30 Apr 2024, 05:37 pm

শাফা‘আত (সুপারিশ) প্রসঙ্গে হাদীসে কুদসীসমূহ (বাংলা অর্থ)

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পরকালে পাপ-পুণ্য বিচারের মুহূর্তে যারা মহান আল্লাহ্র কাছে অপরাধী সাব্যস্ত হবে তাদের জন্য আল্লাহ্ তায়ালার অনুগ্রহপ্রাপ্ত কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরই অনুমতিক্রমে সুপারিশ করার অনুমতি পাবেন। এ মহান ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যক্তি হবেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযযরত মুহাম্মদ (সঃ)। এছাড়া আম্বিয়া, আওলিয়া, শহীদ, সৎ সন্তান, শিশু সন্তান ও অনুগ্রহপ্রাপ্ত গরীবÑদঃখী বেহেশতী মানুষ আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে অন্যান্য মু‘মিনের নাজােেতর জন্য আল্লাহ্র নিকট দরখাস্ত করার সুযোগ পাবেন।
সুপারিশের ক্ষেত্রে তা লক্ষ্যণীয় যে, কোন মানুষের সুপারিশ করার কোন অধিকার নেই। মহান আল্লাহ্ অনুগ্রহ পূর্বক যাকে এ অনুমতি দেবেন, শুধু তিনিই আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করার যোগ্যতা ও ক্ষমতা পাবেন।

১. নবী করীম (সঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আমি শেষ বিচার দিবসে মানুষের নেতা হব, তাতে কোন গর্ব বা অহংকার নেই। আর মানুষের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, শেষ বিচার দিবসে আমার পতাকাতলে হাজির না থাকেেব এমন এবং মুক্তির প্রতিক্ষা না করবে। সেদিন আমার হাতে থাকবে প্রশংসার পতাকা, আমি চলতে থাকব এবং জনগণ আমার সাথে চলতে থাকবে। এমনকি আমরা জান্নাতেরর দরজায় এসে হাযির হব এবং তা খুলবার বাসনা করব। তখন বলা হবে কে তুমি?  আমি বলব, মুহাম্মদ (সঃ)। বলা হবে , মুহাম্মদকে খোশ আমদেদ জানাই। অতঃপর আমি আমার মহান প্রভুকে দেখব এবং কৃতজ্ঞতাতাভরে তাঁর সামনে সিজদায় পতিত হব। আমােেক বলা হবে, মাথা তুলুন এবং চান। তুমি যা চাবে তোমাকে তাই দেওয়া হবে। তুমি সুপারিশ করলে তা শুনব।” অতঃপর যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুনে জ্বলেছে সেও আল্লাহর রহমত ও আমার সুপারিশের দরুন জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। হাকেম, আহমদ ও বায়হাকী আলোচ্য হাদীসখানা উবাদা ইবনে সামিত (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

২. শেষ বিচার দিবসে ছোট বালকÑবালিকাদের বলা হবে, “তোমরা বেহেশ্তে প্রবেশ কর।” তখন তারা বলবে, “হে প্রতিপালক! যে পর্যন্ত আমাদের বাপÑমা বেহেশ্তে প্রবেশ না করবে (সে পর্যন্ত আমরা প্রবেশ করব না)। অতএব তারা ফিরে আসবে। তখন মহান ও মর্যাদাবান আল্লাহ বলবেন, “একি ?” আমি দেখতেছি তোমরা দেরী করতেছ, তোমরা তাড়াতাড়ি বেহেশতে প্রবেশ কর।” তারা বলবে, “হে প্রতিপালক! আমাদের পিতা-মাতা কোথায়” “তখন আল্লাহ্ বলবেন, “তোমাদের পিতা-মাতাকে সাথে নিয়েই বেহেশ্তে প্রবেশ কর। ইমাম আহ্মদ আলোচ্য হাদীসখানা কোন এক সাহাবী (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

৩. নিশ্চয়ই শেষ বিচার দিবসে সুপারিশ আমার উম্মতের সে ব্যক্তির জন্য হবে, যে কবীরা গুনাহ করেছে এবং সে অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়েছে। তারা জাহান্নামের প্রথম স্তরে থাকবে, তাদের চেহারা মলিন হবে না, চক্ষগুলো নীল হবে না। তাদেরকে শিকলে বেঁধেও রাখবে না। শয়তানদের সাথে বন্দীরুপেও মিলিত করা হবে না হাতুড়ি দিয়ে প্রহারও করা হবে না এবং দোযখের তলায়ও নিক্ষেপ করা হবে না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একঘন্টা অবস্থান করবে। অতঃপর বের হয়ে আসবে। কেউ কেউ একদিন অবস্থান করবে অতঃপর তা থেকে  বের হয়ে আসবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একমাস অবস্থান করবে। অতঃপর তা থেকে বের হয়ে আসবে। আর তাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ দীর্ঘসময় অবস্থান করবে। সে কাল দুনিয়া সৃষ্টি হতে তার ধ্বংসের সময় পর্যন্ত পরিব্যপ্ত হবে, যার পরিমাণ সাত হাজাার বছর (ইহকালীন ১ দিন সমান পরকালীন ৫০ হাজার বছর, অংকের হিসাবে পরকালীন ৭ হাজার বছর সমান ইহকালীন ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৭৫ কোটি বছর)। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা যখন একত্ববাদে বিশ্বাসীগণকে তা থেকে নাজাত দেওয়ার ইচ্ছা করবেন, তখন তিিিন যাবতীয় ধর্মাবলম্বীদের মনে এই ধারণা প্রবেশ করাবেন যার ফলে তারা বলতে থাকবে, “আমরা ও তোমরা সকলে পৃথিবীতে ছিলাম। অতঃপর তোমরা ঈমান এনেছিলে ,আর আমরা অবিশ্বাস করে ছিলাম। আর তোমরা সত্যকে মেনে নিয়েছিলে এবং আমরা তাকে মিথ্যা বলে মনে করেছিলাম। তোমরা স্বীকার করেছিলে, আমরা অস্বীকার করেছিলাম, কিন্তু তা তোমাদের কোন উপকারে আসল না। অদ্যকার দিনে আমরা ও তোমরা শাস্তির ব্যাপারে সকলে সমান। তোমরাও তেমন ভাবেই শাস্তি পাচ্ছ যেরূপভাবেই আমর শাস্তি প্রাপ্ত হচ্ছি। আর তোমরা তাতে চিরজীবন থাকবে যেরূপভাবে আমরাও চির জীবন থাকব।” এ সময় আল্লাহর ক্রোধ এত প্রবল হবে যে, যার অনুরূপ অতীতে কখনো হয়নি এবং অবশিষ্টকালেও (ভবিষ্যতে) তেমন হবেন না, তখন (আল্লাহর ইচ্ছায়) একত্ববাদের বিশ্বাসী তা থেকে বের হয়ে জান্নাত ও পুলসিরাতের মধ্যবর্তি একটি স্থানের দিকে আসবে যাকে সঞ্জীবনী ঝরণা বলা হয়। অতঃপর তাদের উপর সে ঝরণার পানি ছিটিয়ে দেয়া হবে, ফলে তারা এভাবেই উত্থিত হবে যেরূপ বন্যার পর চারাগাছ জন্মায়।  অতঃপর যেটি ছায়ার নিকটবর্তী থাকে, তা সবুজ হয়। আর যেটি রৌদ্রের সন্নিকটবর্তী সেটি হয় হরিদ্রাভ। এভাবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে থাকবে, তাদের ললাটে লিখিত থাকবে Ñআল্লাহ কর্তৃক জহান্নাম থেকে মুক্ত, শুধু এক ব্যক্তি ছাড়া। সে তাদের পরও এক হাজার বছর আবস্থান করবে , তারপর এ বলে আহŸান করবে, “হে হানান্ন্, হে মান্নান তখন তাকে বের করে আনার জন্য আল্লাহ এক ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। ফেরেশতা তার অনুসন্ধানে দোযকে প্রবেশ করবে, তারপর সত্তর বৎসর পর্যন্ত অনুসন্ধ্ান করবে। কিন্তু সে ব্যক্তির কোন খোঁজ পাবে না । তারপর সে ফিরে এসে বলবে ,“আপনি আমাকে আপনার অমুক বান্দাকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনার জন্য আদেশ করেছিলেন। কিন্তু আমি তাকে সত্তর বৎসর তালাশ করেও পেলাম না।ফলে তাকে বের করাও সম্ভব হলো না।

৪.  নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাই‘হি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি শেষ বিচারের দিন সকল মানুষের নেতা হব। আর তোমরা কি জান এ মর্যাদা কিসের জন্য হবে ? আল্লাহ্ তা‘আলা পূর্ববর্তী মানুষদেরকে এক ময়দানে সমবেত করবেন । তিনি তাদেরকে এক আহবানকারীর আহবান শোনাবেন ও তাদেরকে চক্ষু দান করবেন। সূর্য তাদের অতি নিকটে আসবে । অতএব, (সমবেত) মানুষের উপর আপতিত হবে অসহনশীল দুঃখ ও যন্ত্রণা, যা সহ্য করা তদের সাধ্যতীত হবে এবং তারা তা সহ্য করতে পারবে না। তখন তাদের একে অপরকে বলবে, “হে মানুষেরা ! তোমারা কি ভেবে দেখনা যে, তোমাদের উপর কি পরিমান বিপদ আপতিত হয়েছে? তোমরা কি চিন্তা করে দেখছ না, কে সে ব্যক্তি যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করবেন?” তখন কতিপয় লোক অপরকে উদ্দেশ্য করে বলবে, “তোমরা আদম (আঃ) এর কাছে যাও।” তখন তারা আদম (আঃ) এর কাছে হাযির হয়ে বলবে, হে আদম (আঃ)! আপনি আমাদের পিতা, আপনি মানবকুলের পিতা, মহান আল্লাহ্ তার কুদরতি হাতে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার ভেতর তার থেকে প্রাণ শক্তি ফুঁকে দিয়েছেন। অতঃপর ফেরেশতাগণকে সিজদা করার আদেশ দিয়েছেন এবং তারা আপনাকে সিজদাহ করেছে। আপনি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না আমরা কি কঠিন অবস্থায় রয়েছি? আপনি কি দেখছেন না আমরা বিপদের কোন পর্যায়ে এসে পৌছেছি? তখন আদম (আঃ) তাদেরকে বলবেন , “নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক আজ এত রাগান্বিত যে, ইতিপূর্বে তিনি কখনও এতো রাগান্বিত হননি এবং তার পর তিনি কখনও এরূপ হবেন না । তিনি আমাকে সে গাছের নিকট যেতে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি তাঁর নির্দেশ অমান্য করেছিলাাম। আজ আমি নিজেকে, নিজেকে এবং শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। তোামরা আমাকে ছেড়ে অন্য কোরো নিকট যাও। তোমরা বরং নূহু (আঃ) এর কাছে যাও। ”তখন তারা নূহু (আঃ)-এর কাছে হাযির হয়ে বলবে, “হে নূহ (আঃ)! আপনি পৃথিবীর অধিবাসীদের নিকট প্রেরিত রাসূলদের সর্বপ্রথম ব্যক্তি। আল্লাহ আপনাকে কৃতজ্ঞ বান্দা আখ্যা দিয়েছেন। আপনি আল্লাহ্র নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখেন না, আমরা কি অবস্থায় আছি, কোন্ অবস্থায় পৌছিছে” নূহ (আঃ) তদেরকে বলবেন, আমাদের প্রতিপালক আজ এতটা ক্রোধান্বিত যে, ইতিপূর্বে তিনি কখেেনা এরূপ ক্রোধান্বিত হননি। তারপর তিনি এরূপ ক্রোধান্বিত হবেন না। আমাকে একটি দোয়া করার অধিকাার  দেওয়া  হয়েছিল। আমি আমার জাতির বিরুদ্ধে সেরূপ করেছিলাম। আজ আমি নিজেকে, নিজেকে এবং শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত।  তোমরা আমার নিকট থেকে অন্য কারোও নিকট  যাও। তোমার বরং ইব্রাহীম (আঃ)Ñএর কাছে যাও। তখন তারা ইব্রাহীম (আঃ)এর কাছে আসেেব এবং বলবে, “হে ইব্রাহীম (আঃ)! আপনি আল্লাহ্র নবী, দুনিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে তার বন্ধু। আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখেন না, আমরা কি বিপদের মধ্যে আছি? আপনি কি দেখেন না,  আমরা  কোন  পর্যায়ে  পৌেিছছি ?” তখন  ইব্রাহীম (আঃ) তাদেরকে বলবেন, “নিশ্চয়ই আমার রব , আজ এতটা ক্রোধান্বিত হয়েছেন যে,  ইতিপূর্বে তিনি কখেেনা এরূপ ক্রোধান্বিত হননি।
তারপর তিনি এরূপ ক্রোধান্বিত হবেন না। আমি দুনিয়াতে তিনটি অসত্য কথা বলেছিলাম। আজ আমি নিজেকে, নিজেকে এবং শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। তোমরা আমার নিকট থেকে অন্য কারোও নিকট যাও। তোমরা মূসা (আঃ)Ñএর কাছে যাও।”তখন তারা মূসা (আঃ) Ñএর নিকট আসবে এবং বলবে, “হে মূসা ! আপনি আল্লাহ্র রাসূল, আল্লাহ্ আপনাকে নবুওয়াত দ্বারা এবং আপনার সাথে আলাপ-আলোচনা করে আপনাকে সকলের ওপর স্থান দিয়েছেন। আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখেন না আমরা কি বিপদের মধ্যে আছি ? আপনি কি দেখেন না আমরা কোন পর্যায়ে পৌেিছছি?” তখন মূসা (আঃ) তাদেরকে বলবেন “নিশ্চয়ই আমার রব আজ এত ক্রোধান্বিত যে, তিনি ইতিপূর্বে এরূপ কখনও হননি আর তারপরে কখনো এরূপ হবে না। আমি দুনিয়াতে এক ব্যক্তিকে খুন করেছিলাম যা করার জন্য আমি অদিষ্ট হয়নি।  আমি আজ আপন প্রাণ, আপন প্রাণ কেবল আপন প্রাণ নিয়েই ব্যস্ত আছি। তোমরা আমার নিকট থেকে অন্য কারোও  নিকট  যাও। তোমরা হযরত ঈসা (আঃ) এর নিকট যাও।” তখন তারা হযরত ঈসা (আঃ)এর নিকট আসবে এবং বলবে, হে ঈসা (আঃ)! আপনি আল্লাহর রাসূল ও তাঁর কলেমা, যা মহান আল্লাহ্ মারইয়ামের প্রতি নিক্ষেপ করেছিলেন এবং তার প্রেরিত আত্মা। আপনি আমাদের জন্য আপনার রবের নিকট সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখেন না , আমরা কি অবস্থায় আছি? কোন্ অবস্থায় এসে পৌছেছি?” তখন ঈসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, “আজ আমার রব এতটা ক্রোধান্বিত হয়েছেন যে, ইতিপূর্বে তিনি কখেেনা এরেূপ ক্রোধান্বিত হয়নি। এরপরও তিনি এরূপ ক্রোধান্বিত হবেন না। আমাকে একটি দোয়া করার অধিকার দেয়া হয়েছিলো। আমি আমার জাতির বিরুদ্ধে সে দোয়া করেছিলাম। আজ আমি নিজেকে, নিজেকে এবং শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। তোমরা আমার নিকট থেকে অন্য কারোও  নিকট  যাও। তোমরা মুহাম্মদের (সঃ) এর কাছে যাও।”
তখন তারা আমার কাছে আসবে এবং বলবে, “হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি  আল্লাহর রসূল, নবীদের মধ্যে শেষ নবী। আল্লাহ্ আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল অপরাধ ক্ষমা করে ছিয়েছেন। আপনি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করুন। আপানি কি দেখেন না, আমরা কিসের মধ্যে আছি?” কি লক্ষ্য করেন না, আমরা কি অবস্থায়  এসে পৌছেছি?” আমি তখন চলতে  শুরু করব, আরশের নিকট আসব এবং রবের সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। তারপর আল্লাহ আমার প্রতি রহমতের দরজা খুলে দেবেন এবং আমার অন্তরে তার যাবতীয় প্রশংসা ও উত্তম ¯ু‘তিরপ্রেরণা প্রতিষ্ঠা করাবেন যা ইতিপূর্বে কারোও মধ্যে প্রকাশিত করা হয়নি। অতঃপর বলা হবে, “হে মুহাম্মদ ! তুমি মাথা তুলে নাও, তুমি যা কিছু  চাওয়ার চাও ,যা চাও তা তোমাকে দেওয়াা হবে। সুপারিশ কর তোমার সুপারিশ শুনবো।” তখন আমি আমার মাথা তুলবো এবং বলব, “হে আমর রব! আমার উম্মতগণকে আমার উম্মতগণকে।” তখন বলা হবে, “হে মুুহাম্মদ! তোমাার উম্মতদের যাদের বিরুদ্ধে কোন হিসাব নেই, তাদেরকে বেহেশ্তের দরজাসমূহের ডানদিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করাও। তারা অন্যান্য দরজায়ও থাাকবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তার শফথ ! বেহেশতের দুটি দরজার  দুই পাশের মধ্যে এতটা দূরত্ব রয়েছে যতটা দূরত্ব আছে মক্কা ও হাজরার মাঝখানে, অথবা মক্কা ও বসরার মধ্যে। আহমদ, শায়খাইন ও তিরমিযী আলোচ্য হাদীখানা হযরত আবূ হুরায়রাা (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

৫. রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এক ব্যক্তি আগমন করে বললেন,“হে আল্লাহর রসূল। এক আল্লাহ-তে বিশ্বাসীদের কেউ জাহান্নামে থাকবে কি? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। এক ব্যক্তি জাহান্নামের তলদেশে “হে হান্নান, হে মান্নান!” বলে আহবান করতে থাকবে ,এমনকি জিব্রাঈল তার আওয়াজ শুনতে পাবেন এবং  শুনে আশ্চর্যান্বিত হবেন এবং বলবেন “কি বিষ্ময়কর! “কি বিস্ময়কর!” তারপর তিনি ধৈর্য ধারণ করতে না পেরে করুণাময়ের আরশের সামনে এসে সিজদায় পতিত হবেন। মহান ও বরকতময় আল্লাহ তখন বলবেন, “হে জিবরাঈল তুমি তোমার মাথা উঠাও! ”জিবরাঈল তার মাথা উঠাবেন এবং বলবেন, “আমি জাহান্নামের তলদেশ হতে একটা শব্দ শুনেছি, কে যেন ডেকে বলতেছে, হে হান্নান, হে মান্নান! এ আওয়াজ শুনে আশ্চর্যান্বিত হয়েছি।” তখন বরকতময় ও মহান আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, “হে জিব্রাঈল! তুমি জাহান্নামের (প্রধান রক্ষী) মালেক (আঃ) এর কাছে গিয়ে বল, যে বান্দাটি “হে হান্নান, হে মান্নান” বলে আহবান করতেছে তাকে বের করে আন।” তখন হযরত জিবরাঈল জাহান্নামের দরজাগুলোর একটা দরজার কাছে যাবে এবং তাতে আঘাত করবে। তখন মালেক (আঃ) বের হয়ে আসবে। জিবরাঈল বলবেন, বরকতময় আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন তুমি সে বান্দাকে বের করে আন, যে অবিরত “হে হান্নান, হে মান্নান বলে ডাকতেছে।” অতএব, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে ও তালাশ করবে, কিন্তু সে ব্যক্তিটিকে খুজে পাওয়া যাবে না। মা তার সন্তানকে যতখানি জানে, জাহান্নামের অধিবাসীদেরকে জাহান্নামের (প্রধান রক্ষী) মালেক (আঃ) তার চেয়ে বেশি জানে। মালেক (আঃ) বের হয়ে এসে হযরত জিবরাঈলকে বলবে “জাহন্নাম এরূপ দম্ভ সহকারে জ্বলছে যে, আমি লোহা থেকে পাথরের পার্থক্য এবং লোহ থেকে মানুষের তারতম্য বুঝতে পারতেছি না। তখন হযরত জিবরাঈল ফিরে আসবেন এবং পুনরায় করুণাময়ের আরশের সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়বেন। বরকতময় আল্লাহ তা‘আলা বলবেন,“হে জিবরাঈল! মাথা উঠাও। তুমি কেন আমার বান্দাকে নিয়ে আসনি ? তিনি বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! মালেক (আঃ) বলতেছে যে , জাহান্নাম এমন প্রচন্ডভাবে জ্বলেেতছে যে, আমি পাথর ও লোহাতে এবং লোহা ও মানুষের পার্থক্য বুঝতে পারতেছি না। তখন মহান ও বরকতময় আল্লাহ বললেন, “তুমি মালেককে বল, আমার বান্দা ঐ তলায়, ঐগুপ্তস্থানে ও ঐ কোণায় আছে।” মালেক (আঃ) পুনরায় প্রবেশ করবে এবং উল্টাভাবে তার পায়ের সাথে তার কপালের চুল বাঁধা অবস্থায় পাবে এবং দেখবে তার ঘাড়ের সাথে তার উভয় হাত বাঁধা