অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গ্রেফতার আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দ্বিবাগত রাত ২টার দিকে উচাখিলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) দুপুরে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২ জানুয়ারি জেলার ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলার সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. আব্দুর রাশেদ ওরফে রাশিদুল ইসলাম রাশিদের (৩০) নম্বরে ফোন করেন আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক। ফোন করে নিজেকে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদ বলে পরিচয় দেয়।
পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তোমার (রাশিদ) নামে পিবিআইতে মামলা হয়েছে, তুমি আমাদের নগদ-বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও, মামলাটি আমরা এখনই শেষ করে দিব।’
অনিক এ সময় রাশিদের কাছে ইমো নম্বর চান মামলার কপি দেবেন বলে। ইমো নম্বর দিলে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত একটি ভুয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কপিও পাঠান তিনি।
ওই কপিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কলামে উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদের নাম লেখা ছিল। পরদিন ৩ জানুয়ারি সকালে আবারও ফারদিন আহমেদ পরিচয়ে টাকা পাঠানোর জন্য রাশিদের কাছে ফোন করেন এবং টাকা না পাঠালে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ পিবিআই কার্যালয়ে তুলে আনার হুমকি দেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাশিদ বিষয়টি নিয়ে তার পরিচিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে ময়মনসিংহ পিবিআই কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে রাশিদকে জানানো হয় ফারদিন আহমেদ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এখানে কর্মরত নেই। তখন রাশিদুল ইসলাম জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
পরে পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান চালিয়ে অনিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply