অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন মঙ্গলবার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে পিয়ংইয়ং সফরের আগে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ দেয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে ঐতিহাসিক মিত্র মস্কো এবং পিয়ংইয়ং নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু, রাশিয়ার ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর পুতিন আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং নতুন বন্ধু দেশের সন্ধান করে আসছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সেপ্টেম্বরে তার বুলেট প্রুফ ট্রেনে একটি বিরল বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন রাশিয়ান স্পেসপোর্টে পুতিনের সাথে দেখা করার জন্য। সিউল পরবর্তীতে দাবি করেছিল, পিয়ংইয়ং রাশিয়ান স্যাটেলাইট জানার বিনিময়ে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য মস্কোতে অস্ত্র পাঠাচ্ছে।
গত মাসে পেন্টাগন বলেছে, ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কারণে পুতিনের সফর ওয়াশিংটনে ‘উদ্বেগ’ সৃষ্টি করেছে।
সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে পুতিন একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার অত্যন্ত প্রশংসা করি এই কারণে ইউক্রেনে পরিচালিত রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে তারা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে’।
রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া ‘এখন সক্রিয়ভাবে বহুমুখী অংশীদারিত্বের বিকাশ ঘটাচ্ছে।’ পুতিন মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ায় সফরের আগে নিবন্ধে লিখেছেন ২০০০ সালের পর এই প্রথম তিনি পিয়ংইয়ং সফরে যাচ্ছেন। ওই সফরে তিনি তৎকালীন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং ইল-কিম জং উনের প্রয়াত পিতার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
রুশ নেতা লিখেছেন, এবারের সফরটি দুই মিত্র দেশের সম্পর্ককে ‘উচ্চস্তরে’ উন্নীত করবে। এই সফর দুই মিত্রের মধ্যে ‘সমান সহযোগিতা’র উন্নয়ন ঘটাবে।
Leave a Reply