23 Feb 2025, 09:46 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের হামেদান প্রদেশের রয়েছে ১১০০’রও বেশি গ্রাম। এর মধ্যে ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি অত্যন্ত দর্শনীয় ও পর্যটকদের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো গ্রামটি রয়েছে ফার্সি, কূর্দি ও আযেরী ভাষাভাষী মানুষ। তাদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ ও পশুপালন।

হামেদানের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২৫০ মিটার উঁচু। আকাশে হেলান দেয়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গ্রাম প্রাকৃতিক বিস্ময়ের সমারোহে যেন স্বর্গীয় এক নিকুঞ্জ।

‘ওয়ারকানে’ কূর্দী শব্দ। ওয়ার অর্থ পাশ বা কিনার, আর কানে অর্থ ঝর্ণা। তাই ‘ওয়ারকানে’ শব্দের অর্থ হলে পানি বা ঝর্ণার কিনার।

‘ওয়ারকানে’র অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা বৃদ্ধি করেছে আশপাশের ‘খান’, ‘তাখতে সাঙ্গ’, ‘যেন্’ ও ‘সে বোলাগ্ব’ নামের পাহাড়ী উপত্যকাগুলো। পর্বতসংকুল এ গ্রামে রয়েছে কয়েকটি মৌসুমী ঝর্ণা বা ছোট নদী। ‘ওয়ারকানে’র পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘আরযান ফার্দ’ নামের একটি নদী। ভূ-গর্ভস্থ কয়েকটি খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে ‘ওয়ারকানে’ গ্রাম।

‘ওয়ারকানে’ গ্রামের প্রতিটি সড়ক এবং অলি-গলি পাথরের নির্মিত হওয়ায় আপনি পাথরের সুদৃশ্য গালিচার মধ্যে রয়েছেন বলে অনুভব করবেন। রঙিন পাথরের এইসব পথ যেন গোটা গ্রামকে অপরূপ ও সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করেছে। এই পথগুলোর পাথরের রঙ্গের সাথে মিল রেখে সড়কের পাশে ফুটপাথে রংবেরংয়ের আলোক-সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে রাতের বেলায় মনে হবে আলোর বর্ণাঢ্য মিছিলে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে পুরো গ্রাম।

 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২৫০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত ইরানের গ্রাম ‘ওয়ারকানে’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ভোলার শ্রীপুর চরে তরমুজের ক্ষেতে ধরা পড়ে সাড়ে ১৪ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছ। মাছটি প্রায় ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।

নগরীরর পোর্ট রোডের মাছের আড়তের মো. হাসান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর চরে তরমুজ কাটতে যান কৃষকরা। বৃষ্টি এবং নদীর পানিতে বেশিরভাগ তরমুজ নষ্ট হয়েছে। ওই নষ্ট তরমুজ তারা কেটে ফেলছিলেন। এ সময় ক্ষেতের মধ্যে বিশালাকায় কিছু একটা নড়তে দেখেন তারা। কাছে গিয়ে দেখতে পান শাপলা পাতা মাছ। এরপর মাছটিকে একটি স্পিডবোটে তোলেন তারা। সেখান থেকে বিকালে নিয়ে আসা হয় পোর্ট রোডে। মাছটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনেন ১০ জন।

১০ জনের একজন পরেশ। তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পোর্ট রোডের আড়ত থেকে ১০ জন মিলে মাছটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনা হয়। বিক্রির জন্য মাছটি ভ্যানে করে নগরময় ঘুরিয়ে মাইকিং করা হয়। বুধবার সকাল থেকে মাছটি কেটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রায় তিন লাখ টাকায় এটি বিক্রি হয়েছে।

ভোলায় তরমুজের ক্ষেতে পাওয়া গেল সাড়ে ১৪ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে ২০১২ সাল থেকে জেলে আটক আছেন বাহরাইনের মানবাধিকারকর্মী আব্দুলহাদি আল-খাজা। তবে এক যুগেরও বেশি সময় জেলে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোনো মৃত্যু হতে পারে তার।

বাবা জেলের ভেতর ধুকে ধুকে মরবে সেটি মানতে পারছেন না তার মেয়ে মরিয়ম আল-খাজা। আর তাই বাবার বদলে নিজে জেল খাটার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১১ সালে আব্দুলহাদি আল-খাজাকে আটক করা হয়। এরপর ২০১২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাহরাইন ছাড়াও আব্দুলহাদির ডেনমার্কের নাগরিকত্ব রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেল থেকে এখনো এ মানবাধিকারকর্মীকে বের করা যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে আব্দুলহাদির স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তাই তার মেয়ে চান জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো যেন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন তিনি।

এ ব্যাপারে মরিয়ম আল-খাজা বলেছেন, ‘আমি জানি না আমার বাবা আর কতদিন বাঁচবেন। আমি প্রতিদিন ভীতি নিয়ে বাস করছি, যখনই ফোন বেজে ওঠে; আমি মনে করি কেউ হয়ত ফোন করেছে বলার জন্য আমার বাবা আর নেই।’

মরিয়ম আরও বলেছেন, ‘আমি জানি তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু শাস্তি দিতে তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কফিনে করে আমারা বাবা মুক্তি পাবেন, ওই সময় পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করতে পারব না। আমি এটি পারব না।‘

২০১১ সালে আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাহরাইনেও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এর জেরে পরবর্তীতে অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গুরুতর অসুস্থ বাবার জায়গায় জেল খাটতে মেয়ের আবেদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুরের বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার শিশু, কিশোর ও বিভিন্ন বয়সের মানুষজন ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়ে পড়াশুনা করে আলোকিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত সাতভিটা গ্রামে পাঠাগার গড়ে তুলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন জয়নাল আবেদিন নামের এক দিনমজুর যুবক। দিনে করেন দিনমজুরী, কাজ শেষে বিকেলে খুলে বসেন পাঠাগার। তার এই কর্মকান্ডে স্থানীয়রা এক সময় নানা কথা বললেও এখন তাদেরই ছেলেমেয়েরাই হয়েছেন পাঠাগারের পাঠক।

দিনমজুর জয়নাল আবেদীন ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিল। পড়াশুনার প্রতি প্রচুর ঝোক ছিল তার। গরীব বলে ছোটবেলা থেকে ঢাকা সহ সারা দেশে কাজের সন্ধানে চলে যেতো। এক সময় গাজীপুরে ইটভাটায় কাজ শুরু করেন। আর এখানেই কাজের ফাঁকে তার বই পড়ার নেশা পেয়ে যায়। রাত ২টা থেকে সকাল পর্যন্ত তাকে কাজ করতে হয়।

বিকেলে শ্রমিকদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চা খেতেন টিভি দেখতেন। এ সময় ফুটপাতে যখনি বই দেখতেন কিনে এনে অবসরে পড়াশুনা করতেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে ভাল মানের বইয়ের জন্য গাজীপুরে অবস্থিত কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন, টঙ্গী কলেজ গেটসহ বিভিন্ন জায়গায় বই সংগ্রহ করতে থাকেন ।এসব বই পড়ে তার প্রচন্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এরপর বই কেনা ও পড়া তার নেশা হয়ে দাঁড়ায়। পরে বই জমতে জমতে গ্রামে গিয়ে পাঠাগার তৈরীর চিন্তা তার মাথায় আসে। এভাবেই একজন দিনমজুর শ্রমিক হয়ে ওঠেন পাঠাগার তৈরীর কারিগর।

তাকে প্রথমে গ্রামের লোকজন ভুল বুঝলেও এখন তারা জয়নালকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের ‘সাতভিটা গ্রন্থণীড়’ পাঠাগার আনুষ্ঠাানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০২২ সালে জয়নাল আবেদীনের পাঠাগারটি এলজিএসপির অর্থায়নে আধাপাকা করে দেয়া হয়। এখন তার পাঠাগারে সংগ্রহে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বই। এখন গ্রামের কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই পাঠাগারে ভীড় জমাচ্ছে। প্রতিদিন স্কুলের বইয়ের বাইরে পাঠাগারে এসে তথ্যভিত্তিক, শিশু কিশোর ও গল্পের বই পড়া, দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পড়তে পেরে খুশি পাঠকরা। তবে পাঠাগারে কোন নলকুপ, লেট্রিন ও ওয়াসরুম না থাকায় পাঠকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সরকারি, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে তারা।

৭ম শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম বলেন, বাড়ীর পাশে পাঠাগার আছে বলেই নিয়মিত বই পড়তে পাচ্ছি। পাঠাগারটি না থাকলে তা সম্ভব হতো না। বকশীগঞ্জ রাজিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান মিলন বলেন এক সময় আমি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীতে গিয়ে বই পড়তাম। এই পাঠাগারে এখন আমরা হাতের কাছে অনায়াসে বই পাচ্ছি। আমি জীবনী মূলক বই পড়তে ভালোবাসি যেমন সূর্য সেন, আলবার্ট আইনস্টাইনসহ বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিদিন নিয়মিত পাঠাগারে আসি। এভাবেই অনেক লোকের নিন্দা ও প্রতিকূলতা পেড়িয়ে আজ জয়নালের ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ সফলতার আলো ছড়াচ্ছে।

সাতভিটা গণগ্রন্থাগার পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, পাঠাগার তৈরীর পর ২০১৭ সাল থেকে গ্রামেই রয়েছেন জয়নাল আবেদীন। এখন সকালে ক্ষেত-খামারে কাজ করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসাও করছেন। বিকেল সাড়ে ৩টা হলেই নিজেই পাঠাগার খুলে বসেন। প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন পাঠক আসে। তবে পাঠাগারে কিছু ঘাটতি আছে। যেমন বুক সেলফ, চেয়ার, টেবিল এবং ওয়াস রুমের। এগুলো সংগ্রহ করতে পারলে পাঠাগারে পাঠক বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন,  অর্থাভাবে জয়নাল আবেদীনের দিন চললেও শ্রমলব্ধ অর্থ দিয়ে বই কিনে পাঠাগার গড়ে তোলায় এই এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। যে সময় মানুষ বই বিমুখ সে সময় তার উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানাচ্ছে। বর্তমানে পাঠক বৃ দ্ধি পাওয়ায় স্থান সংকুলানসহ সমস্যা হচ্ছে, সে ব্যাপারে গুণি মানুষ এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা করছি।

 

 

কুড়িগ্রামের জয়নাল আবেদীন দিন মজুরীর টাকা দিয়ে গড়ে তুললেন ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (২২ মার্চ) দিনগত রাতে সেহরি খাবেন মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের মানুষ। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে তাদের রোজা শুরু হবে। তারা হজরত সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবারের পির খাজা শাহ সুফি নূরে আক্তার হোসাইনের ছেলে শাহ নূরে আতামোর্শেদ নওশাদ শাহ।

তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু। তাই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সুরেশ্বর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারী মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় এক কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান বৃহস্পতিবার রোজা রাখবেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুস সামাদ সরদার বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার রোজা রাখবো।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচর কাতলা, চর গোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর, শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্টিসহ জেলার পাঁচ উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বৃহস্পতিবার থেকে রমজানের রোজা শুরু করবেন।

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা প্রায় দেড়শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন। একইসঙ্গে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের মানুষের রোজা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহীর বাগমারায় এক ইউপি চেয়ারম্যান কন্যার রাজকীয় বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ মার্চ) ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই তাই সব রাজকীয় কারবার। বিয়েতে কনের বাড়িতে বর আসেন ঘোড়ায় চড়ে। আর কনে নিয়ে যাওয়া হয় পালকিতে। শুধু তাই নয়, বিয়ের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসেন স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

পাত্রের নাম মতিউর রহমান। তার বাড়ি বাগমারার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের ভরট্ট গ্রামে। মাদ্রাসা শিক্ষক আবদুল মান্নান ও স্বাস্থ্যকর্মী হালিমা খাতুনের একমাত্র ছেলে মতিউর। আর কনে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাড়িও একই ইউনিয়নে। তার বাবা আজাহারুল হক স্থানীয় সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জানা যায়, মতিউর রহমানের দাদাও ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। তাই নিজেরও শখ ছিল ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাবেন। আর নববধূ আনবেন পালকিতে করে। পরিবারের সদস্যরাও মতিউরের ইচ্ছা পূরণে সায় দিয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিয়ে ঠিক হয়। মতিউর রহমান চীন থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসেছেন। কনে জান্নাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। দুই পরিবারের সম্মতিতে আজ তাদের বিয়ের দিন নির্ধারণ ছিল।

এ দিকে, বিয়ের কয়েক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল মতিউরের পরিবার। গ্রামের একজন প্রবীণ কাঠমিস্ত্রি তিন দিন ধরে একটি পালকি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি বরকে কনের বাড়িতে নেওয়ার জন্য একটি ঘোড়াও ভাড়া করা হয়। উপজেলার শেরকোল শিমলা এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক দিনের জন্য ঘোড়াটি ভাড়া করা হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে ভরট্ট গ্রাম থেকে ঘোড়ায় চড়ে মতিউর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কনের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে নেন পালকি ও বরযাত্রীদের। কনের পরিবার থেকে তাদের গ্রামীণ পুরোনো রীতি অনুসারে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুল হক। দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে হেলিকপ্টারটি স্থানীয় ফুটবল মাঠে অবতরণ করে।

এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আতাউর রহমান বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্য স্থানীয় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে তিনি হেলিকপ্টারেই ঢাকা ফিরে যান।

মতিউরের মা হালিমা খাতুন বলেন, তার একমাত্র ছেলের ইচ্ছা ছিল দাদার মতো ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করার। ছেলের শখ মেটাতে ও পরিবারের ঐতিহ্য ফিরে আনতে তারা এ আয়োজন করেছেন। সবাইকে চমক দিতে কিছুটা গোপনেই এসব আয়োজন করা হয়েছে।

মতিউরের চাচা মামনুর রশিদ বলেন, ছেলের দাদা আহম্মদ হোসেনও ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করেছিলেন। পরে পালকিতে নববধূকে বাড়িতে আনা হয়েছিল। তবে এরপর আর পরিবারে এ ধরনের আয়োজন হয়নি। মতিউরের বিয়ের মাধ্যমে এটা আবার শুরু হলো।

কনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল হক বলেন, তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় তিন হাজার লোকজনকে নিমন্ত্রণ করেছেন। বরপক্ষের ব্যতিক্রম আয়োজনে তিনিও মুগ্ধ।

বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে বর ; পালকিতে কনে ; অতিথি এলেন হেলিকপ্টারে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্পর্কের সমাপ্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়। সম্পর্ক যত গভীর হয়, ততই বাড়ে আবেগের যোগ। তাই সম্পর্ক ভেঙে গেলে, সেই আবেগের ঘরে জোর ধাক্কা লাগে। বেড়ে যায় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। তাতে মনের ব্যথা দ্বিগুণ হতে পারে। কিন্তু তাই বলে হৃদয় ভাঙার জন্য বিমা! শুনতে অবাক লাগলেও সামাজিক মাধ্যমের মারফতে জানা গেছে এ খবর।

হৃদয় ভাঙার ‘বিমা’র কারণেই প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপের ফলে ২৫,০০০ টাকা পেয়েছেন প্রতীক আরিয়ান নামে এক ব্যক্তি। প্রশ্ন হল, এমনটা কেমন করে সম্ভব?

গোটা বিষয়টি টুইটারে খোলাসা করেছেন প্রতীক নামের ওই যুবক নিজেই।

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, প্রতীক ও তার প্রেমিকা একটি ব্যাংকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন। ঠিক করেন, দু’জনেই প্রতি মাসে ওই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা করে জমা রাখবেন। অর্থাৎ মাস প্রতি অর্থের পরিমান হবে ১০০০ টাকা। এইসঙ্গে উভয়ের সম্মতিতেই ঠিক হয়, প্রেমিকা ভালবাসায় ধোকা দিলে প্রেমিক ওই টাকা পাবেন, একইভাবে প্রেমিক ধোকা দিলে যাবতীয় অর্থ পাবেন প্রেমিকা। ওই তহবিলের নামকরণ করা হয় ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ড’।

টুইটার পোস্ট প্রতীক জানিয়েছেন, আমি সম্প্রতি ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি। কারণ প্রেমিকা আমাকে ঠকিয়েছে। আমরা ‘হার্টব্রেক ইন্সুরেন্স ফান্ডে’ ৫০০ টাকা করে জমিয়েছিলাম। চুক্তি মতো সেই টাকাই পেয়েছি।

প্রেমিকা ছেড়ে যাওয়ায় পেমিক পেলেন হৃদয় ভাঙা বীমার ২৫ হাজার টাকা!

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তাদের বিয়ে হয়েছে ৬ বছর। এর মধ্যে কোল আলো করে এসেছে দুই সন্তান। কিন্তু, এরপরই তাদের জীবনে উঠেছে ঝড়। কারণ, সম্প্রতি এক ডাক্তারি পরীক্ষায় এই ব্রিটিশ দম্পতি জানতে পেরেছেন তারা আসলে ভাই-বোন!

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দম্পতি নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই বিস্ময়কর কাহিনি জানিয়েছেন।

যদিও প্রতিবেদনে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। জানা গেছে, একেবারে ছোটবেলায় তারা পরস্পরের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামীর দাবি, তাকে খুব ছোটবেলা দত্তক নেওয়া হয়েছিল এবং তার জৈবিক বাবা-মা কারা, তা তার জানা নেই। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই ভাই-বোনের বৈবাহিক সম্পর্ক প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু, দুই সন্তান হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী জানতে পারছেন তারা আসলে ভাই-বোন, এমন ঘটনা সম্ভবত কখনও ঘটেনি। আসুন, পুরো ঘটনাটা জেনে নেওয়া যাক।

দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের পরই ওই ব্যক্তি কোনও কারণে তার বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। একই শহরের অন্য এক দম্পতি তাকে দত্তক নিয়েছিলেন। বড় হওয়ার পর তিনি ওই শহরেরই এক যুবতীয়ের প্রেমে পড়েন। তারপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর, এমনকি প্রথম সন্তান হওয়ার পরও তারা জানতেন না যে তারা ভাই-বোন। জানতে পেরেছেন দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর। স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। তার আত্মীয়দের মধ্যে কারোরই কিডনি দান করার মতো মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময় স্বামীও পরীক্ষা করান। পরীক্ষার ফল আসতেই চিকিৎসকরা হতবাক হয়ে যান। কারণ, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চিকিৎসকরা ভাই-বোনের মতো মিল পেয়েছিল।

স্বামী বলেছেন, আমি কিডনি দান করতে পারি কি-না দেখার জন্য পরীক্ষা করিয়েছিলাম। আমি জানতাম এটা অসম্ভব। কারণ আমরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, চিকিৎসকরা আমায় ফোন করে জানান, মিল পাওয়া গেছে। এরপর, ডাক্তাররা তার টিস্যু এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষাও করেন। সেই পরীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছিল, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মিল অত্যন্ত উচ্চ শতাংশের। যা একেবারেই অস্বাভাবিক, এরকমটা সাধারণত ভাই-বোনদের মধ্যে দেখা যায়। ভাই-বোনের মধ্যে ডিএনএ-এর মিল থাকে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। আর বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ মিল থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী আসলে ভাই-বোন বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।

স্বামী আরও জানিয়েছেন, তাদের সন্তানদের মধ্যে কোনও জেনেটিক ব্যাধি ধরা পড়েনি। তবে, তারা ভাই-বোন জানার পর, তারা কী করবেন এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এই ব্রিটিশ দম্পতি। নেটিজেনদের পরামর্শ চেয়েছিলেন তারা।

অধিকাংশের মত, তারা বিবাহিত এবং ইতোমধ্যে তাদের বাচ্চাও হয়ে গেছে। কাজেই আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। তাছাড়া, সন্তানদের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতাও দেখা যায়নি। তারা দুজনেই সুস্থ। কাজেই তাদের উচিত বাচ্চাদের ভালো বাবা-মা হয়েই থাকা। আর ভাই বা স্বামী তার কিডনি দিয়ে সুস্থ করে তুলুন তার বোন বা স্ত্রীকে। কিছু, বদলানোর দরকার নেই। এতদিন ধরে সব কিছু ভালোই তো ছিল।

 

দুই সন্তানের বাবা-মা বিয়ের ৬ বছর পর জানলেন তারা আপন ভাই-বোন