অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ভারী ট্যাঙ্ক দেওয়া ছাড়া ‘কোন বিকল্প নেই’। কিয়েভের সম্ভাব্য বসন্তকালীন আক্রমণের জন্য জার্মানির কাছে লিউপার্ড ভারী ট্যাঙ্ক চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ইউক্রেনের প্রায় ৫০ মিত্রদের মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক বৈঠকে রাশিয়ান বাহিনীকে হটাতে প্রচুর সাঁজোয়া যানসহ কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
কিন্তু জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, তার সর্বাগ্রে যুদ্ধ ট্যাঙ্কের প্রয়োজন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেন আগামী সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ান সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাবে বলে তিনি আশা করছেন।
জার্মানির রামস্টেইন এয়ার বেসে বৈঠকে অস্টিন বলেছেন, ‘আমাদের এখানে একটা পথ খোলা আছে, এখন এবং বসন্তের মধ্যে যখনই তারা তাদের অপারেশন শুরু করবে, তাদের পাল্টা আক্রমণ চালানোর সুযোগ আছে।’
জেলেনস্কি একটি ভিডিও বক্তৃতায় মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহের ‘গতি বাড়ানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রাথমিক চাহিদা জার্মানির লিওপার্ড ট্যাঙ্ক সরবরাহের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা এটাকে আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছি যে, এই ট্যাঙ্কের কোন বিকল্প নেই, ট্যাঙ্ক সরবরাহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠকের আগে ইউক্রেন প্রত্যাশা করেছিল, অস্টিনের নেতৃত্বে অস্ত্র সরবরাহকারীদের একটি গোষ্ঠী বিশেষ করে জার্মানি অন্তত সম্মত হবে যে, অন্যান্য দেশগুলো যারা লিওপার্ড ট্যাঙ্ক পরিচালনা করছে তাদের এই ট্যাঙ্ক কিয়েভের সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করার অনুমতি দেবে।
ব্রিটেন তার চ্যালেঞ্জার ২ ট্যাঙ্কের মধ্যে ১৪টি ইউক্রেনে পাঠাতে সম্মত হওয়ায় কারণে জার্মানির এই নিস্পৃহতা কি-না তা অস্পষ্টই রয়েছে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘লিওপার্ড ট্যাঙ্কের বিষয়ে কখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং সিদ্ধান্ত কী হবে তা আমরা এখনও বলতে পারি না।’
জার্মানি কিয়েভকে সাহায্য করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না এমন সমালোচনার জবাবে অস্টিন জার্মানির পক্ষে কথা বলেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন এখন রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সর্বাত্বক যুদ্ধের মুখোমুখি। যারা এখন আক্রমণের ১১ মাস পরেও দেশের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে আছে।
Leave a Reply