“বিত্তবান নিজ সামর্থ অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবনোপকরণ সীমিত সে আল্লাহ্ যা দান করেছেনতা হতে ব্যয় করবে। আল্লাহ্ যাকে যে সামর্থ দিয়েছেন তদপেক্ষা গুরুতর বোঝা তিনি তার উপর চাপান না। আল্লাহ্ কষ্টের পর স্বস্তি দেবেন।” ( সূরা : ত্বালাক ঃ আয়াত : ৭ )
১. হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একটি দীনার (মূদ্রা) তুমি মহান আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছে, একটি দীনার ত্রীতদাস মুক্ত করার জন্য ব্যয় করেছ, একটি দীনার মিসকীনকে দান করেছ, আর একটি দীনার পরিবারের লোকজনের জন্য ব্যয় করেছ। এ দীনারগুলোর মধ্যে যেটি তুমি নিজ পরিবারের লোকজনের জন্য ব্যয় করেছ প্রতিদান লাভের দিক দিয়ে সেটিই সর্বোত্তম। (মুসলিম শরীফ)
২. রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আযাদকৃত গোলাম আবু আব্দুল্লাহ অথবা আবু আব্দুর রহমান ইবনে বুজদুদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম দীনার (মূদ্রা) হল যেটা কোন ব্যাক্তি তার নিজ পরিবার পরিজনের জন্য খরচ করে, যে দীনারটি মহান আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে পোষা ঘোড়ার জন্য খরচ করে এবং যে দীনারটি মহান আল্লাহর পথে নিজের বন্ধুদের জন্য খরচ করে। ( মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি যদি আবু সালামার সন্তানদের জন্য খরচ করি তবে তাতে কি আমার কোন সওয়াব হবে? আমি তাদেরকে কোর রকমই পরিত্যাগ করতে পারছি না। কেননা তারা আমারও সন্তান। তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি তাদের যে ব্যয়ভার বহন করছ তাতে তোমার জন্য প্রতিদান রয়েছে।
৪. হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তুমি যে খরচই কর না কেন তোমাকে প্রতিদান দেওয়া হবে, এমনকি যে গ্রাসটি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিচ্ছ তাতেও। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৫. হযরত আবূ মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, কোন লোক সওয়াব অর্জনের আশা রেখে নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য যা খরচ করে তা তার জন্য সদকা স্বরুপ গন্য। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন লোক যার রিযিকের মালিক তার রিযিক নষ্ট করে দেয়াই তার গোনাহগার সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটা সহীহ হাদিস। ইমাম আবু দাউদ ও অন্যরা এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, কোন লোকের গোনাহগার হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যার রিযিকের মালিক হয় তার এ রিযিক আটকে রাখে।
৭. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হে মহান আল্লাহ! খরচকারীকে তার বিনিময় দান কর। অপরজন বলেন, হে মহান আল্লাহ্ কৃপনের ধন বিনষ্ট করে দাও। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৮. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিচের হাতের চেয়ে উপরের হাত শ্রেষ্ঠ। নিকটতম আত্মীয়দের হতে দান খয়রাত শুরু কর। উত্তম সদকা হল যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ হতে দান করা হয়। যে লোক পূন্যবান হতে চায় মহান আল্লাহ্ তাকে পুন্যবার করে দেন। যে লোক স্বয়ংসম্পুর্ণ ও স্বনির্ভর হতে চায় মহান আল্লাহ্ ত’আলা তাকে স্বনির্ভর করে দেন। (বোখারী শরীফ)
Leave a Reply