেশটির কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমেইলে অন্তত ছয়টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব স্কুলের মধ্যে রয়েছে, দিল্লি পাবলিক স্কুল, সালওয়ান স্কুল, মর্ডান স্কুল, ক্যামব্রিজ স্কুল।

হুমকি পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়েছে। সেইসঙ্গে স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের জানানো হয়েছে, তারা যেন শিক্ষার্থীদের আজ স্কুলে না পাঠায়।

হুমকি দেওয়া ওই মেইলে লেখা হয়েছে, স্কুল প্রাঙ্গণে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক আছে। হুমকিদাতা মেইলে আরও লিখেছেন, এর পেছনে একটি সিক্রেট ডার্ক ওয়েব গ্রুপ আছে। যারা বোমা বিস্ফোরণে জড়িত।

ইমেইলে আরও লেখা হয়েছে, আমি নিশ্চিত যে আপনার শিক্ষার্থীদের ব্যাগ বারবার চেক করেন না। স্কুল ভবন ধ্বংস করতে এবং মানুষের ক্ষতি করার জন্য বোমাগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর উভয় দিনেই আপনাদের স্কুলে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে।

দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, হুমকি পাওয়ার পর স্কুলগুলোতে পুলিশ, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট, বোমা নিষ্ক্রিয় দল এবং ডগ স্কোয়াড পৌঁছেছে এবং তল্লাশি চালাচ্ছে। দিল্লি পুলিশ আইপি অ্যাড্রেস এবং মেইলের প্রেরককে খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দিল্লির আম আদমি পার্টির প্রধান অরভিন্দ কেজরিওয়াল বোমা হামলার হুমকিকে গুরুতর এবং দুশ্চিন্তার বলে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দিল্লির অন্তত ৪০টি স্কুলে ইমেইলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। সেইসময়ও দেশটির পুলিশ স্কুলগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন কিছু পায়নি।

দিল্লির স্কুলগুলোতে আবারও বোমা হামলার হুমকি