21 Jan 2025, 07:56 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অর্থাৎ ইসরাইলের মসজিদগুলো থেকে আযান প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং লাউডস্পিকার বাজেয়াপ্ত করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা এটাকে পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করছে।

সম্প্রতি দখলদার ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে বলেছে, তারা যেন ইসরাইলি ভূখণ্ডে অবস্থিত মসজিদগুলো থেকে আজান প্রচারে বাধা দেয়।

ইসরাইলের এই চরমপন্থী মন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনী মসজিদে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে এবং আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লাউডস্পিকারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা করার ক্ষমতা পেয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, যেসব মসজিদ থেকে আযান প্রচার করা হবে সেগুলোকে জরিমানা করা হবে।

শাবেস্তান বার্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আউয়াদ বলেছেন- ফিলিস্তিনি সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার জন্য দখলদার ইসরাইল গত কয়েক দশক ধরে যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবে মসজিদ, গীর্জা ও সাংস্কৃতিক স্থানের উপর হামলা করা হচ্ছে এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ও সনদের অবমাননা করা হচ্ছে।

নিহাদ আওয়াদ আরও বলেছেন, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল, এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি জাতিকে নিধন করতে চায়।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থন ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য দখলদারদেরকে আরও সাহসী করে তুলেছে। তিনি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ইসরাইল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রবাসী বাংলাদেশেদের উদ্যোগে তৈরি করাে একটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে সিটি করপোরেশন (ডিবিকেএল)। রাজধানীর বুকিত বিনতাংয়ের জালান নাগাসারি এলাকায় দীর্ঘ ১৩ বছর আগে গড়ে ওঠা ‘সুরাও আল খায়ের’ নামের একটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন (ডিবিকেএল)।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগ-মুহূর্তে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন ও আগামা ইসলাম’র উপস্থিতিতে মসজিদটি বন্ধ করা হয়।

জানা যায়, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাজী কবির তার দোকানের পাশে খালি জায়গায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঞ্জেগানা নামাজ আদায়ের জন্য এই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরপর প্রবাসী ব্যবসায়ী দাতো কালাম, ইসমাইল, রাসেল রানাসহ অনেকের তত্ত্বাবধানে মালয়েশিয়ান মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার রিঙ্গিত খরচ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

প্রবাসীদের উদ্যোগে তৈরি করা এই মসজিদটিতে প্রতিটি পাঞ্জেগানা নামাজে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন। এছাড়া জুমার নামাজে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় হাজার মুসল্লির সমাগম হতো মসজিদটিতে।

মসজিদটি বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এটির তত্ত্বাবধানে থাকা রাসেল রানা জানান, কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন তাদের জানিয়েছে, মসজিদটি সিটি করপোরেশনের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। যা মালয়েশিয়ার আইনের বহির্ভূত।

মালয়েশিয়ার রুল অব ল-এর নীতি অনুসরণ করে সব বিদেশিকে দেশটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিধিব্যবস্থা মেনে চলার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জুমার নামাজ পড়তে আসা এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, বুকিত বিন্তাংয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশির বসবাস। এখানে একমাত্র বাংলাদেশি কমিউনিটির মসজিদ ছিল এটি। নিজেদের তৈরি মসজিদে বাংলায় খুতবায় নামাজ আদায় করে নিজেদের কাছে স্বস্তি লাগতো।

এসময় তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই এলাকায় বাংলাদেশি মসজিদ নির্মাণের দাবি জানান।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের তৈরি মসজিদ বন্ধ করলো সিটি করপোরেশন