01 Mar 2025, 12:03 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজি প্রেসের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতাররা হলেন- বিজি প্রেসের পোটার মো. মজনু মিয়া (৫৯) ও বাইন্ডার মো. আকরাম হোসেন (৪৭)।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিসিএস প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির একটি দল। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

গত ৮ জুলাই সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আলোচনায় আসা সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোয়ানুর রহমান সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।

এ ঘটনায় পরবর্তীসময় মামলা হয়। মামলার পর প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেফতার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফাঁসি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী যে ভাষণ দিয়েছেন তা সমর্থন করে সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ইমাম খামেনেয়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজের হাজার হাজার সদস্যের সমাবেশে দেয়া ভাষণে বলেন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তার পাশাপাশি ইসরাইলের অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধেও মৃত্যুদণ্ড জারি করতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওই ভাষণের পর সামাজিক মাধ্যম এক্স ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন। পার্সটুডের এই রিপোর্টে এরকম কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারীর মন্তব্য তুলে ধরা হচ্ছে:

নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী : ইরানি এক্স ব্যবহারকারী সাইয়্যেদ মোহাম্মাদ হোসেইনি লিখেছেন: ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁসি দেয়া হলে তা হবে তার জন্য ন্যুনতম শাস্তি।

হোসেইনি লিখেছেন: বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী যার ন্যুনতম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং পরকালে তার জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করছে; তাকে থামানোর একমাত্র উপায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষগুলোর উচিত নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সাহায্য করা : তাহা সারাবান নামক আরেক এক্স ব্যবহারকারী নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন: বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষদের উচিত অবিলম্বে ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি জোট গঠন করা এবং নেতানিয়াহুসহ সকল ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা। আমি শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের সমর্থক পশ্চিমা নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, তারা যেন স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর হাতে শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই এই যুদ্ধাপরাধীর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

নেতানিয়াহুকে খতম করার নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে : ‘মিস্টার বিশ্লেষক’ ছদ্মনামের একজন এক্স ইউজার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি করা মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন।

তিনি লিখেছেন: একদিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল। আজ আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, সে একটা উন্মাদ এবং তাকে গ্রেফতার করতে হবে। নিশ্চিতভাবে তাকে খতম করার নির্দেশও বাস্তবায়িত হবে। আজকের দিনটি মনে রাখুন।

নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও যথেষ্ট নয় : ইরানি এক্স ইউজার সামাদ খালেদিও ইহুদিবাদী যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রীর ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে এই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহুকে হাজার বার মৃত্যুদণ্ড দিলেও তা কম হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আদালত বা আইসিসির পক্ষ থেকে অবিলম্বে নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধাপরাধীদের গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা উচিত।

নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ : অপর ইরানি এক্স ইউজার মাহসা আলাভি নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ডকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি লিখেছেন: নেতানিয়াহু শুধু ফিলিস্তিন নয় সেইসঙ্গে গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে যুদ্ধ ও রক্তপাত চাপিয়ে দিতে চায়; তার নির্দেশে যে অপরাধযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার অবশ্যই জবাব দেয়া উচিত। নেতানিয়াহুর মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ।

সকল অপরাধযজ্ঞের পেছনে রয়েছে নেতানিয়াহু : ইরাকের আরেক এক্স ব্যবহারকারী ফাতেমা সাদাত গাদিরি মনে করেন, সমসাময়িক ইতিহাসে নেতানিয়াহুর মতো অপরাধী খুব কম পাওয়া যাবে যে কিনা এত ভয়াব ও নির্দয়ভাবে অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে।

তিনি লিখেছেন: গাজার ওপর ভয়াবহ বোমাবর্ষণ ও এই উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সেখানকার মানুষগুলোকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার নির্দেশ নেতানিয়াহুই জারি করেছে।

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ীর ভাষনে নেতানিয়াহুর ফাঁসির আহ্বান সময়োপযোগী

 
বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আদালত এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের সময় সাইফুল ইসলাম নামে রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। নিহত আইনজীবি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় হতাহত আট জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার শরীরে কোপের আঘাত আছে।’
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, ‘নিহত সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণকে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সাড়ে ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন তার অনুসারীরা। প্রিজনভ্যানের সামনে অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়েন। পরে আদালত এলাকায় ভাঙচুর শুরু করেন তারা। পাশাপাশি আইনজীবীদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আড়াই ঘণ্টা পর বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা শুরু করে। পরপর কয়টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে পুলিশ প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যেতে চাইলে সেটির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় আইনজীবীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত আছে। স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি আমরা।’
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা বলেন, ‘আদালতের মসজিদ, ভবন, আশপাশের স্থাপনা, আইনজীবীদের কক্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হামলায় এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, ‘চিন্ময়ের ভক্তরা আদালত এলাকায় হামলা চালিয়েছেন। বারবার অনুরোধ করা হলেও সরে যাননি। পরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘আদালত এলাকায় বিক্ষোভকারীদের হামলায় এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
গত ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর আইনজীবী স্বরূপ কান্তি নাথ বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিনের আবেদন করা হয়েছে।  বুধবার এটি শুনানির কথা রয়েছে।

চট্টগ্রামে  আদালতে সনাতনীদের হামলা ও ভাঙচুর ; রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