অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীরজাফর। পলাশীর সেনাপতি মীরজাফর, আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান। (বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে) জিয়া জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনি চক্র তাকে হত্যার দুঃসাহস পেতো বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম, বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দুকন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট, সেই বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।’
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
‘বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতির ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাস কোনও স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবে না। অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, একদিন তাদের যে দণ্ড, সেই দণ্ডও কার্যকর করা হবে, ইনশাআল্লাহ।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ফখরুল সাহেবরা আজকে অপপ্রচার করছে। তারা ষড়যন্ত্র করবে, আমরা কাজ করে যাবো। আমরা মানুষের পাশে থাকবো।’
মুজিবকোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিবকোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছে। মুজিব সৈনিক হতে হলে, মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরো ঐক্যবদ্ধ, আরও সংগঠিত, আরও সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিল, এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, রাজনীতি একদিনের ব্যাপার নয়, এক বছর, কয়েক বছরেও ব্যাপার নয়। নোয়াখালীতে আমি আর বিভেদ দেখতে চাই না। ক্ষমা করার উদারতা আমার আছে।’
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, এ দেশ এতো দিনেও স্বাধীন হতো কিনা, সন্দেহ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে জন্ম দিয়েছিলেন। আর মুক্তির জন্য জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। একজন স্বাধীনতার জন্য আরেকজন মুক্তির জন্য। আমাদের মুক্তির সংগ্রামের অসীম সাহসী কান্ডারী শেখ হাসিনা।’
নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।