অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুখরের হামলার প্রতিশোধ নিতে দখলদার ইসরায়েলে হামলা চালানো হবেই বলে জানিয়েছে ইরান। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধেও; সে বিষয়টি নিয়ে ভাববে না তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আরব বিশ্ব এবং মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তারা যেন ইসরায়েলে হামলা না চালায়। কিন্তু জবাবে ইরান ও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে তারা হামলা চালাবেই। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধার যে শঙ্কা তৈরি হবে সেটি তারা বিবেচনায় নেবে না।
গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হত্যার শিকার হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। অপরদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারান হিজবুল্লাহ কমান্ডার শুখর।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উত্তেজনা নিরসনে জর্ডান এবং লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরব দূতদের ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধে তাতে তাদের কিছু করার নেই।
অপর সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের উপর কয়েকদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরান।
ইরানের সম্ভাব্য হামলার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে এখন প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল।
হামাস প্রধান ও হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির যে আলোচনা চলছিল সেটি আবার থমকে গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা করছে হিজবুল্লাহ ও ইরান।
Leave a Reply