অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। এরই মধ্যে ভোটারদের উদ্দেশে সমাপনী বক্তব্য দিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। কমলা হ্যারিস তার বক্তব্য এমন স্থানে দিয়েছেন, যেখানে প্রায় চার বছর আগে ক্যাপিটল দাঙ্গার ঠিক আগে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্য রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও বক্তব্য রেখেছিলেন।
সেই ওয়াশিংটনে নিজের শেষদিকের নির্বাচনি প্রচারে কমলা বলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধের বন্যা বয়ে দেবেন। তিনি শত্রুর তালিকা নিয়ে হোয়াইট হাউজে যাবেন। আর আমি দেশের কল্যাণে কী করা যায় সেই পরিকল্পনার তালিকা নিয়ে যাব।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে কমলা হ্যারিস মার্কিনিদের সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে কেবল তার শত্রুকেই ঘায়েল করবেন না, সাধারণ মানুষের ওপরও তিনি প্রতিশোধ নেবেন।
তিনি বলেন, ৯০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে আমি অথবা ট্রাম্প ওভাল অফিসে যাব। কিন্তু দুই জনে পরিকল্পনায় তফাত্ রয়েছে। তিনি শত্রুকে শেষ করার জন্য কাজ করবেন। আর আমি দেশের মঙ্গলের জন্য অগ্রাধিকার ইস্যুগুলো বাস্তবায়ন করব।
ভাইস প্রসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভোটারদের লক্ষ্য করে বলেন, এই নির্বাচন সম্ভবত আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। স্বাধীনতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে যে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার এখনই সময়। এর মাধ্যমে আপনারা জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ কাহিনির পরবর্তী অধ্যায়টি লিখতে পারবেন।’
হ্যারিস বলেন, ট্রাম্প ভারসাম্যহীন, প্রতিশোধপরায়ণ এবং ক্ষুব্ধ একজন ব্যক্তি। বাইডেনের কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারেননি রিপাবলিকান প্রার্থী, তাই সশস্ত্র জনতা দিয়ে ইউএস ক্যাপিটলে হামলা চালিয়ে নির্বাচনের ফল উলটে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খরচ কমানো, যা করোনা মহামারির আগ থেকে বাড়ছিল এবং এখনো অনেক বেশি। সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হ্যারিস বলেন, পরস্পরকে দোষারোপ করা বন্ধ করে আমাদের উচিত হাতে হাত রেখে দাঁড়ানো।
নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন কমলা। তিনি বলেন, ‘নিজের শরীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মৌলিক স্বাধীনতা মানুষের থাকা দরকার। অথচ ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার নারীদের গর্ভধারণ করতে বাধ্য করবেন। বিশ্বাস না হলে আপনারা প্রজেক্ট ২০২৫ গুগল করুন।’
তবে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নারীদের গর্ভধারণে ট্রাম্প বাধ্য করবেন এমন কোনো পরিকল্পনার প্রমাণ এখনো মেলেনি। এদিকে গাজা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ও উদারপন্থি বার্নি স্যান্ডার্স।
Leave a Reply