22 Feb 2025, 07:59 pm

শীতের শেষে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় চলছে অতিথি পাখি নিধন  ; পরিবেশের জন্য হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উত্তরের হিমেল হাওয়ার শুরুতেই বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করে বাংলাদেশে। উপকূলীয় অঞ্চল খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা এলাকার সামাজিক বনায়ন গুলোতে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাঙ্গাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, সরালি কাস্তে, হুরহুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় শীতের শুরু থেকে। যা চলে গ্রীস্মের আগ পর্যন্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সময়টাতে অপতৎপরতা বাড়ে চোরা শিকারীদের। এখনো এসব অঞ্চলে চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিষটোপ কিংবা ফাঁদ পেতে অবাধে শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবসহ অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু পাখি শিকার চালিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াকাটার আরজু বেগম জানান, তার বসতবাড়ির সাথে দেড় বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানে অতিথি পাখির আগমন হয় শীতের শুরুতে। প্রতিদিন বিকালে পাখিরা যখন দিন শেষে ফিরে আসে তখন এলাকার মানুষ ছাড়াও বাইরের এলাকা থেকে অনেকে দেখতে আসেন। সবাই মুগ্ধ হয়ে পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু শিকারী রাতের আধারে এয়ারগান আর গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করে। এজন্য গতবছর তার বাগান থেকে পাখি চলে গিয়েছিলো। এবছর রাতে তিনি পাহারাদেন। তবুও গভীর রাতে অনেকে তাকে ফাঁকি দিয়ে পাখি শিকার করে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব কল্যাণ ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে হাজার হাজার অতিথি পাখি আশ্রয় নিয়েছে কিন্তু অসাধু কিছু শিকারি আমাদের ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার চলছেই।

কক্সবাজারের পাখি প্রেমী সাইফুল বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের দেশে আশ্রয় নেওয়া অতিথি পাখিদের কিছু অসাধু শিকারি রাতের আধারে ফাঁদ পেতে, গুলতি, ইয়ারগান ও দিনের বেলায় বিষ টোপ দিয়ে শিকার করছে। অতিথি পাখির আশ্রয়স্থলে প্রশাসনিক নজরদারির সাথে সাথে পাখি শিকার রোধে লিফলেট বিতরণ ও প্রচার প্রচারণা করলে অতিথি পাখি শিকার কমানো সম্ভব।

এবিষয়ে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা নাম  পরিচয় প্রকাশে অনাগ্রহ দেখিয়ে বলেছেন,  বন্যপ্রাণী নিধন দন্ডনীয় অপরাধ৷ অতিথি পাখি শিকার রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় সভা ও জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। সামাজিক বনায়নে পাখিদের আশ্রয়ের জন্য মাটির ভাড় বেঁধে বাসা তৈরি করা হয়েছে। কেউ যদি অতিথি পাখি শিকার করে তাকে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *