এম এ কবীর : ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন ও হিসাব রক্ষক মকলেচুর রহমান ফেঁসে গেছেন। তারা চেক জালিয়াতি করেছেন মর্মে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
ফলে এই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের ওয়েব সাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রানালয় থেকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ঝিনাইদহ পৌরসভার ফান্ড তছরুপ ও চেক জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আজমল ও মকলেচুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখা-১ এর উপ-সচিব আব্দুর রহমান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আজমল হোসেন বিভিন্ন সময় হিসাব রক্ষক মকলেচুর রহমানের সহায়তায় ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে হিসাব রক্ষক মকলেচুর রহমান দোষ স্বীকার করে সম্প্রতি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেন।
মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু চেক জালিয়াতির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ২০২১ সালের ২৭ জুন তার দপ্তরের ২৯৬ নং স্মারকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব (পৌর-১ শাখা) বরাবর চিঠি দেন। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার নির্দেশনা জারি করে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এই ব্যবস্থা গ্রহন করেন বলে জানা গেছে। এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব গ্রহনের আগেই চেক জালিয়াতির ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয় পৌরসভার একটি একাউন্টে। হিসাব রক্ষক মকলেচুর রহমান এই টাকা সোনালী ব্যাংকের ২৪০৭০০৪০০০৩১৬ নম্বর একাউন্টে জমা দিলেও ঝিনাইদহ পৌরসভার একাউন্টস সেকশনে তার কোন ডকুমেন্ট নেই। মেয়র শাহরিয়ার জাহেদী হিজল দায়িত্ব গ্রহনের পর বিষয়টি জানাজানি হলেও এখনো বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে আছে।
Leave a Reply