22 Feb 2025, 10:18 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়া বলেছে, দেশটি কেবল তখনই পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নিউ স্টার্ট চুক্তিতে ফিরে আসবে যখন ওয়াশিংটন মস্কোর দাবি-দাওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া দৈনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি আজ (মঙ্গলবার) প্রকাশিত হয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মঙ্গলবার ওই চুক্তিতে তার দেশের অংশগ্রহণ স্থগিত করেন। ২০১০ সালে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল।

চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ১,৫৫০টি পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন রাখতে বাধ্য ছিল।  এই পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র বিশ্বের এই ধরনের মোট গণবিধ্বংসী অস্ত্রের শতকরা ৯০ ভাগ। এছাড়া, ওই  চুক্তিতে রাশিয়া ও আমেরিকা নিজেদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানকে ৭০০টির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল।

চুক্তিতে রাশিয়ার ফিরে আসার সম্ভাবনার ব্যাপারে পেসকভ বলেন, মস্কোর ব্যাপারে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের সামষ্টিক আচরণে পরিবর্তন আসতে হবে। তিনি বলেন, একটি দেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে আরেকটি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

পশ্চিমা দুনিয়া রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করছে বলে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে যেকথা বলে এসেছে, পেসকভ সেকথার প্রতি ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করলেন।

গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন নিউ স্টার্ট চুক্তি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়ার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছিল। মস্কো বলেছিল, আমেরিকা চুক্তিটির ধারাগুলো পুরোপুরি মেনে চলছে না বরং উল্টো রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তাকে টার্গেট করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য একথাও বলেছিল, চুক্তিটি স্থগিত রাখা সত্ত্বেও এতে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার ওপর যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তা মস্কো মেনে চলবে।

 

 

আমেরিকার আচরণে পরিবর্তন না আসলে ‘নিউ স্টার্ট’ পরমানু চুক্তিতে ফিরবে না রাশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য চীনের পক্ষ থেকে যে ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হাঙ্গেরি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যকার চলমান সংঘাত রাশিয়া ও ইউক্রেন -দুই দেশের জন্যই খারাপ। একই সঙ্গে এই যুদ্ধ সারা বিশ্বের জন্য অকল্যাণ বয়ে এনেছে বলে বিশ্বাস করে বুদাপেস্ট। গত সপ্তাহে যে শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন তাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি শান্তি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।

একই সঙ্গে পরস্পরের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখন্ডতাকে সম্মান জানানোর জন্য কিয়েভ ও মস্কোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে একতরফা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারও নিন্দা জানিয়েছে চীন।এই শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অরবান জাতীয় সংসদে বলেন, “আমরা চীনের শান্তি পরিকল্পনাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করি এবং তাকে সমর্থন করি।”

জাতীয় সংসদে দেয়া আধা ঘন্টার বক্তৃতায় ভিক্টর অরবান বারবার বলেন, চলমান সংঘাত সবার জন্য ক্ষতি বয়ে এনেছে এবং এটি এখন সারা বিশ্বের জন্য সুস্পষ্টভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, আগে যেভাবে শলাপরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, সেই অনুসারে এই সংঘাত থেকে তার দেশ দূরে থাকবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ; চীনের শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করলো ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হাঙ্গেরি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং টুইটারের সিইও ইলন মাস্ক। দুই মাসের বেশি সময় পর ব্লুমবার্গের ধনকুবেরদের এ তালিকায় শীর্ষে উঠলেন তিনি।

ব্লুমবার্গের ধনকুবেরের তালিকায় গত বছরের ডিসেম্বরে মাস্ককে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। তিনি বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। খবর সিএনএন

ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭১০ কোটি ডলারে। আর বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে।

আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের গতকালের ভয়াবহ দাঙ্গা ও তাণ্ডবের জন্য যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলের চরম ডানপন্থী প্রশাসনকে দায়ী করেছে আরব লীগ।

গতকাল (সোমবার) অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের কাছে কয়েকটি গ্রামে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালায় এবং অন্তত ত্রিশটি বাড়ি এবং বহু সংখ্যক গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এছাড়া একজন ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা করে।এর প্রতিবাদে আরব লীগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলি সেনাদের সমর্থন, অংশগ্রহণ এবং সুরক্ষার আওতায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা এই তাণ্ড চালায়। এই ধরনের আগ্রাসনের জন্য ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে আরব লীগের ওই বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

২২ জাতির এ সংস্থা বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনা এবং কথিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা যখন নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে তখন তা বানচাল করার জন্য ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন ও নাবলুস-সহ বিভিন্ন শহরে এই ধরনের আগ্রাসন চালাচ্ছে। আরব লীগ সুস্পষ্ট করে বলেছে, পশ্চিম তীরে যে দাঙ্গা, সহিংসতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে ইসরাইলের বর্তমান প্রশাসনের দাপ্তরিক অবস্থান।

 

 

পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডবে সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইসরাইল : আরব লীগ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আরব দেশগুলোর তৎপরতা ব্যাপক বেড়েছে। আরব দেশগুলোর সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফরের পর মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি সিরিয়া গেছেন। প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় পর সিরিয়ার সঙ্গে আরব দেশগুলোর সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জোরালো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মানবিক দিক বিবেচনায় এসব সফর অনুষ্ঠিত হলেও বাশার আসাদের সঙ্গে আরব প্রতিনিধিদের একের পর এক হৃদ্যতাপূর্ণ বৈঠক নিঃসন্দেহে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে। আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে বাশার আসাদ বলেছেন, এসব সফরের অর্থ হচ্ছে যুদ্ধ ও ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট কঠিন পরিস্থিতিতে তারা সিরিয়ার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অবশ্য ভূমিকম্পের আগে থেকেই কোনো কোনো আরব দেশ সিরিয়াকে আরব সংগঠনগুলোতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

সিরিয়া ইস্যুতে বড় যে পরিবর্তন লক্ষণীয় তাহলো- এখন আর কোনো আরব দেশ সিরিয়ার রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের কথা বলছে না। যেসব আরব রাষ্ট্র বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল তারাও এখন তাদের সুর পাল্টে ফেলেছে। বাশার আসাদের বৈধতার প্রশ্নটি এখন একেবারেই অবান্তর। তারা এখন বাশার আসাদের সরকারের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে।

সব ঝড় ঝাপটা সামলে বাশার আসাদ এখন বীরের আসনে। সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে আমেরিকাসহ গোটা পাশ্চাত্য, দখলদার ইসরাইল ও কিছু প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ইসরাইলপন্থী যে সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিল তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আরব দেশগুলো বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজেদের মধ্যে আবারও বন্ধন শক্তিশালী করতে চাইছে যা গোটা আরব অঞ্চলের আর্থ-রাজনৈতিক অঙ্গনকেই প্রভাবিত করবে।

সিরিয়া সফরে যাওয়া আরব সংসদীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইরাকের সংসদ স্পিকার মুহাম্মাদ আল হালবুসি। তিনি বলেছেন, সব আরব দেশের প্রতিনিধি হিসেবেই তারা সিরিয়া সফর করেছেন এবং সিরিয়ার জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। এই সফরে সৌদি আরব ও কাতারের মতো কয়েকটি দেশের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। তবে এসব দেশও এরিমধ্যে নানা উপায়ে সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। এসব দেশও সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। সিরিয়ার সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে সন্ত্রাস দমনও অনেক সহজ হয়ে ওঠবে।

 

 

বাশার আল আসাদকে মেনে নিয়েই সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের পথে আরব বিশ্ব

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেতৃত্বাধীন বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য চরিতার্থ করার কাজে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। গতকাল (সোমবার) সুইজারল্যান্ডের জেনেভো শহরে মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম নিয়মিত বৈঠকে বক্তৃতা দিতে গিয়ে একথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার মেকানিজমের উচিত প্রকৃত সংলাপ, গঠনমূলক আদান-প্রদান এবং সম্মানজনক সহযোগিতা মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা ও এর উন্নয়ন ঘটানো।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পরিষদসহ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো দুঃখজনকভাবে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বেশ কিছু পশ্চিমা দেশের রাজনৈতিক লক্ষ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এসব পশ্চিমা দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার কোনো অধিখার নেই ব

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে যে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার একমাত্র উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, এর ফলে যেসব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সেসব দেশের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়।

এ ধরনের অপরাধ করার জন্য মার্কিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করার আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকাকে এই অপরাধে সহযোগিতা করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর কর্তাব্যক্তিদেরও জবাবদিহীতার আওতায় আনতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাজেই মানবাধিকার নিয়ে সুন্দর সুন্দর বুলি আওড়ানোর অধিকার আমেরিকা বা তার ই্‌উরোপীয় মিত্রদের নেই। তিনি ইরানের সাম্প্রতিক দাঙ্গা উস্কের দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেন।

 

মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার আমেরিকা বা তার মিত্রদের নেই : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মস্কো সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে এসব নিষেধাজ্ঞাকে ‘অযৌক্তিক ও অনর্থক’ বলে অভিহিত করেছে। খবর এএফপি’র।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, গত সপ্তাহে গৃহীত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা একেবারে ‘অযৌক্তিক’।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দফা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো সংঘাতের জন্য রাশিয়ার অর্থ প্রবাহ ও সামরিক সরবরাহ কমানো। দেশটির ১২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পেসকভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য দেশটির আরো লোক ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করে তালিকাভূক্ত করা তাদের এমন পদক্ষেপকে অযৌক্তিক’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এমন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মস্কো বলেছে, এক্ষেত্রে ‘আমাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
‘রাশিয়ার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা কঠোর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার নীতির ভিত্তিতে অব্যাহত থাকবে।’

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অনর্থক’ : রাশিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়াকে চীন অস্ত্র দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে এমন দাবিকে নাকচ করে দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ মার্কিন মিডিয়াকে বলেছেন, ‘এমন কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, অথচ আমরা এর কোন লক্ষণ’ দেখছি না। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কর্মকর্তারা গত রোববার বলেছেন, কূটনৈতিক চাপের মুখে চীন মস্কোকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবছে। এক্ষেত্রে বেইজিংকে নিরুৎসাহিত করার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তবে সোমবার প্রকাশিত ভয়েস অব আমেরিকার সাথে দীর্ঘ সাক্ষাতকারে সম্ভবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেন, ‘আমি মনে করি এই মতামত শেয়ার করবেন না।’
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি মনে করি না যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে রাজি হবে। এমন কি এই ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আমি এমন কোন লক্ষণও দেখছি না।
এ মাসের শুরুর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে উত্তেজনাপূর্ণ এক বৈঠকে সম্ভাব্য অস্ত্রের চালানের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
এদিকে সিআইএ’র পরিচালক রোববার এক সাক্ষাতকারে বলেন, বেইজিং এখনো অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনার কথা ভাবছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

 

রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র দেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না : ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান

এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : জাতীয় সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেছেন, সাংবাদিকের কলম সব সময় বস্তুনিষ্ঠতা এবং সত্য বিষয় তুলে ধরবে তা হলে অসত্য তাকে স্পর্শ করবে না এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি গতকাল সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দীক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদ, পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা পিএএ, ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: সোহেল রানা, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান এবং ইউনিটির নির্বাচন কমিশনার ও জেলা সমবায় অফিসের পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিন মোল্যা।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রিপোর্টার্স ইউনিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি এম এ কবীর এবং সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান সন্টু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক,সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

এর আগে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান নির্বাচন কমিশন ও জেলা তথ্য কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দীক নির্বাচিত ১৩ জন সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েছেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করেছেন তারা যেন শপথের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তা হলেই সাংবাদিকরা দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারবে।

তিনি বলেন আমি সব সময় সাংবাদিকদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো। বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন সাংবাদিকতা করতে করতে শিখতে হয়। মহান এ পেশায় শিক্ষিত প্রতিশ্রুতিশীল মানুষ এলে এ পেশার মান বাড়ে,মর্যাদা রক্ষা হয়,সমাজ,জাতী,রাষ্ট্র উপকৃত হয়। ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য সে কাজটিই করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার ইউনিটির দ্বি-বাষিক নির্বাচন ২০২৩-২০২৪ ঝিনাইদহ শহরের আব্দুর রকিব বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে সভাপতি পদে এম এ কবীর, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান সন্টু, সহ-সভাপতি মোঃ লিটন হোসেন এবং সিরাজুল ইসলাম মল্লিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ সম্রাট শাহ, দপ্তর সম্পাদক মুক্তার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস এম রবি, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, নির্বাহী সদস্য মাজেদ রেজা বাঁধন, এইচ এম ইমরান এবং ইমদাদুল হক নির্বাচিত হন।

ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আজ কিশোরগঞ্জ গেলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গরবার যাচ্ছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আজ কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জেলার মিঠামইন, করিমগঞ্জ ও সদর উপজেলা সফর করবেন রাষ্ট্রপতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন রাষ্ট্রপতি মিঠামইনের কামালপুরের নিজ বাড়িতে অবস্থান ও রাত্রিযাপন করবেন। সফরের তৃতীয় দিন করিমগঞ্জ উপজেলায় নিজ নামে স্থাপিত প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শন করবেন।

এদিকে, দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইন যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ পুরো জেলায় সাজ সাজ রব।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন। বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।

 

আজ কিশোরগঞ্জ সফরে গেলেন রাষ্ট্রপতি ; আগামীকাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী