অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দুই শিশু ও তাদের মা-সহ চার ইসরাইলি বন্দীর মরদেহ আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় এই বন্দীরা নিহত হয় বলে হামাস জানিয়েছে।
হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) গাজার খান ইউনিসে এই হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। নিহত দুই শিশুর নাম কেফির বিবাস ও অ্যারিয়েল বিবাস (৪)। মা শিরি বিবাস। চতুর্থ যে বন্দীর মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, তিনি ওদেদ লিফশিৎজ।
হামাস সদস্যরা রেড ক্রসের ট্রাকে সাদা চাদরে ঢাকা কালো রঙের কফিনগুলো উঠিয়ে দেয়। এরপর রেডক্রসের গাড়িবহর ইসরাইলের উদ্দেশে রওনা দেয়। বৃষ্টিপাতের মাঝেও বহু ফিলিস্তিনি মরদেহ হস্তান্তরের এই প্রক্রিয়া দেখার জন্য উত্তর গাজার খান ইউনিসের নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হন। হামাস সদস্যদের কড়া প্রহরায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়।
গত বছরের নভেম্বরে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরাইলি বিমান হামলায় বন্দী ওই মা ও দুই শিশু নিহত হয়েছে। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ কখনোই তাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেনি। এমনকি শেষ মুহূর্তেও ইসরাইলের কেউ কেউ তাদের মৃত বলে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বিবাস এবং লিফশিৎসের পরিবারের প্রতি এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “আমরা সবসময় চাইতাম তোমাদের ছেলেরা জীবিত অবস্থায় তোমাদের কাছে ফিরে যাক। কিন্তু তোমাদের সেনাবাহিনী এবং নেতারা তাদেরকে ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে হত্যা করার বেছে নিয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করে নিজেদের নাগরিকদের হত্যার পাশাপাশি ইসরাইল ১৭ হাজার ৮৮১ জন ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। আমরা জানি যে তাদের নিহত হওয়ার পেছরে প্রকৃতপক্ষে কারা দায়ী তা আপনারা জানেন। আপনারা এমন একটি নেতৃত্বের অধীন যারা তাদের সন্তানদের যত্ন নেয় না।”
১৯ জানুয়ারি থেকে হওয়া ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিরা মুক্তি পাচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত চুক্তির প্রথম পর্যায়ের ৩০ দিনে ১৯ ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অপরদিকে, এক হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। পরবর্তী ১২ দিনে আরও ১৪ ইসরাইলি বন্দী মুক্তি পাবে। ইসরাইল জানিয়েছে, বাকিদের মধ্যে আট জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছে।
Leave a Reply