অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গোপালগঞ্জে মাদক মামলায় মাদক সম্রাট রবিউলসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। এই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মাদক সম্রাট ও গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামের মৃত ওসমান শেখের ছেলে বাটুল ওরফে রবিউল (৪৬), তার সহযোগী বেদগ্রামের সালাম শেখের ছেলে সুজন শেখ (৪১), একই গ্রামের মৃত হারুন মৃধার ছেলে মো.রফিক মৃধা (৩৯) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর চরপাড়া গ্রামের মৃত কাদের সিকদারের ছেলে জাকির সিকদার (৪৫)।
রায় ঘোষণার সময় রবিউল ও সুজন শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত রফিক মৃধা ও জাকির সিকদার পলাতক রয়েছেন । অপর আসামি বেদগ্রামের বটতলা এলাকার সরোয়ারজানের ছেলে শেখ জিরুল্লাহ (৪০) খালাস পেয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের সালের ১০ জুলাই সোনা বেগম ও শেখ জিরুল্লাহকে ডিবি পুলিশ ৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করে।এরপর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডিবি পুলিশ দ্বিতীয় দফায় অভিযানে বের হলে মাদক সম্রাট বাটুল বেদগ্রাম থেকে নৌকায় গোলাবাড়িয়া বিলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডিবি পুলিশ গোলাবাড়িয়া পৌঁছলে রবিউল ও তার সহযোগীরা বস্তাবন্দি ফেন্সিডিল পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ সেখান থেকে ৪৯৭ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
ওই দিন এ ঘটনায় মাদ্রক সম্রাট রবিউল, সোনা বেগম, জিরুল্লাহ, সুজন শেখ, মো.রফিক মৃধা, জাকির সিকদারকে আসামি করে ডিবি পুলিশের এসআই মো. শাহাদত হোসেন গোপালগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের কিছু দিন পর সোনা বেগম মারা যান।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তাকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সোনা বেগমকে বাদ দিয়ে ৫ আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক ৪ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে এমএ আলম সেলিম, মো. রবিউল আলম, মো. এনামুল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান আরো জানান,বাটুল ওরফে রবিউলের বিরুদ্ধে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে বলে চার্জশিটের পিসিআর এ উল্লেখ রয়েছে। প্রায় ৮ মাস আগে একটি মাদক মামলায় বাটুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জজ আদালত।
Leave a Reply