অবস্থায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আর তার উপর সাপ ও বিচ্ছু স্তুপীকৃত হয়ে রয়েছে। মালেক (আঃ) তাকে এরূপ জোরে আকর্ষণ করবেন যে সে টানে সাপ ও বিচ্ছুগুলো তার দেহ থেকে ছিঁটকে পড়বে। পুনরায় তাকে বলপ্রয়োগে আকর্ষণ করবে ফলে তার শিকল ও জিঞ্জিরা সমূূহ ছেড়ে যাবে। এভাবে তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে এবং তাকে আবেহায়তে নিক্ষেপ করবে । অতঃপর জিবরাঈলের নিকট অর্পণ করবে। হযরত জিবরাঈল তার ললাটের কেশ ধরবেন এবং সজোরে টেনে নিবেন। হযরত জিবরাঈল তাকে একদল ফেরেশতার পাশ দিয়ে নিয়ে অতিক্রম করবেন,  তারা  বলবে: আক্ষেপ এই বান্দার,  জিবরাঈল (আঃ) করুময়ের আরশের সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। তখন বরকতময় মহান আল্লাহ্ বলবেন, “হে জিবরাঈল,“মাথা উঠাও।” আবার আল্লাহ্ বলবেন, “হে আমার বান্দা! আমি কি তোমাকে ভালো স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করিনি? আমি কি তোমার কাছে রসূল প্রেরণ করিনি? তোমার  কাছে কি আমার কিতাব পাঠ করা হয়নি। তোমাকে কি সে ভালো কাজে আদেশ দেয়নি এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করিনি?” বান্দা এসব কথাই স্বীকার করবে। তখন মহান আল্লাহ্ বলবেন, “তবে তুমি কেন এ কাজ করেছিলে?” বান্দা বলবে, “হে আমার রব! আমি নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছি এমনকি তার জন্য এত এত বছর জাহান্নামে পড়ে আছি ; কিন্তু তোমার দয়ার আশা মন থেকে কর্তন করিনি। হে রব! তোমাকে “হে হান্নান, হে মান্নান’ বলে ডেকেছি; তারপর তুমি অনুগ্রহ কেের আমাকে জাহান্নাম
থেকে বের করে এনেছ সুতরাং আমার প্রতি করুণা কর” তারপর বরকতময় আল্লাহ্ তা‘য়ালা বলবেন; “হে আমার ফেরেশতাগণ ! তোমরা সাক্ষী থাক , আমি তার ওপর রহমত বর্ষণ করেছি। আবু হানীফা আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

৬. নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নবীদের জন্য শেষ বিচার দিবসে স্বর্ণ মিম্বার স্থাপন করা হবে। তারা তার উপর বসবেন। আর আমার মিম্বার বাকী থাকবে। তাতে আমি বসব না । আমি আমার মহান ও মর্যাদাবান প্রভুর সম্মানে দাঁড়িয়ে থাকব এবং  আমার উম্মতের জন্য এ ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব যে, না জানি আমাকে জান্নাতে প্রেরণ করা হয় আর আমার উম্মত পেছনে থেকে যায়! আমি তখন আরজ করব, “হে আমার প্রতিপালক! আমার উ¤মত! আমার উ¤মত! তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, “হে মুহাম্মদ! তোমার উম্মতের সাথে আমার কি রূপ ব্যবহার কামনা কর?” অমি বলব, হে আমার প্রতিপালক! সত্বর যেন তাদের হিসাব নেওয়া হয়।” এ কথার পর তাদেরকে ডাকা হবে এবং তাদের হিসাব গ্রহণ করা হবে। অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ আল্লাহ্র অনুগ্রেেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে আর তাদের মধ্যে কেউ আমার শাফা’আতের কারণে জান্নাত প্রাপ্ত হবে। অতএব, আমি অনবরত আমার উম্মতের জন্য শাফা’আ’ত করতে থাকবে। এমনকি যাদেরকে জাহান্নামে দেওয়া হবে এমন কতিপয় মানুষের জন্যও আমাকে লিখিত অঙ্গীকার দেওয়া হবে। এমনকি জাহান্নামের কোষাধ্যক্ষ বলবে, “হে মুহাম্মদ! তোমার  প্রতিপালকের ক্রোধের ভয়ে তোমার উম্মতের ওপর কোন প্রতিশোধ আমি গ্রহণ করিনি।” ইবনু  আবিদ্ দুনিয়া আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন।

