শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে।
বর্তমান সরকার সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ প্রণয়ন করি এবং ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন শুরু করি। এই আইনকে অধিকতর কার্যকরকরণ এবং অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন ও ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এরই মধ্যে সাড়ে তিন লাখের বেশি করদাতা নতুন ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন অনলাইনে গ্রহণ করেছে এবং ৭৩ শতাংশ দাখিলপত্র অনলাইনে হচ্ছে। ই-পেমেন্টে অর্থ বিভাগের অটোমেটেড চালান ব্যবহার করে ১২টি তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে এবং ৪৬টি তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে অফলাইনে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, একটি সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এছাড়া প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, যুগোপযোগী ও জনবান্ধব রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।