23 Feb 2025, 04:50 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফৌজদারি মামলায় ফেঁসে গেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) তাকে অভিযুক্ত করেছে ম্যানহাটানের একটি গ্রান্ড জুরি। যদিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিভিন্ন মাধ্যমের খবর বলছে, সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলাতেই ফেঁসেছেন ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফৌজদারি মামলার মুখে পড়তে চলেছেন তিনি।

খবরে বলা হচ্ছে, সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মিকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার অভিযোগে শাস্তি পেতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্টর্মির অভিযোগ, মুখ বন্ধ করার জন্য তাকে ঘুস হিসেবে টাকা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস : পর্নো অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত স্টর্মি ড্যানিয়েলসের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। ২০১০ সালে তিনি লুইজিয়ানার রিপাবলিকান সিনেটর মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করে রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নিজের আত্মজীবনী ‘ফুল ডিসক্লোজার’ লেখেন তিনি। এটি নিয়েই মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ইন টাচ’-এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কথা প্রকাশ করেন।

স্টর্মির এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বে। সংবাদমাধ্যমের সামনে স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের শুরু হয়েছিল। সেই বছর জুলাই মাসে একটি গলফ টুর্নামেন্টে ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। এরপরে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার রিসোর্ট এলাকার হোটেলে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন বলেও দাবি করেন তিনি।

পর্নো তারকার দাবি, এই শারীরিক সম্পর্কের কথা যেন কেউ জানতে না পারে, সে জন্য তাকে প্রবল চাপ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুস দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী।

এই অভিযোগেই তদন্ত শুরু হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তদন্ত করেন ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ। তারই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবার অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে ঠিক কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে এই প্রতিবেদন। তবে ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাবেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এ ধনকুবের।

ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নিচেলিস এবং জোফেস ট্যাকোপিনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা পূর্ণশক্তিতে এই মামলা লড়বেন।

যদিও এসবের অনেক আগেই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এর আগে কখনো এই পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়নি এবং নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ ঘটানো হয়নি। যদিও ট্রাম্প তার দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি দেখাননি।

 

ফৌজদারি মামলায় ফেঁসে গেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খুলনা সদরের বাসিন্দা মো. শফি ফকির (৩২)। মাজারের দরবেশ ছদ্মবেশে নিয়মিত যাতায়াত করতেন রাজশাহীতে। আর এভাবেই দীর্ঘদিন থেকে রাজশাহীর সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ী থেকে ভারতীয় হেরোইন সংগ্রহ করে পাচার করতেন।

অবশেষে ৭৬ লাখ টাকার হেরোইন পাচারের সময় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) কাছে আটক হয়েছেন এই মাদক ব্যবসায়ী। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার উজানপাড়া বাইপাস মোড়স্থ হাজী সুপার মার্কেটের তাপস জুয়েলার্সের সামনে থেকে হেরোইনসহ তাকে আটক করা হয়। মো. শফি ফকির খুলনা সদর উপজেলার আশরাফুল মামুর এলাকার মৃত মাহাবুবুল আলমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, শফি ফকির মাজারের দরবেশ ছদ্মবেশে রাজশাহীর অলি ফকিরের মাজারে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে রাজশাহী ফেরার পথে র‍্যাবের একটি অভিযানিক দল তাকে আটক করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, র‍্যাব-৫ সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।

এ ঘটনায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় একটি নিয়মিত মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

রাজশাহীতে ৭৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ ‘ভূয়া দরবেশ’ আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে অফিসের চেয়ার নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে সহকর্মীকে গুলি করেছেন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী। পুলিশের বরাতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সহকর্মীর ছোঁড়া গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি গুলি করেছেন তার নাম আমান জাঙ্গরা। তিনি হরিয়ানার হিসারের স্থানীয় বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গুলিতে আহত ব্যক্তির নাম বিশাল (২৩)। তিনি গুরুগ্রামের ফিরোজ গান্ধীর ৯ নং সেক্টরে বসবাস করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গুলির ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তারা। সেখানে গিয়ে আহত বিশালকে প্রথমে চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর বিশালের পরিবারকে খবর দেওয়া হয় এবং তার ভাই বাদী হয়ে পরবর্তীতে আমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযুক্ত আমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

আহত বিশাল পুলিশকে তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার অফিসের ভেতর আমানের সঙ্গে একটি চেয়ার নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার আবার একই বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। দ্বিতীয়বার এ নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ার পর তিনি অফিস থেকে বের হয়ে যান।

