তিনি বলনে, ‘উন্নয়ন মাত্র শুরু হয়েছে, উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়ন দেখে বিরোধী দলের জ্বালা করছে, অন্তর জ্বালা। কত জ্বালা? পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের জ্বালা, উড়াল সেতুর জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, ১০০ সড়কের জ্বালা। তারা অন্তর জ্বালায় মরে যাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের আজ সকালে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
সড়ক পরিবহন ওেেসতুমন্ত্রী বলেন, সামনে আছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, পায়রা, রামপাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয় এই সবই শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জন। এই অর্জন বিএনপি সইতে পারে না। ফলে তারা অন্তর জ্বালায় ভুগছে।
আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে দলীয়নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। লাল কার্ড দেখবেন না? ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন, তারেক রহমানের আগমন সবই ভুয়া। বিএনপি’র আন্দোলন ও সরকার পতন সবই ভুয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি শুরু করেছেন বিক্ষোভ দিয়ে, এখন করছেন নিরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন পদযাত্রায়। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। কাজেই আপনারা প্রস্তুত থাকেন, সামনে খেলা হবে, ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অস্ত্রপাচারের বিরুদ্ধেখেলা হবে? আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল এই বছরই চালু করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়াতে সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন মেতে উঠেছে। লুঙ্গি পরে মেট্রোরেলে উঠতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সেকি আকর্ষণ! ছয়টি মেট্রোরেল চালু হলে ২০৩০ সালে ঢাকার আশপাশ নতুন সাজে সাজবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনোদিন অস্তিত্ব হারাবেন না। একজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতার জন্য। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, তার উত্তরাধিকার হয়ে বেঁচে থাকবেন। তারই পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।