অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আগামী ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে আসা প্রিন্স হ্যারির বহুল প্রত্যাশিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’। তবে ইতোমধ্যে বইটি সাড়া ফেলেছে।
বইয়ে হ্যারির স্ত্রী মেগানকে নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়ার ঘটনাও স্থান পেয়েছে। বইটির একটি কপি হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। তারা এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রিন্স হ্যারিকে উদ্ধৃত করে দ্যা গার্ডিয়ান লিখেছে, “ও আমার জামার কলার চেপে ধরে, আমার গলার নেকলেস ছিঁড়ে ফেলে, এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।”
শুধু তাই নয়, এই বইতে অন্তত ২৫ জন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যার কথা লিখেছেন প্রিন্স হ্যারি। সূত্র: বিবিসি
সেখানে বলা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি যখন ২০১২-১৩ সালে আফগানিস্তানে হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে কাজ করতেন তিনি ৬টি মিশনে অংশ নেন। সব মিশনেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হতাহতকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে প্রিন্স হ্যারি দেখেছেন বলে বইতে উল্লেখ করেছেন।
প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, “এটি এমন পরিসংখ্যান ছিল, যা না আমাকে গর্বিত করেছিল তবে এটি আমাকে লজ্জিতও করেনি। নিজেকে আমি যখন যুদ্ধের উত্তাপ ও বিভ্রান্তির মধ্যে দেখতে পাই তখন সেই ২৫ জনকে মানুষ হিসেবে ভাবিনি।”
তিনি তাদের (তালেবান যোদ্ধা) দাবার গুটির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এছাড়া সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, বইতে প্রিন্স হ্যারি কোকেন ও গাঁজার মতো মাদক সেবনের কথাও স্বীকার করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি যখন ১৭ বছর বয়সী ছিলেন তখন তিনি অন্য কারো বাড়িতে কোকেন সেবনের প্রস্তাব পান। তিনি স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি কোকেন সেবন করেছেন তবে এটি উপভোগ করতে পারেননি বলে জানান।
প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, “এটি আমার কাছে খুব মজার ছিল না এবং আমাকে বিশেষভাবে আনন্দিত করেনি যেমনটি অন্য সবার কাছে মনে হয়েছিল। কিন্তু এটি আমাকে অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছে এবং এটিই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য।”
গাঁজা সেবনে কথা উল্লেখ করে জানান, তিনি ইটন কলেজের বাথরুমে গাঁজা সেবন করেছেন ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায়। এ ছাড়া বইতে রাজপরিবার নিয়ে আরও বিস্ফোরক বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি।
এদিকে প্রিন্স উইলিয়ামের সরকারি বাসভবন কেনসিংটন প্রাসাদ, এবং বাকিংহাম প্রাসাদ দু’জায়গা থেকেই বলা হয়েছে তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করবে না।
Leave a Reply