23 Feb 2025, 05:00 am

বছরে ৩ কোটি মুসল্লিকে ওমরাহর সুযোগ দিতে চায় সৌদি আরব

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। দেশটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি প্রতিবছর অন্তত ৩ কোটি মানুষকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে চায়। গত শনিবার গালফ নিউজের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে প্রতিবছর এক কোটি মানুষকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। সৌদির ওমরাহ-বিষয়ক সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি আবদুলরাহমান বিন ফাহাদ সৌদি টেলিভিশন আল এখবিয়ারকে বলেন, প্রতিবছর ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি এই সময় উল্লেখ করেছেন যে, চলতি বছর ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গালফ নিউজ জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ওমরাহের মৌসুম শুরু হবে। এর আগে দেশটিতে হজ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে ১৮ লাখ মুসল্লি দেশটিতে গেছেন।

দেশটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওমরাহ পালনে আগ্রহী মুসল্লিদের জন্য তাদের বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচার করে আসছিল। গালফ নিউজের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি হিজরি বছর শুরুর প্রথম ছয় মাসে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিতে যান ৪৫ লাখের বেশি মানুষ। এসব মুসল্লিদের মধ্যে বেশিরভাগই বিমানযোগে সৌদি গেছেন। অন্যরা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা এবং সমুদ্রপথে।

দেশটিতে এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন ওমরাহ পালনের জন্য যান। এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি থেকে সৌদিতে ওমরাহ পালনে গেছেন ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। এরপর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, মিসর ও ইরাক।

সম্প্রতি সৌদি আরব ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের জন্য ইলেকট্রনিক ভিসা বা ই-ভিসা চালুর ঘোষণা দেয়। ওমরাহ পালনে আগ্রহীরা নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভিসার মেয়াদও ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে দেশটি।

এই ভিসার মাধ্যমে স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে দেশটিতে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া নতুন নিয়ম হিসেবে বলা হয়েছে, এখন ভিসা পেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না। সেইসঙ্গে নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক থাকার বাধ্যবাধকতাও আর নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *