23 Feb 2025, 05:21 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলয সরকারের পতন হয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার জের ধরে জার্মান পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় তার সরকারের পতন ঘটল।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে শোলযের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০৭টি আর বিপক্ষে পড়ে ৩৯৪টি; ভোটদানে বিরত ছিলেন ১১৬ জন সদস্য।

আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার সংসদ ভেঙে দেবেন। এরইমধ্যে ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

জার্মানির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আগাম নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আগাম নির্বাচনের বিষয়ে ওলাফ শোলযের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এসপিডি এবং বিরোধী খ্রিস্টান গণতন্ত্রী বা সিডিইউ দলের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। ওই প্রেক্ষাপটে নির্ধারণ করা হয়েছে নির্বাচনের তারিখ।

২০২১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন জার্মানির রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেতা শোলয। নির্বাচনে জয়ের পর ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গ্রিন পার্টি অব জার্মানি- এই দু’দলকে সাথে নিয়ে ত্রিদলীয় জোট সরকার গঠন করেন তিনি। তবে গত কয়েক মাস ধরে জোট শরিক গ্রিন পার্টির সাথে টানাপড়েন চলছিল শোলযের।

এই দ্বন্দ্বের জেরে গত ৭ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী ও গ্রিন পার্টির নেতা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে পদচ্যুত করেন শোলয। কিন্তু শোলযের এই পদক্ষেপে জোট শরিকদের ঐক্যে ফাটল ধরে এবং সরকারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।

 

আস্থা ভোটে পরাজয়ে জার্মান সরকারের পতন ; ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশ আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দেখব বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত সরকারবিষয়ক এই মত একান্তই তার ব্যক্তিগত। শেষ কী হবে, তিনি জানেন না।

আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে অংশ নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, গত সরকারের আমলে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে পদ্মা সেতুসহ বেশ কয়েকটি ভালো প্রকল্প আছে। কিন্তু ওই সব প্রকল্পের মধ্যে অনেকগুলোই ‘প্রেস্টিজ প্রকল্প’ বা সুখ্যাতি অর্জনের জন্য নেওয়া হয়েছিল। এসব নিয়ে কী করা যায়, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ কীভাবে সমতামূলক সমাজ নির্মাণ করতে পারে—এ প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বড় ধরনের সম্পদের স্বল্পতায় আছে। অনেক টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে; মানুষের টাকা ব্যাংকে আছে, কিন্তু ব্যাংকের টাকা বাইরে চলে গেছে। বেক্সিমকোর মতো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের স্থিতিপত্রে অনেক টাকা থাকলেও বাস্তবে দেশের মধ্যে নেই। শ্রমিকদের মজুরি দিতে হয়। কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই বাস্তবতায় সমতামূলক সমাজ নির্মাণ কঠিন। সম্পদস্বল্পতার মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো কঠিন বলে মন্তব্য করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এখন ডায়ালাইসিস মেশিন কেনা হবে নাকি জনস্বাস্থ্যে বিনিয়োগ করা হবে—এটা নৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, এই নৈতিক উভয়সংকটের জবাব অমর্ত্য সেন বা জন রলসের মতো অর্থনীতিবিদেরাও দিতে পারবেন না।

এদিকে, গত ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বাকি যারা কথা বলছেন, সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত।

আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দেখা যেতে পারে : শিক্ষা উপদেষ্টা