অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন ‘ফুটবল রাজা’ পেলে। গত ২৯ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাজিলের এই ফুটবল কিংবদন্তি। তার মৃত্যুতে ফুটবল দুনিয়া শোকে মুহ্যমান।
সর্বসাধারণের শেষশ্রদ্ধায় অন্তিমযাত্রা শেষে মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা নামের সমাধিস্থলে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পেলেকে সমাহিত করা হচ্ছে।
এই সমাধিস্থলটি মূলত ১৪ তলা ভবন। সেখানে আছে ১৪ হাজার ভল্ট, একটি কৃত্রিম জলপ্রপাত ও একটি কার জাদুঘর। যেখানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, মেমোরিয়াল নেকরোপোল একিউমেনিকা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু উল্লম্ব সমাধিস্থল। সেখানে ১৪ হাজার ভল্ট ছাড়াও ভবনের নিচতলার নিচে আছে পাথরের তৈরি ভল্টের মতো একাধিক স্থান, রয়েছে শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার কক্ষ, একটি শবদাহের স্থান ও একটি সমাধিস্তম্ভ।
মূলত যেসব ব্যক্তির পরিবার তাদের স্বজনের মৃতদেহ আরও ব্যক্তিগত ও বিশেষভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে চান, তাদের জন্যই এই সমাধিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে।
বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি ১৪ তলা ভবনের এই সমাধিস্থলে আরও রয়েছে একটি বাগান। এ ছাড়া ভবনের ছাদে আছে একটি ক্যাফে ও একটি কৃত্রিম জলপ্রপাত।
তবে যে বিষয়টা জানলে আপনি সবচেয়ে বেশি অবাক হবেন, তা হচ্ছে- এই সমাধিস্থলে বিভিন্ন সময়ে অনেক মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে তৈরি একটি জাদুঘরও আছে।
১৯৮৩ সালে সমাধিস্থলটি নির্মাণ করা হয়। এর স্থপতি পেপে আলস্টাট। তবে নির্মাণের পর এটির পরিসর আরও বেড়েছে। এখানেই শেষ নয়, সমাধিস্থলটি এখন পরিণত হয়েছে একটি পর্যটন আকর্ষণে।
সমুদ্রতীর ও পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় অনেক পর্যটকই দৃষ্টিনন্দন এই সমাধিস্থল দেখতে যান। সমাধিস্থলটির ওপর তলা থেকে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামও দেখা যায়। যেখানে ক্যারিয়ার শুরু করা পেলে যে পরে ‘ফুটবল রাজা’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। তাইতো পেলের ইচ্ছানুযায়ী এই সমাধিস্থলেই সমাহিত করা হচ্ছে তাকে।
Leave a Reply