মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলছে যুদ্ধের দামামা। যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে, যেকোনো সময় ইসরায়েলে হামলা শুরু করতে পারে ইরান ও তার প্রক্সিগোষ্ঠীগুলো। এরই মধ্যে ইরান জানিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির অবনতি চায় না, তবে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার তাদের আছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি বলেছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়িত্ব চায়। কিন্তু আগ্রাসনকারীকে শাস্তি দিলেই সেটা সম্ভব। কানানি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলকে সাহায্য করা বন্ধ রাখে এবং আগ্রাসনকারীকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে।
ইরান এর আগে দাবি করে, হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যা করার দায় ইসরায়েলের। ইসরায়েল অবশ্য এই দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবাননে তাদের ড্রোন হামলার ফলে বৈরুতের কাছে হেজবোল্লা কম্যান্ডারের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গনে ইসরায়েলের হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর হামলা করে। কিন্তু তাদের প্রায় সব আক্রমণই ইসরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিহত করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জর্ডন সেই সময় ইসরায়েলকে সমর্থন করেছিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, তারা যেন ইরান, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে সব পক্ষ সংযত থাকে।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত থাকতে ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করার অনুরোধ করছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, সব দেশ যেন উত্তেজনা কমানোর জন্য সচেষ্ট হয়। তারা ওই তিন পক্ষের উপর প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করে।
Leave a Reply