অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মার্কেল সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার জবাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ওই বক্তব্য থেকে তিনি দারুণভাবে হতাশ হয়েছেন।
জার্মান সাবেক চ্যান্সেলর সম্প্রতি বলেছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়া এবং ইউরোপের মিত্রদের মধ্যে যে মিনস্ক চুক্তি হয়েছিল তা মূলত করা হয়েছিল ইউক্রেনকে ভবিষ্যত যুদ্ধে প্রস্তুত করার জন্য সময় ক্ষেপণ করতে।
গতকাল (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের এই বক্তব্য সম্পর্কে আরও বলেন, “এটি আপনি কি বলেন?” জার্মান সাবেক চ্যান্সেলরের মুখ থেকে এই ধরনের স্বীকারোক্তি শুনে তিনি সত্যিই মর্মাহত হয়েছেন অথচ রাশিয়া বার্লিনকে মিত্র বিবেচনা করত। বার্লিন রাশিয়ার ব্যাপারে কী এই আন্তরিকতা দেখালো!
পুতিন বলেন, জার্মান সাবেক চ্যান্সেলরের এই স্বীকারোক্তি থেকে একথা আবারো প্রমাণ হয় যে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান সঠিক ছিল।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পরোশেংকো নিজেও সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, তারা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে একেবারে আগ্রহী ছিলেন না। তাদের সবার এই অনাগ্রহের পরেও মস্কো আশা করেছিল মিনস্ক চুক্তি অনুসারেই ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করা যাবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্কেলের স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে এসেছে, সেটি হচ্ছে- বিশ্বাস একেবারেই শূন্যের কোটে পৌঁছেছে তার পরেও তার এই বক্তব্যের পর আমরা কিভাবে নতুন কোনো আলোচনার ওপরে আস্থা রাখতে পারি? কারো সাথে কী কোনো চুক্তির সুযোগ আ? চুক্তির বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা আছে?
অ্যাঙ্গেলা মার্কেল একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বুধবার বলেছেন, ২০১৪-১৫ সালে যে মিনস্ক চুক্তি সই হয়েছিল তার আসল উদ্দেশ্য ছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যত যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে বেশি সময় দেয়া যাতে তারা নিজেদের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারে।
Leave a Reply