26 Feb 2025, 12:28 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে শুক্রবার (১৭ মাচ) সকালে প্রণয় ভার্মা ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ এ অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করেন। ভারতের হাই কমিশনার এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রণয় ভার্মা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী পরম্পরা ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পথকে আলোকিত করে চলেছে ও আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া যৌথ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি ভারতের অটল প্রতিশ্রুতিকে চালিত করছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা নিবেদন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উদ্বোধন হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। শনিবার (১৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করবেন।

উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহে সাশ্রয়ী, দ্রুতগতি ও নিরবচ্ছিন্ন করতে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন জ্বালানি নিরাপত্তায় কার্যকর অবদান রাখবে। এ যাবত জ্বালানি তেল আমদানির পর চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে খুলনা, সেখানে থেকে রেল ওয়াগনে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পরিবহনে উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এ সরবরাহ করতে গিয়ে নানা জটিলতা, দীর্ঘসূত্রতা, অপচয়ের ঝুঁকি আর চ্যালেঞ্জ থাকে।

এ অবস্থা থেকে অর্থ সাশ্রয় এবং ঝুঁকিমুক্ত করবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন। এ পাইপলাইনটি পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহার করতে পারলে ডিজেল পরিবহনে সাশ্রয় হবে বছরে প্রায় শত কোটি টাকা। এমনটাই জানায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা জানায়, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ শুরু করে। ৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩১.৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ করা হয়। ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাইপলাইনে দৈনিক অতিরিক্ত ২৯ হাজার টন জ্বালানি মজুত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

পাইপলাইনের পুরোটাই নির্মাণ হয়েছে ভারতের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায়। যা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছে জ্বালানি বিভাগ।

পাইপলাইনে প্রাথমিক অবস্থায় বছরে ২ লাখ টন তেল পাওয়া যাবে। যা পরবর্তীতে উন্নীত হয়ে ১০ লাখ টনে পৌঁছাবে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান জানান, শনিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রিসিপ্ট পাইপলাইন টার্মিনালের প্যান্ডেলে স্থাপিত টিভি পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিপিসির দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এর আগে বিকেল ৪টায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দিনগত রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যদিও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে ছিল বিএনপি সমর্থকরা।

নির্বাচিত হলেন যারা : আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ৩ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে সভাপতি ও মো. আবদুন নূর দুলাল ৩ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে সম্পাদক পদে পুর্ননির্বাচিত হয়েছেন।

সহ-সভাপতির দুটি পদে মো. আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ পদে এম মাসুদ আলম চৌধুরী, দুটি সহ-সম্পাদক পদে এ বি এম নূর-এ-আলম উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ জয়ী হয়েছেন।

সাতটি সদস্য পদে জয়ীরা হচ্ছেন- মহিউদ্দিন আহমেদ (রুদ্র), মনিরুজ্জামান রানা, শফিক রায়হান শাওন, মো. সাফায়েত হোসেন (সজীব), মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজমুল হুদা ও সুভাষ চন্দ্র দাস।

সমিতির দক্ষিণ হলে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেন। দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ভোটার ছিল আট হাজার ৬০২ জনের মধ্যে ভোট পড়েছে চার হাজার ১৩৭টি।

এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্ত থেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থীরা দ্বিমুখী অবস্থানে ছিল। প্রথমেই দুই পক্ষ দুটি নির্বাচন উপ-কমিটি ঘোষণা করে। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়রদের বৈঠকের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল চৌধুরীকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। উভয় পক্ষ এ কমিটিকে মেনে নেয়। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন তার পদত্যাগের খবর আসায় সংকটের সৃষ্টি হয়। ফের দুই পক্ষ দুটি কমিটি গঠনের কথা জানায়।

আওয়ামীপন্থীরা মো. মনিরুজ্জামানকে ও বিএনপিপন্থীরা এ এস এম মোক্তার কবির খানকে আহ্বায়ক করেন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোট চলাকালে সাদা (সরকার সমর্থক) ও নীল (বিএনপি সমর্থক) দলের দিনভর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি, হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবী, সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল, হাতাহাতিতে ভোট শুরু হয় দুপুর পৌনে ১২টায়। প্রথম দিনে ২ হাজার ২১৭টি ভোট পড়ে। বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা ভোট দেননি।

তবে বুধবার সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণের সময় বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। নতুন করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবি তোলেন তারা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রেই বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এরপর আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থীরাও ভোটকেন্দ্রে ঢুকলে শুরু হয় হট্টগোল। এক পর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। এ সময় শতাধিক পুলিশ ভোটকেন্দ্রে ঢুকে লাঠিপেটা শুরু করে। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও আওয়ামী লীগপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়।

এ সময় পুলিশের লাঠিপেটার সময় ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। সাংবাদিকদের এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি আশুতোষ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঞার নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে জানান। তখন প্রধান বিচারপতি লিখিত অভিযোগ নিয়ে যেতে বললে পরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগের পর প্রধান বিচারপতি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এলআরএফ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ভোটগ্রহণের মধ্যে বুধবার বিকেল সোয়া ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে জড়ো হয়ে সাংবাদিকদের সামনে নির্বাচন পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

সেখান থেকে মিছিল করে এসে নির্বাচনী প্যান্ডেল, আইনজীবীদের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বিকেল প্রায় সোয়া ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে শুরু হয়ে ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

এ নিয়ে এ পর্যন্ত বিএনপিপন্থীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা হয়। বিএনপিপন্থীদের দাবি সাধারণ আইনজীবীদের ডেকে সবার মতামত নিয়ে নতুন করে ভোটগ্রহণ করতে হবে। তা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে শেষ দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিএনপিপন্থীরা ভোটে না গিয়ে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন। এরপর প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডাকেন।

আলাদাভাবে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, বারের দুজন সাবেক সম্পাদক গিয়েছিলেন কথা বলতে। যারা বর্তমানে সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী। প্রধান বিচারপতি বলেছেন- আমি ওনাদের বলেছি, যেহেতু এটা বারের বিষয়, আমাদের করণীয় নেই। প্রধান বিচারপতির এখানে করার কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলাপ করে সুষ্ঠুভাবে সুন্দরভাবে করেন। পরিবেশ সবাই মিলে সঠিক রাখার চেষ্টা করেন। এটা প্রাইভেট সংগঠন। বার অ্যাসেসিয়েশনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই।

এদিনও দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এ ঘটনায় করা পৃথক মামলায় কয়েকজন আইনজীবী আগাম জামিন নিয়েছেন। আর আটক হয়েছেন এক আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিল নির্বাচনে সব পদে আওয়ামী লীগপন্থীদের জয়

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের বাজারে সর্বোচ্চ বেড়েছে রডের দাম। ইতোমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির রডের দাম টনপ্রতি খুচরা পর্যায়ে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোর রডও লাখ টাকা ছুঁই ছুঁই। রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে দাম। বাজারে কয়েক প্রকার রড থাকলেও চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ৬৫ গ্রেডের রডগুলো।

নগরীর ষোলশহরের পাইকারি রড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আলমার্স ট্রেডিংয়ের মালিক ইমাম হোসেন বলেন, ‘রডের বাজার খুবই অস্থির। প্রতি সপ্তাহে এক-দুইবার করে বাড়ছে দাম। প্রতিবারই ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করে বাড়াচ্ছেন কারখানা মালিকরা। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে রডের বাজারে এমন অস্থিরতা চলছে। বর্তমানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে টনপ্রতি রড কোম্পানি ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ৯৭ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকায়। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে বহন করে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রে প্রতি টনের দাম ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেন তারা। এ কারণে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে রডের দাম।’

রাউজান পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজারের খুচরা রড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল মদিসা ট্রেডার্সের মালিক জি এম মোস্তফা বলেন, ‘বিএসআরএমের রড টনপ্রতি বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ দুই হাজার টাকা, কেএসআরএমের রড বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে এক লাখ এক হাজার টাকা এবং একেএসের রড এক লাখ এক হাজার টাকায়। জিপিএইচের রড এক লাখ এক হাজার টাকায়। এ ছাড়া বায়েজিদ স্টিলের রড বিক্রি করা হচ্ছে ৯৯ হাজার টাকায়। রডে টনপ্রতি দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে গেছে।’

এ প্রসঙ্গে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, ‘রড উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। দেশি জাহাজ কাটার স্ক্র্যাপ দিয়ে রড উৎপাদন করলেও খরচ এক লাখ ৫ হাজার টাকার মতো পড়ছে। খরচ সমন্বয় করতেই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম স্টিলের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে কেএসআরএমের রড মিল গেটে বিক্রি করা হচ্ছে ৯৭ হাজার টাকা করে। গ্রাহকরা নিজ খরচে পরিবহনে নিয়ে যাবেন। রড তৈরিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিছু দিন ধরে বিশ্ববাজারে রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে দেশি স্ক্র্যাপের দামও। এ ছাড়াও ডলার সংকটের কারণে ক্রমাগত বাড়ছে আমদানি ব্যয়। সেই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রডের বাজারে।’

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, দেশে স্বয়ংক্রিয় ইস্পাত কারখানা আছে ৩০টি। সনাতন পদ্ধতির কারখানা আছে ১০০টির মতো। বছরে দেশে রডের চাহিদা আছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টন। এ হিসাবে মাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টন রড দরকার হয়। রড তৈরির কাঁচামাল হলো স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরো। এই কাঁচামাল সরাসরি আমদানি করে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করেন উৎপাদকরা। বাকি প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ আসে জাহাজভাঙা শিল্প এবং লোকাল ভাঙারি বর্জ্য থেকে।

 

বাড়তে বাড়তে রডের দাম টনপ্রতি লাখ টাকা ছাড়িয়েছে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনের দিন কেন্দ্রের বাইরে ইভিএম ব্যালট ইউনিট নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে মামলাটি করেন কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষক সজল দাশ।

মামলায় একমাত্র আসামি করা হয় উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দে সুমনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনীমোহন উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথের ইভিএম মেশিন পরিবর্তন করা হয়। ইভিএমসহ একটি ব্যালট ইউনিট ৪ নম্বর বুথের পেছনে রাখা হয়। সেখান থেকে ব্যালট ইউনিটটি নির্মলেন্দু দে সুমন নিয়ে যান।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘ব্যালট ইউনিটটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।’

বৃহস্পতিবার উপজেলার ৮৬টি কেন্দ্রের ৫১৮টি বুথে সকাল সাড় ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলমের মৃত্যুতে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

চট্টগ্রামে কেন্দ্র থেকে ইভিএম নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিঘা বিঘা জমি,পাকা পাকা ঘর বাড়ি,লাখ লাখ টাকার সম্পদের মালিক, স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ বিত্তবানরা পাচ্ছেনপটুয়াখালীর  মির্জাগঞ্জে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির চাল। আছে অন্য উপজেলার বাসিন্দার নামও। এসবই হচ্ছে  মির্জাগঞ্জের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। এছাড়াও চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নামে পরিপূর্ণ করা হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা। তালিকায় নাম এক ব্যক্তির, অথচ চাল তুলছেন অন্য  ব্যক্তিরা। এ উপজেলার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা দেখলে মনে হবে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। হতদরিদ্রদের চাল বিতরনে এমনই  অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। প্রকৃত দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা থেকে। তবে ওই সকল জনপ্রতিনিধিরা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে অস্বীকার করছেন ।

অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমান লাভলু তার ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য, প্রতি কার্ড বাবদ তিন থেকে চার হাজার টাকা আদায় করেছেন। আবার টাকা দিয়েও তালিকায় নাম মেলেনি অনেকের। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টা অস্বিকার করেছেন চেয়ারম্যান লাভলু।  আমাদের হাতে আসা কর্মসূচির  তালিকায় থাকা ওইসব হতদরিদ্রের খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়,  মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মো. সুমন রেজা তার নাম রয়েছে হতদরিদ্রের তালিকায়, কিন্তু তিনি থাকেন তার নিজের নির্মাণ করা  দোতলা পাকা বাড়িতে। রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ নাহিদা সুলতানার নামও রয়েছে এ তালিকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নাহিদার স্বামী চাকরিজীবি থাকেন নিজেদের পাকা বাড়িতে। এছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে পার্শ্ববর্তী দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাকসুদার, যার ভোটার আইডি কার্ড সহ সকল ঠিকানাই দুমকীর উপজেলায়।

এদিকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. উজ্জল মৃধার স্ত্রী লাকি আক্তার ও তার আপন ভাই সাকিব ইসলামের নামও রয়েছে হতদরিদ্রদের চালের তালিকায়। ইউপি চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই কাজি আবু জাফরের নাম রয়েছে তালিকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে  তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। এ তালিকায়  রয়েছে চেয়ারম্যানের বোন নাসিমা আলম ও শাহিনা বেগমের নামও। চেয়ারম্যানের আরেক স্বজন পূর্ব চৈতা গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহেল মৃধা নামক এক ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে তালিকায়। বাজিতা গ্রামের বাসিন্দা মো.মোসলেম আলী ও সাজ্জাল যার বিপুল পরিমানে জমি-জমাসহ পাকা বাড়ির মালিক  এই  একই ঘরের বাসিন্দা পিতা পুত্রের নামও রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। তবে যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তারা অনেকেই জানান, তাদের নাম শুধুমাত্র কাগজে কলমে আছে। এদের নামে  চাল কারা তোলেন তারা অনেকেই জানেন না।

কার্ডধারী ভুক্তভোগী সাজ্জাল জানান,‘ প্রথম দিকে আমার নামে চাল পেলেও এখন চেয়ারম্যান কিংবা ডিলারের কাছে গেলে আপনার নামে  চাল নেই বলে জানান। কারা এ চাল উত্তোলণ করেন তাও জানেন না।
রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ নাহিদা সুলতানা বলেন, আমার পাকা ঘর তাতে কি! চালের নামের জন্য চেয়ারম্যানকে ৪ হাজার  টাকা দিতে হয়েছে  এরপরই  চালের নাম পেয়েছি।

এদিকে ওই ইউনিয়নের মনিকা রাণী নামের আরেক হতদরিদ্র জানান, আমি হতদরিদ্র হওয়া সত্তেও এক হাজার টাকা দিয়েও চালের  নাম পাইনি, অথচ যারা ৪-৫ হাজার টাকা দিয়েছে তারা বিত্তবান হওয়ার পরও চাল পাচ্ছেন। এই ইউনিয়নে চালের নাম পেতে হলে  চেয়ারম্যান মেম্বারদের স্বজন হতে হবে নয়তো মোটা অংকের  ঘুষ দিয়ে হতদরিদ্রের তালিকায় নাম দিতে হবে।

এসকল অভিযোগের বিষয় কথা হয় মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমান লাভলুর সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমার জানা মতে কোন বিত্তবানের নাম তালিকায় নাই। এছাড়া তালিকায়  কোনো  নাম দেওয়ার  বিনিময়ে টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ডি এম শাহাদাৎ হোসেন, বলেন আমিও কিছুটা শুনেছি,যেহেতু এদের নামের তালিকা ইতোপূর্বে অনলাইন হয়ে গেছে পরবর্তী সময়ে যখন কর্তনের সুযোগ হবে তখন তালিকা যাচাই করে বিত্তবানদের বাদ দেয়া হবে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান বলেন,‘ এই চাল হতদরিদ্রের জন্য এখানে বিত্তবানরা চাল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিত্তবান হওয়া সত্তেও যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে নির্বাচন হয়েছে  এক বছর তিন মাস,  এই সময়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লাভলু হয়েছেন টাকার কুমির। কাঠালতলী বাসস্ট্যান্ড এর পশ্চিম পাশে দশকাঠা জমির উপরে নির্মান শুরু করেছেন বহুতল ভবন। টি আর খাবিখা কাবিটা সালিস বানিজ্য জবর দখল মাদক ব্যবসা সব সেক্টরই তার নিয়ন্ত্রনে। এসব সেক্টর থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আয় করেন।  এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেন মাদবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীগ এর সভাপতি তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পদক ও এই  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাই তার কাছে যেন সব অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে।

 

মির্জাগঞ্জে হতদরিদ্রের চাল পাচ্ছেন চেয়ারম্যানের আত্মীয়রা