অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানান, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক বন্যায় থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতুন, সংখলা, পাত্তানি, ইয়ালা এবং নারাথিওয়াত প্রদেশে ৭০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডেপুটি প্রাদেশিক গভর্নর প্রিচা নুয়ালনোই এএফপি’কে বলেন, নারাথিওয়াতে ৮৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মহিলা ও এক শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়।
তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এ বন্যায় এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু জায়গায় তিন মিটার উচ্চতার বন্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার কারণে অনেক রাস্তা ডুবে গেছে এবং বাসিন্দারা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিচ্ছেন।
ত্রাণ দলগুলোকে বোতলজাত পানি ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে এবং হতাহতদের উদ্ধারে বিভিন্ন ভবনে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে দেখা যাচ্ছে। তারা রাত অবধি এসব কাজ করে যাচ্ছেন।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রশমন বিভাগ জানায়, বুধবার সকালের দিকে বন্যার পানি কিছুটা হ্রাস পেতে দেখা যায়।
ডেপুটি গভর্নর প্রিচা বলেন, বন্যায় রেল লাইন ডুবে যাওয়ার কারণে কয়েকদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কয়েকদিন পর মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী নারাথিওয়াত প্রদেশের রেল পরিষেবা ফের চালু করা হয়েছে।
২০১১ সালে থাইল্যান্ডজুড়ে ব্যাপক বন্যায় শত শত মানুষ মারা যায় এবং লক্ষাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Leave a Reply