বিশাল আরও জানিয়েছেন, যখন তিনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন, তখন আমান পেছন থেকে এসে একটি পিস্তল বের করে তাকে গুলি করে পালিয়ে যান। ঘটনাটি ঘটে রামাদা হোটেলের কাছাকাছি একটি জায়গায়।

অভিযুক্ত আমানকে ধরতে এখন পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি ইস্ট ভিরন্দ্রর ভিজ। সূত্র: এনডিটিভি

 

ভারতের হরিয়ানায় অফিসের চেয়ার নিয়ে দ্বন্দ্বে সহকর্মীকে গুলি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জ সদরে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় নীলা বেগম নামের এক আসামির সশ্রম যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আ. হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।

কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জুন শহরের মাঠপাড়া এলাকা থেকে দুই সন্তানের জনক নাজির হোসেন নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে বৈদ্যুতিক তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে নাজিরকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী নীলাকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

বাদী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নীলা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে তিনি আমার আমার ভাইকে হত্যা করেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাইয়ের ছেলেমেয়েকে আমি দেখাশোনা করছি। দীর্ঘবিচার শেষে আদালত উপযুক্ত রায় ঘোষণা করেছেন। এ রায়ে আমরা খুশি।

মুন্সিগঞ্জে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্বামী হত্যা ; স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আব্দুর রকিব খান।

সোমবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ইতোপূর্বে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ত্রিশাল সার্কেল, ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মামলা নং-১৮, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) রুজুকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য জনৈক মো. গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ উপরোল্লিখিত অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের দেওয়া বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্যাদি বিবেচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় আনিত অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

এতে জানানো হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে ২য় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ২য় কারণ দর্শানো জবাব দেন। তার জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় ‘অসদাচরণ’ এর প্রমাণিত অভিযোগে বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, মোহা. আব্দুর রকিব খানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (গ) মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। সেজন্য তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।

অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব খান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে তাকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম।

সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী জানান, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি সংক্রান্ত সরকারের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছেন সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। গতকাল ২২ মার্চ ওই বিচারককে বদলি করতে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিমকোর্টে একটি স্মারক পাঠায়।

ওই বিচারকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে ডেকে এনে পা ধরে মাফ চাওয়াতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ২১ মার্চ বিকেলে ওই বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে যে, বগুড়া জেলা জজ আদালতের ওই বিচারক গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ে এসে চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন। এর একপর্যায়ে এক নারী অভিভাবককে মাফ চাইতে বাধ্য করেন তিনি। এ ঘটনায় ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রথমে বগুড়া শহরের সার্কিট হাউসের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর তারা বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনে মেয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যায়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের নির্দেশে প্রতিদিন পালা করে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়– দেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ ঝাড়– দেবে না বলে জানায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপত্তি তোলে। এটা নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বিচারক কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ে এসে মেয়ের সহপাঠীর অভিভাবককে মাফ চাইতে বাধ্য করেন। সূত্র: বাসস

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে অবশেষে প্রত্যাহার

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজধানীতে মহিলা ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর মডেল থানার মিরপুর-১০ নং গোলচত্বরে আল বারাকা হোটেলের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- মনিকা, মিম ওরফে সমলা, সোহাগী এবং রিতু।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে মনিকা ও রিতু কোলে বাচ্চা নিয়ে ঘুড়তেন, আর মিম ও সোহাগী পথচারী সেঁজে তাদের আশেপাশে থাকেন। এদের মধ্যে মনিকা-রিতু কোনো পথচারীর মোবাইল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় পথচারীরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে আশপাশ থেকে মিম ও সোহাগী এসে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতেন। এই সুযোগে বাকি দুজন মোবাইল নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকাটাইমসকে জানান, মনিকার ১৫ মাস বয়সী এবং রিতুর ৪ বছর বয়সী ছেলে আছে। তারা বাচ্চাদের কোলে নিয়ে ঘুড়তেন। পথে কোনো নারী পথচারী দেখলে তাকে টার্গেট করতেন। সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে টার্গেটের মোবাইল ছোঁ মেরে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে চলে যেত। এসময় পথচারী চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে আশপাশে থাকা তাদের চক্রের বাকি সদস্যরা পথচারী সেজে এসে ধাক্কা লেগে বা অন্য কোনো অজুহাতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতেন।

এই সুযোগে মনিকা ও রিতু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতেন। একই কায়দায় বৃহস্পতিবার ছিনতাই করেন তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে হাতে নাতে মনিকা, রিতু এবং পথচারী সেজে থাকা তাদের চক্রের আরও সদস্য মিম ও সোহাগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীতে ৪ মহিলা ছিনতাইকারী আটক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আপন বর্তমানে দুবাইয়ের ‘আরাভ খান’। সেখানে তার স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কোটিপতি বনে যাওয়ার খবর এখন আলোচনার বিষয়। তাকে নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। বর্তমানে তিনি আরাভ খান নামে পরিচিত হলেও তার নিজ জন্মস্থান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আশুতিয়ায় তিনি রবিউল ও আপন নামেই পরিচিত।

এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, জুয়ার টাকা জোগাড় করতে রবিউল গ্রামের মানুষের হাস-মুরগি চুরি করতেন। এমনকি তার বাবার মেরে আনা মাছ চুরি করেও বাজারে বিক্রি করে দিতেন তিনি। সেই টাকা দিয়ে খেলতেন জুয়া। এক সময় তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন গ্রামবাসী।

রবিউল ইসলাম ওরফে আপনকে নিয়ে ঢাকা পোস্টের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানান তথ্য। জানা যায়, জুয়ার টাকার জন্য হাস-মুরগি চুরি করে তিনি গ্রাম ছাড়েন ২০১০ সালে। চার বছর আগে পুলিশ সদস্যকে হত্যায় মামলায় জড়িত হয়ে দেশ ছাড়তে হয় তাকে।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে কোটালীপাড়ার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রবিউল ইসলাম অরফে আপন। তার বাবার নাম মতিউর মোল্লা। তার বাবা খুলনায় ভাঙারি মালামাল ফেরি করতেন। জীবিকার তাগিদে একদিন কোটালীপাড়া চলে আসেন। পরে সেখানে জমি কিনে বাড়ি করেন তার বাবা। এরপর বিলের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অভাব অনটনের সংসার হওয়ায় রবিউল ইসলামকে পাঠিয়ে দেন আদি বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারীতে। সেখানে এস এম মডেল স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ফেল করার পর তাকে কোটালীপাড়ায় নিয়ে আসেন তার পরিবার। একসময় রবিউল জুয়া খেলাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। বিল থেকে বাবার মেরে আনা মাছ চুরি করে বাজারে বিক্রি করে দিতেন। তার হাত থেকে রক্ষা পেত না এলাকাবাসীর হাস-মুরগিও। এ নিয়ে এলাকায় কয়েকবার সালিশ বিচার বসেছে। এক সময় অতিষ্ঠ হয়ে বাবা মতিউর মোল্লাকে চাপ দিয়ে রবিউলকে গ্রাম ছাড়াতে বাধ্য করে গ্রামবাসী। গ্রাম ছাড়ার দুই বছর পর একবার এসেছিলেন রবিউল। এক যুগ পরে গণমাধ্যমে রবিউলকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আলোচনা শুরু হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।

এ বিষয়ে রবিউলের এক প্রতিবেশী হায়দার রহমান বলেন, আপন (রবিউল ইসলাম) সপ্তম শ্রেণিতে ফেল করার পর জন্মস্থান কোটালীপাড়ায় চলে আসে। এখানে এসে আর সে কোনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। আশুতিয়া গ্রামে এসে তার বাবাকে মাছ ধরায় সহযোগিতা করত। এক সময় তিনি জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন জুয়ার টাকা যোগানোর জন্য তার বাবার ধরা মাছসহ এলাকার হাস-মুরগি ধরে বিক্রি করে দিত। এ নিয়ে গ্রামের মধ্যে কয়েকবার সালিশ বিচার ও হয়েছে। পরে আপন ঢাকা চলে যায়। চলে যাওয়ার দুই বছর পর একবার গ্রামে আসেন। তখনও আপন সাধারণ ছিল। সম্প্রতি তার এই কোটিপতি বনে যাওয়া আমাদের অবাক করেছে। আপন যদি অবৈধ পথে কোটিপতি হয়ে থাকেন তাহলে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানই কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের আপন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্না বলেন, প্রায় এক যুগ অগে আপন একবার বাড়ি এসেছিল। এরপর তাকে গ্রামে আর দেখা যায়নি। তাই তার সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানতাম না। তবে কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখে আমরা এলাকাবাসী অবাক হই। কী করে সে এতো টাকার মালিক হলো? বিদেশে গিয়ে নাম বদলে আরাভ খান হলেও আমরা তাকে দেখে চিনে ফেলি। সে মতিউর জেলের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে আপন।

তিনি আরও বলেন, এত অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হওয়া সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, অবৈধ পথেই এই টাকা সে আয় করেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সে দোষী হলে তার বিচার হওয়া উচিত।

