November 13, 2025, 2:55 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন আগামী বছর হজ করতে পারবেন সাড়ে ৭৮ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকতে সেনাপ্রধানের আহ্বান আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২০ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিল দ. কোরিয়া গত অক্টোবরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে মতবিনিময় সভা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নাকফুল- আংটি-বদনা ফিরে পেলেন বাগেরহাটের শ্রাবণী বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাটে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার চাঁদপুরে পাঁচটি পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এইমাত্রপাওয়াঃ

উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতন বৈধতা দিতে চীনের ট্রল আর্মি গঠন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চীনা সরকারে তাদের দেশের উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতন, নৃশংসতা ও গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আর নিজেদের এই অপকর্মকে বৈধতা দিতে টুইটার বাহিনী বা ট্রল আর্মি গঠন করেছে যারা চীনা সরকারের পক্ষে প্রচার চালায়। উইঘুর সম্প্রদায়ের পক্ষে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে তাদের নিয়ে ট্রল করাই এই টুইটার বাহিনী বা ট্রল বাহিনীর কাজ। সম্প্রতি ডিএফআরসির এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, চীনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে টুইটারে একটি শক্তিশালী শক্তি আবির্ভূত হয়েছে। এই নতুন শক্তি হলো চীনা টুইটার আর্মি। তারা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি প্রতারণামূলক ছবি প্রচারের কাজে নিয়োজিত। তারা সেই প্রদেশকে শান্তি ও অগ্রগতির আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রচার করে। একই সাথে এই টুইটার সেনাবাহিনী কেবল চীনা সরকারের পক্ষেই ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না। বরং যারা উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নের উপর আলোকপাত করে তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলও করে।

চীনের এই টুইটার সেনাবাহিনীর লক্ষ্য যারা চীনা সরকার দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে বা হয়েছে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন হ্রাস করা। চীনা সরকারের দ্বারা নির্যাতিত মানুষদের উপর যাতে অন্যরা সহানুভূতি না দেখায় সে লক্ষ্যেই কাজ করে এই বাহিনী।

উইঘুর মুসলমানদের ব্যাপারে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের  বিষয়টি ভিত্তিহীন নয়। কেননা ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে উইঘুর সম্প্রদায় নিয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, উইঘুর মুসলমানরা  যে জিনজিয়াং অঞ্চলে বাস করে তা একটি বিস্তৃত বন্দী কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এ অঞ্চলে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ আটক জীবন, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও যন্ত্রণা সহ্য করছে। দেশটিতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। রমজান মাসে তাদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি তাদের দাড়ি রাখাও নিষিদ্ধ করেছে শি জিনপিং সরকার।

মুসলমানদের উপর শি জিনপিং সরকারের এই নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন। তাদের মোকাবেলা করতেই চীনা সরকারের এই ঘৃণ্য ট্রল বাহিনী গঠন।

উল্লেখ্য ডিএফআরসির গবেষণায় উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রচার করে এমন ১০০টি টুইটার অ্যাকাউন্টের ১০০০টি টুইট বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই গবেষণায় ট্রল বাহিনী কোন প্যাটার্নে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায় তা প্রকাশ করা হয়েছে।

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page