৭. শেষ বিচার দিবসে মহান অল্লাহ্ তা’আলা সকল মানুষকে একই ময়দানে সমবেত করবেন। অতঃপর বিশ্বজগতের প্রতিপালক তাদের নিকট আগমন করে বলবেন, “তোমরা শোন, প্রত্যেক সম্প্রদায় ইহজগতে যার পূজা করত, তার অনুসরণ করুক।” অতঃপর ক্রুশের অনুরূপ মূর্তি, মূর্তি পূজারীদের জন্য তাদের প্রতিচ্ছবি, অগ্নি উপাসকের জন্য প্রতিক তৈরি করে দেয়া হবে। অতঃপর তারা ইহজগতে যাদের পূজা করত, তার অনুসরণ করবে, আর মুসলমানগণ (ময়দানে) অবশিষ্ট থাকবে। বিশ্বের প্রতিপালক তাদের সকাশে উদিত হবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন, “তোমরা তোমাদের লোকজনের অনুসরণ করবে না ?” জবাবে তারা বলবে, “আমরা তোমা থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থণা করি। আল্লাহ্ আমাদের প্রভু, আর এটাই আমাদের স্থান, যে পর্যন্ত না আমরা আমাদের প্রভুকে দেখতে পাব।” তিনি তখন তাদেরকে আজ্ঞাদানে স্থির রাখবেন। সাহাবায়ে কেরাাম প্রশ্ন করল, “হে আল্লাহ্র রাসূল ! আমরা কি তাকে দেখব?” তিনি বলবেন , তোমরা কি পূর্ণিমার চাঁদ দেখার ব্যাপারে কোন অসুবিধা মনে কর? তারা বলবে, ‘না’। তিনি বলবেন, “নিশ্চয়ই তোমরা সে মুহূর্তে তাকে দেখতেও কোন অসুবিধা মনে করবে না।” অতঃপর তিনি আড়াল হয়ে যাবেন (সামান্য বিরতির পর) পুনরায় উদিত হবেন এবং তাদের নিকট নিজের পরিচয় দান করবেন এবং বলবেন, “আমি তোমাদের রব। অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর।” তখন মুসলমানগণ দাঁড়ােেব এবং পুলসিরাত স্থাপন করা হবে। তারা তার উপর দিয়ে দ্রæতগামী ঘোড়া ও আরোহরূপী জন্তুর ন্যায় পার হতে থাকবে, আর তাদের উপর উক্তি হতে থাকবে “সাল্লিম’ ‘সাল্লিম’। কিন্তু জাহান্নামীগণ তার উপর বাকী থাকবে এবং তাদের মধ্যে একদল লোককে নি¤েœ নিক্ষেপ করা হবে। জাহান্নামকে বলা হবে তুমি কি পূর্ণ হয়েছ? ” জাহান্নাম বলবে, “আরো অধিক চাই” তারপর আর একদলকে নিক্ষেপ করা হবে এবং বলা হবে, ‘পূর্ণ হয়েছে কি?’ জাহান্নাম বলবে ‘আরো বেশি আছে কি?’ এমনকি যখন তাদের সকলকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে  তখন করুণাময় তাতে তার কুদরতী পা রাখবেন । সাথে সাথে তার এক অংশ অন্য অংশকে জড়িয়ে ধরবে। তারপর আল্লাহ্ বলবেন “না আর নয়, না আর নয়।” অতপর যখন জান্নাতীগণ জান্নাতে এবং জাহান্নামীগণ জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তখন মৃত্যুকে গলায় ধরে আনা হবে এবং জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীর মধ্যকার সীমান্ত নির্দেশক প্রাচীরের উপর দাঁড় করানো হেেব এবং বলা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ!  তখন তারা ভীত হয়ে সেদিকে তাকাবে। তারপর পুনরায় বলা হবে, হে দোযখবাসীগণ! তখন তারা আনন্দিত হয়ে সেদিকে তাকাবে যেন তারা শাফাআ’ত আশা করছে। তখন জান্নাতবাসী ও জাহান্নামবাসীকে বলা হবে, “তোমরা কি তাকে চেন?” তারা সকলে বলবে, “আমরা  তাকে চিনি, এটা মৃত্যু যাকে আমাদের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।” তখন সেটাকে শায়িত করা হবে এবং সে প্রাচীরের উপরই সম্পূর্ণরূপে যবেহ করা হবে। তারপর বলা হবে, হে জান্নাতবাসীগণ, তোমরা চিরস্থায়ী, তোমাদের মৃত্যু নেই: আর হে জাহান্নামবাসীগণ তোমরা চিরস্থায়ী তোমাদের মৃত্যু নেই। ইমাম তিরমিযী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবূ হুরায়রা (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

