অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আঙ্কারা সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে প্রচেষ্টা চলছে তার প্রতি তেহরানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, এই দু’টি দেশের সম্পর্কের যেকোনো ধরনের উন্নয়ন গোটা অঞ্চলের স্বার্থ রক্ষা করবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল (মঙ্গলবার) আঙ্কারায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “দামেস্ক ও আঙ্কারার সম্পর্কে পরিবর্তনের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমরা আনন্দিত। আমরা মনে করি, তুরস্ক ও সিরিয়ার সম্পর্কের যেকোনো ইতিবাচক অগ্রগতি আমাদের অঞ্চল ও আমাদের দেশগুলোকে লাভবান করবে।”
এই লক্ষ্য অর্জনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সব রকম প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তুরস্ক ও আঙ্কারা দু’দেশের সঙ্গেই ইরানের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং এ বিষয়টিকে কাজে লাগাতে চায় তেহরান।
এ সময় চাভুসওগ্লু বলেন, তুরস্ক ইরানের মতো একথা বিশ্বাস করে যে, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদের সঙ্গে ‘খুব শিগগিরই’ তিনি তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে তার সিরীয় সমকক্ষ বাশার আল-আসাদের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়ার লক্ষ্যে তিনি আগামী মাসে ফয়সাল মিকদাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। চাভুসওগ্লু যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আজ আমরা বলেছি যে, এই প্রক্রিয়ায় ইরানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা চাপিয়ে দেয়ার এক বছর পর ২০১২ সালের মার্চ মাসে দামেস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আঙ্কারা। তখন থেকে দু’দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে রয়েছে। সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীদের একাংশকে তুরস্ক সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, কথিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের অজুহাতে তুরস্ক একাধিকার সিরিয়ায় আগ্রাসন চালিয়েছে। এখনও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
Leave a Reply