অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে বিকাশ হিসাবে ৩শ’ টাকা থাকলেও ১০ হাজার টাকা ক্যাশআউট করতে এসে তর্কে জড়ান দুই ব্যক্তি। তখন বিকাশের দোকানে উপস্থিত হন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ। অহেতুক তর্কে জড়ানো ব্যক্তিদের বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য হিসেবে সন্দেহ হলে তাদের আটকের নির্দেশ দেন তিনি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় ভূঁইয়া টেলিকম নামে একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন ওমর ফারুক ও মো. ফরহাদ। ফারুক নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খাঁনপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ও ফরহাদ মাইজদী পুরাতন কলেজ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ ও বিকাশ এজেন্ট জানায়, সন্ধ্যায় আটক ব্যক্তিরা একটি ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে ১০ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য ওই দোকানে আসেন। কিন্তু দোকানির কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। ফলে তারা চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা ফের টাকা উত্তোলনের জন্য ওই দোকানে আসেন। তখন দোকানি তাদেরকে ক্যাশ আউট করতে বলেন। কিন্তু তারা পারছিলেন না।
দোকানি তাদের বিকাশ হিসাব চেক করেন। হিসাবটিতে ৩শ’ টাকা পাওয়া যায়। এটি তাদের বলতে দোকানির ওপর চওড়া হয়ে ওঠে ওই দুই ব্যক্তি। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ঠিক সেই মুহূর্তে সড়কের ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান সরাতে এসপি মাহফুজ্জামান আশরাফ, এএসপি (সদর সার্কেল) সোহেল রানা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন কাজ অভিযান চালাচ্ছিলেন। তখন তর্ক-বিতর্কের ঘটনাটি এসপির নজরে পড়ে। দোকানি রাকিব হোসেন এসপিকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন।
এতে ওই দুই ব্যক্তি বিকাশ প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ করেন পুলিশ কর্মকর্তা। পরে তাদেরকে আটক করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে আটক ফারুক ও ফরহাদের দাবি, তারা প্রতারক নয়, ভাঙারি ব্যবসা করেন। তারা বিকাশের টাকা উঠানোর জন্যই দোকানটিতে এসেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, সন্দেহজনকভাবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তারা প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply