অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানে বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আগামী সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো জানানো হতে পারে।
এদিকে, ইরানের রেভুলুশনারি গার্ড আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ভোট দিয়েছেন ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে আটক থাকা অবস্থায় মাহশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্প্রতি চারজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
৫৯৮ জন সাংসদ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র নয়টি। ৩১ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন। অবশ্য ইইউ পার্লামেন্টের ভোটের এই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ বিষয়টি ইইউর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের ঐকমত্যের উপর নির্ভর করে।
এর আগেও আইআরজিসিকে ইইউর সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা করা হলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে, এই যুক্তিতে সেটি করা হয়নি।
২০১৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটেনও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে আইআরজিসিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইইউর চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে।
এছাড়া ইইউতে থাকা সংগঠনের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ইইউর নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইআরজিসিকে অর্থ সহায়তাও দিতে পারবে না। আইআরজিসির বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়াকে ড্রোন দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর আইআরজিসি গঠন করা হয়।
এটি ইরানের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সমান্তরালে কাজ করে। আইআরজিসির সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী আছে। আইআরজিসির সদস্য সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানা না গেলেও তা অন্তত আড়াই লাখ হতে পারে।
Leave a Reply