December 3, 2025, 7:16 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে তারুণ্যের উৎসবে কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ও সঞ্চয় প্রনোদনা বিতরণ মাগুরায় টিআরের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রাষ্ট্রপতির ফেসবুক আইডি হ্যাকড ; জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা ; দেওয়া হচ্ছে এসএসএফের নিরাপত্তায় আগামী ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে নির্বাচন ও গণভোট : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে খুলনায় আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় একজন আটক নানা আয়োজনে বান্দরবানে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কারাগারে ইমরান খানকে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে : সাক্ষাতের পর বোন উজমা যুদ্ধ বন্ধের ‘অগ্রগতি’র পর ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি
এইমাত্রপাওয়াঃ

উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৭৬ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বালাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৭৬ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে।
এ ধান চাষ নিচু জমিতে আবাদ করে কৃষক বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মন পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। যা স্থানীয় জাতের তিগুনের চেয়েও বেশি।
কৃষকরা গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ধান ও বাগেরহাট জেলার স্থানীয় জাত মন্তেশ্বরের পরিবর্তে কৃষক ব্রি-ধান-৭৬ আবাদ করে তিনগুনেরও বেশি ফলন পেয়েছেন। তাই এ জাত ছড়িয়ে দিতে পারলে আমন মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নিচু জমিতে ধানের উৎপাদন অন্তত: তিনগুন বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌমুমে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় বিনামূল্যে ১ হাজার ২৭০ কেজি ব্রি-ধান-৭৬ বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
বীজ দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট জেলার মংলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলার কৃষক ২৫৪টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রি-ধান-৭৬ এর আবাদ করেন। ৩৩ শতাংশের বিঘায় এ ধান ১২ থেকে ১৪ মন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ও মন্তেশ্বর বিঘায় ৪ থেকে ৫ মন ফলন দিয়ে থাকে।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী বলেন, নিচু জমিতে স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি চাষ করতাম। এতে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মন ফলন পেতাম। কিন্তু এ বছর ব্রি-ধান-৭৬ আবাদ করে বিঘা প্রতি ১৩ মন ফলন পেয়েছি। লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছি। আমাদের এলাকার চাষিরা এত ফলন দেখে আগামী বছর ব্রি-ধান-৭৬ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্র্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, বীজ তলায় ব্রি-ধান-৭৬ এর চারা ৩০ দিনেই ৬০ সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় হয়। লবনাক্ত নিচু জমিতে এ ধানের চারা রোপণ করে দিতে হয়। জোয়ারভাটা সহিষ্ণু এ জাতের ধান ১৪০ দিনেই স্থানীয় জাতের তুলনায় তিনগুনেরও বেশি ফলন দেয়। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিয়ে আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, নিচু জমিতে ব্রি-ধান-৭৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাত দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বীজ সরবরাহ করলে আমরা এ জাত কৃষক র্পায়ে ছড়িয়ে দেব।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৭৬ কৃষক র্পায়ে জনপ্রিয় করতে আমরা বীজ উৎপাদন বাড়াব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page