অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যশোরের বাঘারপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে রায়হান হোসেন (২২) নামে এক যুবকের গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। দগ্ধ রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রায়হান যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দায়তলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙা জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফাড করা হয়।
রায়হানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, রায়হানের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার সঙ্গে স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
রায়হানের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, রায়হানের স্ত্রী রাবেয়া (১৯) গত ৫ থেকে ৭ দিন আগে বাবার বাড়ি জোহরপুরের মাথাভাঙা গ্রামে যান। এই সময়ের মধ্যে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে রোববার সন্ধ্যায় রায়হান তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মারার চেষ্টা করে।
এদিকে নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, রায়হান টাইলসের কাজ করতো। প্রতিনিয়ত তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। হয়তো তার স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করতে পারে শশুরবাড়ির লোকজন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস্ বলেন, দগ্ধ রায়হানের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাঘারপাড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply