28 Feb 2025, 06:49 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ইন্দোনেশিয়ার অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ হওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ওই বিশ্বকাপে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ায় বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।

গতকাল (বুধবার) ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিয়ান্নি ইনফ্যাটিনো এবং ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এরিক থোহিরের মধ্যে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাগতিক দেশ হওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়ার কারণ হিসেবে বিবৃতিতে ‘চলমান ঘটনাপ্রবাহের’ কথা উল্লেখ করা হলেও এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

আগামীকাল (শুক্রবার) ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের গ্রুপ ও ভেন্যু নির্ধারণের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু নতুন সিন্ধান্তের পর এসব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা ছাড় দিতে রাজি নয়। এ কারণে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলে ইসরাইল দলের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় কয়েকটি বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে।

সর্বশেষ বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়াইয়ান কোস্টার আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ড্রতে ইসরাইলের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেন। তিনি বালিতে কোনো ইসরাইলিকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ফিফা পরে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিফার পরবর্তী বৈঠকে  ইন্দোনেশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

ইসরাইলের বিরোধীতায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের অধিকার হারালো ইন্দোনেশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদি ইসরাইল সিরিয়ার রাজধানীর দামেস্কের ওপর নতুন করে হামলা চালিয়েছে।

একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত একটা বিশ মিনিটের সময় অধিকৃত গোলান মালভূমির দিক থেকে ইহুদিবাদী সেনারা দামেস্কের ওপর কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে। পরে রাজধানী সিরিয়ায় বিকট আকারের কয়েকটি বিস্ফোরণ শব্দ শোনা যায়।

সামরিক সূত্রটি জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কয়েকটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে। এরপরও বেশ কিছু বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি এবং দুই সেনা আহত হয়েছেন। পরে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও হামলার কথা নিশ্চিত করেছে তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। এক সপ্তাহ আগে ইসরাইল সেনারা সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালায়। এতে বিমানবন্দরটি অকেজো হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য এই বিমানবন্দরটি ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু বর্বর ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ইহুদিবাদী ইসরাইল গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার সিরিয়ার ওপরে হামলা চালিয়ে আসছে। সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে বাশার আল-আসাদ সরকারের সফলতা ম্লান করে দিতে এসব হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে মনে করা হয়।

সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় দুই সেনা আহত ; বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে পাশ্চাত্যের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে করে ওই সমঝোতায় ফিরে আসার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি গতকাল (বুধবার) মস্কো সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন-আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।

ল্যাভরভ বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি ও পরমাণু সমঝোতা বিষয়ে কথা হয়েছে। আমাদের একটি অভিন্ন মতামত রয়েছে আর তা হচ্ছে, পরমাণু সমঝোতার কোনো বিকল্প হতে পারে না কারণ, বেশ কয়েকটি দেশ বহু মাস ধরে আলোচনা করে এই সমঝোতা তৈরি করেছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে এটি অনুমোদন দিয়েছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটনকে ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। আর সে ঘটনা প্রত্যক্ষ করার জন্য গোটা বিশ্ব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে আমেরিকাকে বের করে দেন। কিন্তু ২০২১ সালের গোড়ার দিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করে এই সমঝোতায় প্রত্যাবর্তনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ওই বছরেরই এপ্রিলে সমঝোতাটি আবার কার্যকর করার লক্ষ্যে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে ভিয়েনা আলোচনা বন্ধ রয়েছে।

পরমাণু সমঝোতায় ফিরে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন : আমেরিকাকে রাশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় সেনাবাহিনীর দু’টি ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসেয়ার বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে বলেছেন, ‘ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে খারাপ খবর এসেছে।’

যে ঘাঁটিতে হেলিকপ্টার দু’টির সংঘর্ষ হয়েছে সেটি নাশভিলের ৬০ মাইল উত্তর পূর্ব দিকের কেন্টাকি-টিনাসের ট্রিগ কাউন্টিতে অবস্থিত। ওই ঘাঁটিতে ১০১তম এয়ারবোর্ন রেজিমেন্ট এবং ১৬০ স্পেশাল অপারেশন এভিয়েশন রেজিমেন্টের সেনারা অবস্থান করেন।

ডব্লিউকেডিজেড রেডিও নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘হেলিকপ্টার দু’টি খুবই নিচে নেমে আসে, হঠাৎ করে— যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসে, প্রচণ্ড শব্দ এবং বিকট বিস্ফোরণ হয়। হঠাৎ করে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা ট্রাক থেকে নেমে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই, সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, দু’টি হেলিকপ্টার পড়ে আছে।’

ট্রিগ কাউন্টির কারা পরিদর্শক জেমস হিউজ ডব্লিউকেডিজেড রেডিওকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আধা মাইল দূরে থাকেন তিনি। তার ধারণা, হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।

ফোর্ট ক্যাম্পবেল ঘাঁটির মুখপাত্র ননডিস থুরমান নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে ট্রিগ কাউন্টির, ৬৮ নম্বর মহাসড়কের কাছে  দু’টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, হেলিকপ্টারগুলো ছিল ব্ল্যাকহক মডেলের। আর এগুলো পরিচালনা করত ১০১তম এয়ারবোর্ন ডিভিশন।

হেলিকপ্টারের ক্রুরা নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এগুলো উড়াচ্ছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা, এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল।

গত বছরের জুলাইয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এ হেলিক্প্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। কঠিন পরিস্থিতির বাস্তব ধারণা পাওয়া যাবে এমন ডিজাইন করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোর্ট ক্যাম্পবেল থেকে প্রথমবারের মতো একটি ইউএইচ-৬-আলফা ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার মানুষ ছাড়াই উড়ানো হয়। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার সঙ্গে এই পোগ্রামের কোনো ত্রুটির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি মেইল

মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ঘে বহু হতাহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বুধবার বলেছেন, তিনি মস্কো নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য একটি আপোষমূলক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন এবং তিনি এর চারপাশে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অবস্থিত এ পারমানবিক কেন্দ্র নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা রয়েছে। গত বছর রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে সেখানে একের পর এক গোলাবর্ষণ করা হয়।
ইউরোপের বৃহত্তম এ কেন্দ্র এক ব্যাতিক্রমী পরিদর্শনকালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, তিনি কেন্দ্রটির ব্যাপারে একটি সমঝোতা খুঁজে পেতে কাজ করছেন যা মস্কো ও কিয়েভ উভয়ের জন্য ভাল হবে।
এ কেন্দ্রে মস্কো আয়োজিত এক প্রেস ট্যুর চলাকালে গ্রোসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বাস্তবসম্মত বিভিন্ন প্রস্তাব ও পদক্ষেপ প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি যা সকল পক্ষ অনুমোদন দেবে বলেও আশা করছি।’ কেন্দ্রটি বর্তমানে রাশিয়ার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গ্রোসি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বিপর্যয় এড়াতে হবে। আমি একজন আশাবাদী মানুষ এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এটি এড়ানো সম্ভব।’ তিনি কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রাশিয়ার একটি সাঁজোয়া গাড়িতে করে পরমাণু কেন্দ্রটিতে পৌঁছান।
তবে তিনি পারমাণবিক কেন্দ্রের চারপাশে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে রাশিয়া ও ইউক্রেন নিরাপত্তা নীতিতে একমত হবে।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রটি পরিদর্শন করা ‘একেবারে প্রয়োজনীয়’ ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে চুক্তির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে : আইএইএ প্রধান

এম কবীর, ঝিনাইদহ : শোক ও শ্রদ্ধায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীকে ঝিনাইদহের সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন। এ সময় গার্ড অব অনার ও জানাজা শেষে চোখের জলে প্রিয় মানুষকে শেষ বিদায় জানানো হয়।

বুধবার সকালে ঢাকা থেকে নিজ জন্মভূমি ঝিনাইদহে জানাজার জন্য হেলিকপ্টার যোগে নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ শহরের সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জানাজার পূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। জানাজায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তি যোদ্ধা মকবুল হোসেন,এড.আজিজুর রহমান সহ রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে শহরের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম থেকে আবারো ঢাকায় নেয়া হয় নূরে আলম সিদ্দিকীর মরদেহ। রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাভারে নিজের নির্মিত মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়। এ খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট ভাই জেলা যুবলীগ নেতা বাসের আলম সিদ্দিকী ও নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য বুধবার ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নূর এ আলম সিদ্দিকী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নূর এ আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং  ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।

সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূর এ আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়, মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।

নূর এ আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়াসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূর এ আলম সিদ্দিকী। নূরে আলম সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৪০ সালের ২৬ মে।

শোক ও শ্রদ্ধায় ঝিনাইদহে নূর এ আলম সিদ্দিকীর জানাজা শেষে সাভারে দাফন

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ভাসুর কর্তৃক গৃহবধূকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সরসপুর বাতাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৩ সন্তানের জননী নিহত শারমিন আক্তার মনি (২৮) প্রবাসী মাসুদ আলমের স্ত্রী। অভিযুক্ত খোরশেদ আলম (৩৫) পেশায় অটোরিকশা চালক। সে ঐ গ্রামের মন্তাজুর রহমানের ছেলে।

এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহতের ভাই সালে আহাম্মদ জানান, ১২ বছর আগে মাসুদ আলমের সাথে আমার বোন শারমিন আক্তার মনির ‌বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই তার মেঝো ভাসুর খোরশেদ আলম সামান্য বিষয় নিয়েও মনির গায়ে একাধিকবার হাত তোলে। এ নিয়ে শালিসে কয়েকবার সে দোষি সাব্যস্থ হয়। এতে মনির প্রতি সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে কাপড় শুকানোর রশি নিয়ে উভয়ের কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর মনি ঘরের পাশে ফেরিওয়ালা থেকে মাছ কিনছিল। এ সময় খোরশেদ ঘর থেকে ধারালো দা এনে মনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মূখমন্ডল বিকৃত, ডান কান ও ডান স্তন কেটে ফেলে, দুই হাত-দুই পা কেটে ঝুলিয়ে দেয়াসহ পিঠে ও দেহের অন্যান্য স্থানে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লাকসাম নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মনি’র ৩ সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে হামিদের বয়স ৪ মাস, অপর ছেলে সামীরের ৪ বছর। মেয়ে মিম আক্তার (৮) বাতাবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়ে। শারমিন আক্তার মনি ১০ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। সে সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের মৃত ছায়দুল হক মোল্লার মেয়ে।

মনির ভাবী নাছিমা আক্তার এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বলেন, ঘাতক খোরশেদের বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ, হত্যা, মানুষজনকে মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল আলিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনে এমন নৃশংস হত্যাকান্ড আর দেখিনি।

মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মেঝো ভাই সালেহ আহমেদ বাদী হয়ে খোরশেদ আলমকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শাহপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামি খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ভাসুর কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা ; ঘাতক গ্রেফতার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভূমি সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে আগে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ইনশা আল্লাহ, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, আর এই কষ্টটা মানুষকে পেতে হবে না। দেশে থাকেন বা প্রবাসে থাকেন, আপনার সম্পত্তি আপনারই থাকবে। আপনার অধিকার যাতে সুনিশ্চিত ‍ও সরক্ষিত হয়, সে ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করছি।

বুধবার (২৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি উদ্যোগ/প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ভূমি বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথায় আছে জোর যার মুল্লুক তার। অনেক সময় ভাই সম্পত্তি থেকে বোনকে বঞ্চিত করে, আবার বোন যদি শক্তিশালী হয়ে যায়, তখন সে ভাইকেও বঞ্চিত করে। এমনও ঘটনা আছে বোন বোনকে বঞ্চিত করছে। বণ্টনব্যবস্থা যদি যথাযথভাবে হয়ে যায়, তারপর কেউ ভাইকে বা বোনকে দান করতে চাইলে করতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে বোনরাই বেশি বঞ্চনার শিকার হন, এটাও বাস্তবতা।

তিনি বলেন, বণ্টনব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করলে এই পারিবারিক সমস্যা আর থাকবে না।  মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে প্রবাসীরা ভূমি সেবা পোর্টাল ই-খতিয়ান অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে ডাক বিভাগ তাদের ঠিকানায় জমির খতিয়ান পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেবে।

২০২১ সালের ৭ নভেম্বর ই-সেবা উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত ৭৭ লাখের বেশি নাগরিক এই সেবাটি গ্রহণ করেছে। ডাক বিভাগ এখন নাগরিকের ঠিকানায় খতিয়ান ও ম্যাপ পৌঁছে দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখের অধিক খতিয়ান ও ম্যাপ নাগরিকরা হাতে পেয়েছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি প্রবাসীদের জন্য এই সেবা উন্মুক্ত করা হয়েছে। এটা প্রবাসীদের জন্য একটা দুশ্চিন্তাও ছিল যে তাদের জমিজমার কী হলো। সেই দুশ্চিন্তাও দূর হয়ে গেলো এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

পৃথিবীর ১৯২টি দেশ থেকে কোনও প্রবাসী কল সেন্টারে ফোন করলে অথবা ভূমি সেবা পোর্টাল ই-খতিয়ান অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে ডাক বিভাগ বিদেশে প্রবাসীদের নিজ নিজ ঠিকানায় খতিয়ান পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ই-নামজারি শুরু হয়েছে। ফলে ভূমির মালিকরা ঘরে বসেই নামজারি আবেদন করতে পারছেন এবং হয়রানি ছাড়াই সেবা গ্রহণ করছেন। প্রতি মাসে প্রায় দুই লাঘের বেশি নামজারি ‍নিষ্পত্তি হচ্ছে।

নগদ টাকা ছাড়া সেবার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালে ১ অক্টোবর থেকে ই-নামজারি সিস্টেমকে পুরোপুরি ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। সব ভূমি অফিসে ম্যানুয়াল ডিসিআরের পরিবর্তে চালু করা হয়েছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য কিউআর কোড সমৃদ্ধ ডিসিআর।

ডিজিটাল পদ্ধতি আরও আধুনিক করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করে শিগগির দ্বিতীয় প্রজন্মের ই-নামজারি চালু করার পদক্ষে নেওয়া হয়েছে। ই-মিউটেশনের বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে ইউনাইটেড ন্যাশন্স পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০ অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আরও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন, সেটাই আশা করি। আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। জনগণের কল্যাণ সাধনই আমাদের লক্ষ্য।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন, ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সাতটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, যা জাতির পিতার দর্শনীয় একটি স্মরণীয় স্থান লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপিত হয়েছিল। বাকি ছয়টি উদ্যোগ হলো রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন ইন্টারকানেকশন, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড সার্ভিস সেন্টার এবং ইউনিয়ন ল্যান্ড অফিস।

দেশে বা প্রবাসে যেখানেই থাকেন আপনার সম্পত্তি সুরক্ষার ব্যবস্থা নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। ভূমি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের আরও সাতটি উদ্যোগেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্ধোধন করেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূমি সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পিএএ এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরজাহান আক্তার সাথী সহকারী কমিশনারদের পক্ষে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং ভূমি সেবার ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করা।
জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারী সংস্থা এবং স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করা, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও প্রবিধান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।
সাতটি উদ্যোগের মধ্যে একটি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স, যা জাতির পিতার দর্শনীয় একটি স্মরণীয় স্থান লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপিত হয়েছিল।

বাকি ছয়টি উদ্যোগ হল রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন ইন্টারকানেকশন, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যাপ, স্মার্ট ল্যান্ড রেকর্ডস, স্মার্ট ল্যান্ড পিডিয়া, স্মার্ট ল্যান্ড সার্ভিস সেন্টার এবং ইউনিয়ন ল্যান্ড অফিস।
‘ফিল্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইন স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’, ‘সায়রাত ও খাস জমি ব্যবস্থাপনা’, ‘অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি মামলা এবং সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’-এর মতো ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে চারটি সেমিনার ও প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের কার্যক্রম রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন- নুরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ছয়-দফা আন্দোলন এবং ‘৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

নূরে-আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, মেটা তাদের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপসহ স্বতন্ত্র অফারগুলোতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

এআইকে শক্তিশালী করার মডেলের ক্ষেত্রে মেটা অ্যামাজন, ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে এবং ২০২৩ সালে নিজস্ব এআই চ্যাটবট চালু করার পর থেকে তারা ক্রমবর্ধমানভাবে এই প্রযুক্তিটিকে তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহার করছে।

সিএনবিসি বিষয়টির সাথে পরিচিত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত দিয়ে জানায়, মেটা এই বছরের মাঝামাঝি নাগাদ একটি স্বতন্ত্র এআই অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা করছে।

ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান এক্স-এ, এক পোস্টে সিএনবিসির এক লিঙ্কসহ লিখেছেন: ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। হয়তো আমরা একটি সামাজিক অ্যাপ তৈরি করব।’

টেক জায়ান্টটি সম্প্রতি ২০২৪ সালের জন্য ক্রমবর্ধমান মুনাফা ও রাজস্বের কথা জানিয়েছে। আগামী বছরে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবকাঠামো সম্প্রসারণের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

সিইও মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, ‘আমি আশা করছি, এই বছর এমন একটি বছর হবে, যখন একটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও ব্যক্তিগতকৃত এআই সহকারী ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে এবং মেটা এআই সেই শীর্ষস্থানীয় সহকারী হবে।’

 

 

 

এআই অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছে মেটা

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