20 May 2024, 10:02 am

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথমদিন সুন্দরবন গেলেন ৩৪৯ পর্যটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যটকদের পদচারণা আর জেলেদের মাছ আহরণের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙেছে সুন্দরবন। শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটক, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে এই নীরবতার অবসান ঘটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনের। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দিন ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন গেছে নয়টি জাহাজ। এ জাহাজগুলোতে দেশি-বিদেশি ৩৪৯ জন পর্যটক রয়েছেন।

বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল সুন্দরবনে মাছ শিকার ও ভ্রমণ।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সহসাধারণ সম্পাদক ও এভারগ্রিন ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী মাঝহারুল ইসলাম কচি বলেন, ‘প্রথম দিনই নয়টি জাহাজ সুন্দরবন গেছে। এর মধ্যে সাতটি খুলনার, একটি মোংলার ও একটি ঢাকার। খুলনার সাতটি জাহাজ জেলখানা ঘাট এলাকা থেকে সকাল ৭টা থেকে ছাড়া শুরু হয়। বেলা ১১টায় সবশেষ জাহাজটি মোংলা থেকে ছেড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই এখন হিরনপয়েন্ট ও দুবলার চর যাওয়ার সুযোগ নেই। ১ নভেম্বর থেকে সেসব জায়গায় যাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। তাই, এখন জাহাজগুলো করমজল, হারবারিয়া, কটকা, কচিখালী ও ডিমেরচর রুটে যাতায়াত করবে।’

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ওসি হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের জন্য পারমিট দেওয়া শুরু হয়। এজন্য নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলে ও পর্যটকরা এদিন সকাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন। পর্যটকরা বনে যাওয়ার সময় প্লাস্টিকের বোতল, একবার ব্যবহার হয় এমন প্লাস্টিকের খাবার প্লেট, সফট ড্রিংকসের বোতল ও ক্যান নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। প্লাস্টিক বন্ধে এবার কঠোর অবস্থানে সুন্দরবন বন বিভাগ। তারপরও যদি কেউ প্লাস্টিকের এসব সামগ্রী বনের মধ্যে নিয়ে যান তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। করা হবে জরিমানা।’

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে বর্তমানে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড ও ৩০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটারের সুন্দরবনের বুকচিরে রয়েছে ৪০০ নদীনালা এবং ২০০ খাল। বাঘ, হরিণ, শূকরসহ ২৮৯ প্রজাতির স্থল ও জলজ প্রাণী বাস করে এখানে। আছে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী।

মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় জুন, জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ সময়ে বনে প্রবেশ করতে পারেন না জেলে, বাওয়ালি, মৌয়াল কিংবা পর্যটকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 4363
  • Total Visits: 752434
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1127

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ ইং
  • ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ১১ই জ্বিলকদ, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ১০:০২

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
20212223242526
2728293031  
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018