ভারতের অন্যতম প্রাচীন শহর বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত চলবে এ নৌবিহার। পুরো সফরে সময় লাগবে অন্তত ৫০ দিন, এর মধ্যে বাংলাদেশে কাটবে ১৫ দিন।
সফরকারীরা শুধু নৌযানেই থাকবেন তা কিন্তু নয়। সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁ, ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখারও সুযোগ পাবেন তারা।
সফরকালে বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণকারীদের আরাম-আয়েসের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। জিম, স্পা, উন্মুক্ত ডেকসহ থাকবে গান-বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধাও।
গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরীতে একসঙ্গে ৮০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। তাদের রাতযাপনের জন্য থাকছে ১৮টি বিলাসবহুল স্যুট।
এর আগে, গত নভেম্বরে ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এক টুইটে জানান, আগামী বছরের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার। বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় হয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে চার হাজার কিলোমিটার জুড়ে থাকবে গঙ্গা বিলাসের যাত্রাপথ।
জানা গেছে, গঙ্গা বিলাস নৌবিহার উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বুক্সার, রামনগর ও গাজিপুর হয়ে অষ্টম দিনে পাটনা পৌঁছাবে। সেখান থেকে নৌযানটি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ফারাক্কা-মুর্শিদাবাদ হয়ে ২০তম দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে পৌঁছাবে। পরের দিন সেটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। পরবর্তী ১৫ দিন প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের জলসীমায় থাকবে। এরপর গুয়াহাটি দিয়ে সেটি আবারও ভারতে ঢুকবে এবং শিবসাগর হয়ে ডিব্রুগড়ে শেষ গন্তব্যে পৌঁছাবে।
Leave a Reply