৮. মানুষ জাহান্নামের উপরে স্থাপিত এক সাকোর উপর দিয়ে পার হবে তাতে থাকবে কাঁটা ও আংটা, যা লোকদেরকে ডানে ও বামে ছোবল দিতে থাকবে। পুলের দু’পাশে অবস্থিত ফেরেশতাগণ বলতে থাকবে, “হে আল্লাহ্! শাস্তি দাও।” অতঃপর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ বিদ্যুতের গতিতে পার হয়ে যাবে, কেউ কেউ ঘোড়ার গতিতে পথ অতিক্রম করবে ,আর তাদের কিছু লোক দৌড়ায়ে যাবে, কিছু মানুষ পায়ে হেটে, তাদের কতিপয় হামাগুড়ি দিয়ে পার হবে, আর কতিপয় বসা অবস্থায় হেঁচড়িয়ে কোন রকমে পথ অতিক্রম করবে। অতঃপর জাহান্নামীগণ প্রসঙ্গে কথা হলো যে, তারা জাহান্নামেরই বাসিন্দা হবে এবং তাতে সম্পূর্ণরূপে মৃৃত্যুবরণও করবে না এবং সম্পূর্ণরূপে বেঁচেও থাকবে না। আর কতক লোক পাপের দরুন গ্রেফতার হবে, তাদেরকে জ্বালানো হবে। ফলে তারা কয়লায় পরিণত হবে। অতঃপর আল্লাহ্ শাফাআ’তের অনুমতি প্রদান করবেন এবং জাহান্নামীদেরকে দলে দলে জান্নাতের স্থানগুলোর মধ্যে একটি স্থানে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তারা এরূপভাবে সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে, যেরূপভাবে বন্যার পর পলি মাটিতে বীজের দানা অঙ্কুরিত হয়। তোমরা কি দেখনি যে, গ্রীষ্মকালে এরূপ গুল্ম আবর্জনার মধ্য থেকে জন্মলাভ করে? অতঃপর এক ব্যক্তির  আক্ষেপ হবে, যাকে সর্বশেষ জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে, সে বলবে হে আমার রব! আমার মুখ জাহান্নাম থেকে অন্য দিকে ফিরিয়ে দাও।” তখন আল্লাহ বলবেন “তোমার প্রতিশ্রæতি ও অধিকার  এই যে, তুমি তা ব্যতীত অন্য কিছু চাবে না।” তখন সে পুলের উপর তিনটি গাছ দেখবে। লোকটি বলবে, “হে আমার রব! আমাকে এই বৃক্ষগুলির দিকে অগ্রসর হতে দাও। আমি তার ফল খাব এবং এর ছায়ায় অবস্থান গ্রহণ করব।” তিনি বলবেন, “তোমার ওয়াদা ও অধিকার ঠিক রেখ। আমার কাছে তা ব্যতীত অন্য কিছু চাবে না। ”তারপর সে তার চেয়ে সুন্দর আর একটি গাছ দেখবে এবং বলবে, “হে আমার রব! আমাকে তার দিকে চালিত কর, আমি তার ফল খাব এবং তার ছায়ায় আশ্রয় নেব।” অতঃপর সে একদল লোক দেখবে ও তাদের কথা শুনবে এবং বলবে, “হে রব! আমাকে জান্নাতেই প্রবেশ করাও।” তখন আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে এ পৃথিবী এবং তার সমপরিমাণ সম্পদ দান করবেন। ইমাম আহমদ আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবু হুরায়রা (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 3035
  • Total Visits: 680343
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1123

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
  • ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৫:৩৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018