অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইতালির রোমে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে পূর্বে হওয়া পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই তেহরানের।
বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, শনিবার (১৯ এপ্রিল) ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় প্রায় চার ঘণ্টা আলোচনার পর ইরানি প্রতিনিধিদল মার্কিন পক্ষকে জোর দিয়ে বলেছে, তারা ২০১৫ সালের যৌথ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনাকে (JCPOA) অতীত থেকে প্রাপ্ত একটি ‘শিক্ষা’ হিসাবে বিবেচনা করে এবং এতে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।
এক্স-পস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, ইরানের অনেকেই আর JCPOA-কে একটি লাভজনক চুক্তি হিসেবে দেখেন না। তাদের জন্য, এই চুক্তির যা অবশিষ্ট আছে, তা কেবল ‘শিক্ষা’। ব্যক্তিগতভাবে, আমি এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, এই আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছুটা আশাবাদ বজায় থাকলেও, তেহরান এখনো ‘সতর্ক’ রয়েছে।
তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতের চুক্তির কাঠামোর রূপরেখা তৈরিতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে দ্বিতীয় দফার আলোচনায়।
তাসের প্রতিবেদন অনুসারে, রোমের এই পরোক্ষ আলোচনায় প্রতিনিধিদলগুলো পৃথক কক্ষে অবস্থান করেছিল। তারা উভয়ে ওমানের মধ্যস্থতার মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
এর আগে, ১২ এপ্রিল ওমানের রাজধানী মাস্কাটে প্রথম ধাপের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফ এবং ইরানের আরাঘচির নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। ওই আলোচনাও ছিল ‘পরোক্ষ’ ধাঁচের।
ইরানের পারমাণবিক চুক্তির পটভূমি
২০১৫ সালে ইরান এবং ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের একটি দল ‘JCPOA’ চুক্তি সই করে। এর লক্ষ্য ছিল ২০০৪ সালে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের অভিযোগে পশ্চিমাদের উদ্বেগের দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান করা।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চুক্তি থেকে সরে যান। এটি চুক্তির বাস্তবায়নকে ব্যাহত করে। পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনরায় চুক্তিটিতে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।