অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বলেছে, বিদেশি-মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে সিরিয়ার পতন হওয়ার পর সৃষ্ট অস্থিতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দেশটির অবকাঠামো ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠেছে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল।
এই বাহিনী এক বিবৃতিতে সিরিয়ার অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার আবাসিক ও সামরিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করছে এবং সিরিয়ার ভূমি জবরদখল করেছে।
এ ধরনের নগ্ন আগ্রাসন ও হামলার ব্যাপারে ‘বিস্ময়কর নীরবতা’ দেখানোর জন্য বিবৃতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করা হয়।
আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাকে ইরান নিজের মৌলিক নীতি বলে মনে করে। সিরিয়ার ভবিষ্যত নির্ধারণ করার একমাত্র অধিকার দেশটির জনগণের রয়েছে এবং এই ন্যায়সঙ্গত ও বৈধ অধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজকে সম্মান জানাতে হবে।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলামি প্রতিরোধ ফ্রন্ট নিষ্ক্রিয় থাকবে না বরং আঞ্চলিক দেশগুলোর ভৌগোলিক অখণ্ডতা লক্ষ্য করে যেকোনো হামলা এবং এসব দেশকে খণ্ডবিখণ্ড করার যেকোনো প্রচেষ্টা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে রুখে দেবে।
তাহরির আশ-শামের নেতৃত্বাধীন বিদেশি মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের সাফল্য অর্জনের পর গত রোববার সকাল নাগাদ রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। এর মাধ্যমে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটে।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ইহুদিবাদী ইসরাইল, তুরস্ক ও কিছু পশ্চিমা দেশের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তাহরির আশ-শাম বিদ্যুৎ গতিতে সিরিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বুধবার এক ভাষণে বলেছেন, সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে প্রতিবেশী একটি দেশের [তুরস্কের] সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই; কিন্তু এর পেছনে মূল ষড়যন্ত্র ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল।
Leave a Reply