July 1, 2025, 10:03 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর-যাদবপুর সড়কের দুই ধারে তালের চারা রোপন ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলদেশীকে হস্তান্তর করলো ভারতীয় বিএসএফ স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই বিনাশের প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দে কার্পণ্য নয় : অর্থ উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ শরীয়তপুরে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

চাকুরী হারানো নীতিবান সাবেক দুদক কর্মকর্তা শরীফ এখন দোকানদার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরিফকে কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, চাকরির জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানে ধর্না দিয়েছি। কেউ চাকরি দেয়নি। বিদেশ চলে যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। পরে ভাবলাম আমার মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। সেটিকে পরিচালনা করবে। ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা কে দেখবে। বড় ভাই বললেন আমার দোকানটা দেখাশুনা কর। গত দেড় মাস যাবত দোকানে বসে বেচা-বিক্রি করছি। ছোট দোকান বেচা-বিক্রি মোটামুটি হয়ে থাকে। আমার ৩ বছর বয়সী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। ছেলেকে এখনও ভর্তি করেনি।

তিনি বলেন চাকরি চলে যাওয়ার পর সিভি নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরেছি। কেউ চাকরি দেয়নি। শেষে বড় ভাই বলল তাঁর দোকানে বসতে। বাসার বাজার খরচ শ্বশুড়বাড়ি থেকে পেয়ে থাকি। চাকরি চলে যাওয়ার পর টেনশনে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছি। ওষুধ কেনার টাকা নেই। চিকিৎসককে বলেছি ওষুধ কমিয়ে দেওয়ার জন্য। কথাগুলো বলেছেন দুদক থেকে চাকরি হারানো মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন।

নগরীর ষোলশহর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একটি কনফেকশনারির দোকানে নিয়মিত বসে পণ্য বিক্রি করছেন শরিফ। দোকানটি তার বড় ভাইয়ের মালিকানাধীন। বড় ভাই ঠিকাধারীসহ অন্যান্য ব্যবসা করেন।

চাকরি চলে যাওয়ার পর গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছি না। কিন্তু পারিবারিক খরচ থেমে থাকেনি। চাকরি নেই, বেতন নেই কিভাবে পরিবার নিয়ে চলবো। এই চিন্তায় এখন আমি নানা রোগে আক্রান্ত। আমার শ্বশুড়বাড়ি থেকে বাজার খরচের টাকা পেয়ে থাকি। এর বাইরে আমার নিজের ওষুধ ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ ছাড়াও আমার নিজের অন্যান্য খরচ তো আছে। ভাইয়ের দোকান চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে নিজের খরচ চালাতে হচ্ছে। বাবার বাসায় থাকি। তাই বাসা ভাড়া দিতে হয় না। সেই দিন ডাক্তারকে বলেছি ওষুধ কমিয়ে দিতে। কারণ এতোগুলো ওষুধ কেনার আমার টাকা নেই।

শরিফ বলেন, এখন অফিসের সহকর্মীরা ফোন করলেও রিসিভ করে না। সবাই এড়িয়ে চলছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। তারপরও মনোবল হারায়নি। হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন আছে। আমি আশাবাদী মামলার রায় আমার পক্ষে আসবে। আমি কোন দুর্নীতি করেনি। মামলা তদন্তে আমি অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করেছি।

দুদকের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক এই কর্মকর্তা চাকরি জীবনে অনেকগুলো স্পর্শকাতর দুর্নীতির মামলা তদন্ত করেছেন। রোহিঙ্গা এনআইডি জালিয়াতি, কক্সবাজারের কয়েকটি প্রকল্পের দুর্নীতি,কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একাধিক মামলা তদন্ত করেছেন তিনি।

আজকের বাংলা তারিখ

July ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jun    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page