September 15, 2025, 1:17 am
শিরোনামঃ
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা ভূমিকম্পে একসঙ্গে কাঁপল বাংলাদেশ-ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৬ দেশে খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা সহায়তা প্রদান দিনাজপুরে গমের জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ বিষয়ক কর্মশালা ভোলায় শিক্ষায় আধুনিকীকরণ শীর্ষক সেমিনার  ফিলিস্তিনর গাজায় পোকার কামড়ে অতিষ্ঠ ইসরায়েলি সেনারা ; ছড়িয়ে পড়ছে চর্মরোগ মুসলিম দেশগুলো মিলে ‘যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর’ গঠনের আহ্বান জানাল ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধ  করতে হবে :  ট্রাম্প ইউক্রেনে ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল রোমানিয়া ও পোল্যান্ড
এইমাত্রপাওয়াঃ
বাংলাদেশে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ

মানিকগঞ্জে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর মায়ের ঠাঁই হলো ছাগলের ঘরে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অশীতিপর বৃদ্ধা রহিতন বেগমের পাঁচ সন্তান। দুই মেয়ে কৌশলে তার সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন। এ নিয়ে বাকি সন্তানদের সঙ্গে শুরু হয় বিরোধ। এ কারণে কোনো সন্তানের ঘরেই ঠাঁই হলো না বৃদ্ধা মায়ের। এখন তিনি থাকেন ছাগলের ঘরে। ভাঙাচোরা এক চৌকিতে ২৪ ঘণ্টা কাটে রহিতন বেগমের।

রহিতন বেগমের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাটরাকান্দি গ্রামে। প্রায় ৪০ বছর আগে তার স্বামী মোসলেম উদ্দিন মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, মারা যাওয়ার আগে তার নামে ১৬৫ শতাংশ জমি লিখে দেন স্বামী মোসলেম উদ্দিন। বিল্লাল হোসেন (৫৫), মমতাজ বেগম (৫০), বেদানা বেগম (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৩) ও অঙ্গুরি বেগম (৪০) নামে তাদের পাঁচ সন্তান।

কৌশলে বেদানা বেগম ও অঙ্গুরি বেগম মায়ের সব জমি লিখে নিয়েছেন। অন্য সন্তানরা এর বিরোধিতা করেন। এরপর থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসও হয়েছে। শালিসে বেদানা ও অঙ্গুরি বেগম অঙ্গীকার করেন তারা মায়ের ভরণপোষণ ও সেবাযত্ন করবেন। কিন্তু বাস্তবে বৃদ্ধা মা নানা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে বেদানা বেগমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট ছাপড়া ঘরের এক পাশে ছাগল আর আরেকপাশে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে রহিতন বেগমের। কঙ্কালসার দেহ নিয়ে বৃদ্ধা রহিতন বেগম চৌকির এক কোণে শুয়ে আছেন। অন্ধকার আর স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে নেই আলো বাতাসের ব্যবস্থা। পরনে শুধু এক টুকরো কাপড়। মলমূত্র ছড়িয়ে আছে চৌকি আর ঘরের মেঝেতে। শরীরে কয়েকস্থান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তিনি কোনো কথা বলতে পারেন না। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে শুধু অসহায়ের মতো ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন।

কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন বৃদ্ধার আরেক মেয়ে অঙ্গুরি বেগম। মায়ের ছবি তোলায় দুই মেয়ে চড়াও হয়ে ওঠেন সাংবাদিকদের ওপর। সঙ্গে যোগ দেন তাদের স্বামী-সন্তানরাও।

রহিতন বেগমের বড় মেয়ে মমতাজ বলেন, তার দুই বোন ও তাদের স্বামীরা মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি লিখে নিয়েছেন। জমি নেওয়ার পর থেকে তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। ভরণপোষণ ও সেবাযত্ন করার নামে তাকে ছাগলের ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন। মাকে আমাদের কাছে আনতে চাইলে তারা বাধা দেন, মারধর করেন।
এ জন্য তিনি মাকে উদ্ধার ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ছোট ছেলে দেলোয়ার হোসেন জানান, বিছানাতে টয়লেট করেন বলে মাকে খাবার দেওয়া হয় না। আমরা খাবার দিতে গেলে অথবা মাকে আনতে গেলেও তারা ঝগড়া বিবাদ করেন।

প্রতিবেশী সামেলা বেগম জানান, অনেক সময় বৃদ্ধা রহিতন বেগম ক্ষুধায় কাতরালেও খাবার না দিয়ে উল্টো বকাঝকা ও মারধর করা হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেদানা ও অঙ্গুরি বেগম। তারা বলেন, উনি অসুস্থ। তিন বেলা খাবার দিলে পায়খানা-প্রস্রাব করে ঘর নষ্ট করে। তাই আলাদা ঘরে রেখেছি। এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সাধ্যমতো মায়ের সেবাযত্ন করে যাচ্ছি। এত মায়া লাগলে আপনারা এসে সেবা করেন। মায়ের জমি আমরা জোর করে লিখে নেইনি। মা নিজেই ভালোবেসে জমি লিখে দিয়েছেন।

ঘিওর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বসা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ওই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। অবহেলা আর অযত্নে তিনি খুব কষ্টে দিন পার করছেন।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বৃদ্ধার সব সন্তান ও স্বজনদের থানায় ডাকা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

আজকের বাংলা তারিখ

September ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Aug    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  


Our Like Page