অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফসল রক্ষা বাঁধ ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। জমির উপরাংশের মাটি কেটে ফেলায় নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। হুমকির মুখে পড়ছে জীব বৈচিত্র্য। অভিযোগের তীর ভাটা মালিকদের দিকে।
কৃষককে চাপ দিয়ে অল্প টাকায় মাটি কিনে নিচ্ছে ইট ভাটাগুলো। প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ চরের কান্দা ব্রক্ষপুত্র নদের ফসল রক্ষা বাঁধ এবং চরের কান্দায় কৃষি জমি থেকেই এভাবে কাটা হচ্ছে মাটি।
মাটি যাচ্ছে কামাল ও নাসির মিয়ার ইট ভাটায়।
প্রভাবশালীদের চাপের মুখে অসহায় কৃষক। দরিদ্র কৃষকদের সামান্য টাকা দিয়ে কৃষি জমির উপরাংশের মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমিতে ফসল ফলানো যাচ্ছেনা।
তাই পাশের জমির কৃষকও মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভৈরবে ৩০টি ইট ভাটার বেশিরভাগেরই কাগজপত্রও নেই। যাদের আছে তারাও মানছে না কোনো নীতিমালা। এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক কামাল মিয়া ও নাসির মিয়া ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে দুটি ইটভাটা হয়েছে এখানে। জমিজমা কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। ইটভাটার কারণে পার্শ্ববর্তী জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে।
কুষি বিভাগ বলছে, কালিকা প্রসাদ চরের কান্দায় কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ফেলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, “কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে- এ ধরনের অভিযোগ পেলে লিখিতভাবে পেলে অবশ্যই প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একবার জমির মাটি কেটে ফেলা হলে উর্বরতা ফিরতে কমপক্ষে ৩০ বছর সময় লাগে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, কেউ ফসল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, “কৃষিজমির শ্রেণী পরিবর্তন আইনে নিষেধ। এটির জন্য একটি আলাদা আইন রয়েছে। যারা জমির মালিক তারা চাইলেই জমির শ্রেণীর পরিবর্তন করতে পারেননা। এ বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন, তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকার যখন পতিত জমি কৃষির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক সে সময় ভৈরবে উল্টো চিত্র। তাই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি স্থানীয়দের।
Leave a Reply