স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশনে দূনীত ও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা।
মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪৪ নং জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান প্রায় ১৩ বছর এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। যার কারনে তিনি কোন কিছুরই পরোয়া করেননা। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের সম্পতি মনে করে সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা করে আসছেন।
দূর্ণীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১/৬/২০০৯ সালে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি এসব দূণীতি করে আসছেন। অভিযোগে আরো জানাযায়, বিগত কয়েক বছর যাবত প্রায় প্রতিটি এস,এম,সি সদস্যদের সাথে তার একাধিকবার বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারনে তিনি প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে অবস্থান করে দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেন হিসাব নিতে গেলে তার সাথে দূর্ব্যবহার ও করেন তিনি। হিসাব নিকাশ দিতে অস্বিকৃতি জানালে সভাপতি ও সকল সদস্যদের সাথে তার দুরত্ব বাড়তে থাকে।
সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেন জানান, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকার প্রদত্ত রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার,প্রাক-প্রাথমিকে বরাদ্দ ১০ হাজার,স্লিপ বাবদ ৫০ হাজার,বিদ্যালয়ের অঙ্গিনা থেকে টেন্ডার বিহিন বাবলা গাছ বিক্রয় বাবদ ১৫ হাজারসহ মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে কোন কাজ না করে প্রধান শিক্ষ মতিয়ার রহমান নিজে আত্মসাৎ করেছেন।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা ব্যায়ের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া সত্তেও প্রধান শিক্ষ নিজে খরজ করবেন মর্মে বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারনার মাধ্যমে নিজের অনুকুলে একটি রেজুলেশন তৈরী করে নিয়েছেন। সভাপতি ইসমাইল হোসেন বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালেও তিনি এখনও পর্যন্ত তদন্ত পুর্বক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। অভিযোগে আরো জানাযায়,বিদ্যালয়ের পুরাতন ৪ কক্ষ বিশিষ্ঠ ভবনের জানালা,দরজা,ঢেউটিন,ইট ও লোহার এংগেল এস,এম,সি সদস্যদের না জানিয়ে ইচ্ছেমত বিক্রয় করে নিজে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সদস্যসহ এলাকাবাসী জানান দূর্নীতি বাজ প্রধান শিক্ষকের খুটির জোর কোথায়?
জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ মতিয়ার রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কি ভাবে চলবে সেটা আমি বুঝবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, ৪৪ নং জোকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি ২ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত শেষ পর্যায়ে আমরা তদন্ত রিপোটের অপেক্ষায় আছি। তদন্ত রিপোট অনুযায়ী আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেব।
Leave a Reply