27 Feb 2025, 03:26 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  বাণিজ্য শুল্ক এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় অঙ্কের তেল ও গ্যাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম  ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, বড় আকারে আমাদের তেল ও গ্যাস কিনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বিশাল (বাণিজ্য) ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় সবকিছুতে শুল্ক দিতে হবে।”

এর আগে আমেরিকার শীর্ষ দুই বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়াও, তিনি বৈশ্বিক আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এবং চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০২ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইইউ। ২০২২ সালে ‌আমেরিকার সঙ্গে ইইউর মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, মার্কিন সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যার মধ্যে ১৩১.৩ ডলার বিলিয়ন বাণিজ্য ঘাটতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

 

 

শুল্ক এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আমেরিকার তেল-গ্যাস কিনতে হবে : ট্রাম্প

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন থামানোর বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।

মিশরের রাজধানী কায়রোয় গতকাল (বৃহস্পতিবার) উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন ডি-এইটের শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে অনুষ্ঠিত আলাদা একটি বৈঠকে একথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সময়ে আজ এখানে মিলিত হয়েছি যখন মধ্যপ্রাচ্য স্পর্শকাতর, জটিল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে সময় পার করছে।

তিনি বলেন, “আমরা যখন গাজা আগ্রাসনের ১৪ মাস পার করতে যাচ্ছি তখন আমরা দেখছি ইহুদিবাদী ইসরাইল লাগাতার বর্বরতা চালাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক অপরাধযজ্ঞ চলছে। সর্বোপরি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবানন এবং সিরিয়ায় বর্বর আক্রমণ চালিয়েছে।”

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদি ইসরাইল গত এক বছরে ফিলিস্তিনি জনগণের শুধুমাত্র স্বাধীনতা, আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও শিক্ষার মতো অধিকার কেড়ে নেয়নি বরং তারা তাদের জীবনের অধিকার, খাদ্য, পানি, আশ্রয় এমনকি পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যে কি হয়েছে তা জানার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ইসরাইলের ভয়াবহ বর্বরতার শিকার ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই মানবতা-বিরোধী অপরাধ এবং অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সারা বিশ্ব ইসরাইলকে নিন্দা জানাচ্ছে।

ইরানি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের বর্বরতা এবং ব্যাপকভিত্তিক আগ্রাসন থামানোর জন্য অবশ্যই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর প্রথম পদক্ষেপে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে এবং লেবানন ও ইসরাইলে যাতে হামলা না করতে পারে তার জন্য তাকে বাধ্য করতে হবে। এই বিষয়গুলো ডি-এইটভুক্ত দেশগুলোর কাছে নৈতিকভাবে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে।

একই সাথে তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে দখলদার সেনা প্রত্যাহারের জোরালো আহ্বান জানান। গাজা থেকে শরণার্থী হয়ে যাওয়া লোকজনদের ঘরবাড়িতে ফিরে আসার ব্যবস্থা করার কথাও বলেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান।

ইসরাইলকে ঠেকানো অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার হতে হবে : ইরানের প্রেসিডেন্ট

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের সংশ্লিষ্ট এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরান এবং হুতিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় একাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও জাহাজ রয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব জাহাজের মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশটি। এ ছাড়া তারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতিদের সহায়তা দিয়ে আসছে।

মার্কিন ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ব্রেডলি স্মিথ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নকারী মূল রাজস্ব উৎসগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরান এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জাহাজ, বিভিন্ন কোম্পানি এবং সহায়তাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে।

অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক প্রকল্প মূলত শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জাহাজগুলো হলো জিবুতির পতাকাবাহী ক্রুড অয়েল ট্যাংকার এমএস এনোলা, সান ম্যারিনোর পতাকাবাহী এমএস এনজিয়া ও পানামার পাতাকাবাহী এমএস মেলেনিয়া। নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সকল সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এ ছাড়া তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হবে।

ট্রেজারি বিভাগ আরও জানিয়েছে, হুতিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ১২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম হলেন হাসিম আলি আহমদ আল মাদানি। তিনি হুতিদের সংশ্লিষ্ট সানার সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান। তার বিরুদ্ধে হুতিদের জন্য ইরান থেকে বেআইনিভাবে তেল পাচার, অস্ত্র পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।

 

১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