স্থানীয় সমাজকর্মী এম আরমান খান জয় বলেন, আরাভ খানকে আমরা ‘আপন চিটার’ নামেই জানতাম। আরাভ আমাদের পাশের গ্রামের ছেলে। আজ থেকে ১০ বছর আগে একবার আমার খালাতো ভাই আরাভের একটি ছবি দিয়ে বলেন এই লোক ঢাকা থেকে একটি লেটেস্ট মডেলের বাইক চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। পরবর্তীতে আমরা আশুতিয়া গ্রামে খোঁজ নেই। কিছুদিন পরে জানতে পারি সে বাড়িতে আসছেন। পরের দিন ভোর রাতে গিয়ে আপন (রবিউল ইসলাম) ওরফে আরাভকে হাতে নাতে ধরি। তাকে ধরার পর সে আমাদের হাত-পা ধরে ক্ষমা চায়। পরে আমরা বাইকটা উদ্ধার করে তাকে ছেড়ে দেই। বাইকটা ছিল আমার খালাতো ভাইয়ের অফিসের বসের। তার বায়িং হাইজের ব্যবসা ছিল। মূলত আপন ঢাকায় গিয়ে বড়লোকদের টার্গেট করে বন্ধুত্ব গড়ত পরে তাদের দামি মালামালগুলো চুরি করে পালিয়ে যেত।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শককে হত্যা করা হয় যেভাবে  : পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রহমত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির আমন্ত্রণে ঢাকার বনানীর একটি বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, মামুনকে ফাঁদে ফেলে বনানীর ওই বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। তাকে ফ্ল্যাটে নিয়ে বেঁধে, স্কচটেপ দিয়ে মুখ আটকে পেটানো হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে মামুন মারা যান। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডে রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম, সুরাইয়া আক্তার কেয়া, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারওয়ার হোসেন, মেহেরুন্নিসা ওরফে স্বর্ণা ও ফারিয়া বিনতে মাইসাকে আসামি করে বনানী থানায় হত্যা মামলা করে পরিদর্শক মামুনের পরিবার।

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ এবং রবিউল ইসলাম ওরফে আপনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে রবিউল ইসলামকে পলাতক উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

যেভাবে ‘আয়নাবাজি’র ছক এঁকেছিলেন আরাভ খান : সম্প্রতি ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি গয়নার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, ইউটিউবার হিরো আলমসহ দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকার দুবাই যাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি সবার নজর কাড়ে। এরপর জানা যায় আরাভ জুয়েলার্সের মালিক কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম। যিনি প্রায় চার বছর আগে ঢাকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। এ মামলায় তিনি নিজেকে বাঁচাতে এঁকেছিলেন বাংলা সিনেমা ‘আয়নাবাজি’র ছক। আবু ইউসুফ লিমন নামে এক তরুণকে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে আদালতে তার বদলে আত্মসমর্পণ করান লিমনকে। পরে আদালত লিমনকে কারাগারে পাঠায়। এই ফাঁকে আরাভ ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় নকল পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ত্যাগ করে দুবাই চলে যান। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে লিমনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। এখনও প্রতারণার মামলার হাজিরা দিতে হয় ওই তরুণকে। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ৯ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পান লিমন।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, নিজেকে বাঁচাতে প্রতারণার মাধ্যমে আবু ইউসুফ নামের আরেক যুবককে রবিউল সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করানো হয়। রবিউলের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে আবু ইউসুফ লিমন ২০২০ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাকে জেলে পাঠান। প্রায় ৯ মাস জেলে থাকার পর সেই তরুণের খোঁজ-খবর নেওয়া বন্ধ করে দিলে ওই তরুণ একপর্যায়ে সত্য প্রকাশ করে দেন। পরে ওই তরুণের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। ইন্টারপোলের মাধ্যমে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

 

মুরগি চুরি করে ছেড়েছিলেন গ্রাম ; হত্যা মামলায় দেশ ছাড়ে গোপালগঞ্জের রবিউল ইসলাম ওরফে ‘আরাভ খান’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ফেনীতে পাচারকালে মা ও ছেলেসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-৭।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে ফেনী সদর থানাধীন রামপুর এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৪২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নয়াবাজার গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে মো. সোহেল (২০), তার মা আয়েশা বেগম (৩৯), একই থানা এলাকার খারাংখালী গ্রামের নূর আহাম্মদের মেয়ে জাহানারা বেগম (৩৫) এবং সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের মেয়ে জহুরা বেগম (৩৩)।

র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে সোহেলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পটিয়া থানায়, আয়েশা বেগমের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ ও বাঁশখালী থানায় এবং জহুরা বেগমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এ র‌্যাব কর্মকর্তা।

 

ফেনীতে ইয়াবা পাচারকালে মা-ছেলেসহ ৪ জন গ্রেফতার