নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বশির আল-মামুন চট্টগ্রাম: গণবিক্ষোভে সরকার পতনের পর থেকে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ২ টার দিকে বন্দীরা কারা অভ্যন্তরে এ বিক্ষোভ করেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুর হোসেন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর কারাগারের ভেতরে বন্দিরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বেলা ৩টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বন্দিরা কারাগার থেকে বের হয়ে যাবার জন্য বিক্ষোভ শুরু করে। পাগলা ঘণ্টা বাজানোর পর কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।”
এর আগে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তারা বের হয়ে আসার পর সেনাবাহিনীর আরেকটি দল কারাগারের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।
ছাত্র জনতার বিপুল গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পর দেশজুড়ে থানাসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা হতে থাকে। নির্বিচারে ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয় অনেক থানায়। বিভিন্ন কারাগারেও হামলা চলানো হয়।
জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন বলেন, জুমার নামাজের পর কিছু কয়েদি বিদ্রোহ করে। এসময় কারাগারে পাগলা ঘণ্টা বাজানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের পক্ষ থেকে ফাঁকা গুলি করা হয়। এসময় কতজন আহত হয়েছে, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। কারাগারের ভিতরে সেনাবাহিনী রয়েছে।
এর আগে ৫ আগস্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ ও কারারক্ষীরা হামলা প্রতিরোধ করেন। বর্তমানে কারাগারে প্রায় ৪ হাজারের বেশি বন্দী রয়েছে। কারাবন্দিদের রাখার জন্য পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ভবনের প্রতিটিতে বন্দি রাখার ধারণক্ষমতা ৩০০ জন। সাংগু, কর্ণফুলী ও হালদা ভবনের প্রতিটিতে বন্দি রাখার ধারণক্ষমতা ২৪০ জন।
Leave a Reply