অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিগত বছরগুলোর মতো এবছরও সারের দাম বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের চাপ থাকলেও সারের দাম বাড়াতে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি। অর্থ মন্ত্রণালয় বারবার আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে যে, সারের দাম বাড়ান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অনড়, কিছুতেই তিনি সারের দাম বাড়াবেন না।’
কৃষক যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার পায় সেজন্য সভায় সারের চাহিদাও নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমএপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, সাড়ে ৫ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালেফেট, ২ হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ৫০ হাজার টন বোরন প্রয়োজন হবে।
মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আমরা সার নিয়ে কোনও সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে যাতে কোনও কৃষককে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।
স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখন বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) সার কারখানাগুলো যে সক্ষমতা আছে; যদি গ্যাস সরবরাহ করা যায় তাহলে খুব কম পরিমাণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে বা করতে হবেই না— আমরা এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
Leave a Reply